HSC ICT প্রথম অধ্যায় – গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

আজকে আমরা HSC ICT প্রথম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন এর উত্তর জানবো।

HSC ICT প্রথম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উওর

০১) বিশ্বগাম কি?

বিশ্বাম হল এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা যেখানে মানুষ ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।

০২) হ্যাকিং কি?

অনুমতি ব্যতীত কারো কম্পিউটার বা সাইটে প্রবেশ করে তার তথ্যেও বিকৃতি বা চুরি করাকে হ্যাকিং বলে।

০৩) টেলিমেডিসিন কি?

ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চিকিৎসক যখন দুরবর্তী কোন স্থানে স্থাস্থা সম্পর্কিত সেবা প্রদানে করে তাই টেলিমেডিসিন।

০৪) প্রেজিয়ারিজম কি?

অন্যের লিখা বা টেক্সট কপি বা চুরি করে নিজের নামে বা নিজের সাইটে প্রকাশ করাকে প্রেজিয়ারিজম বলে ।

০৫) ক্রায়োসার্জারি কি?

ক্রায়োসাজারি হল এক ধরনের শীতল চিকিতসা যার নানাবিদ তিল সমস্যা, হেমারয়েড প্রভৃতি অপসারণ করা হ্য়।

০৬) বায়োমেট্রিক্স কি?

বায়োমেট্রিক্স কি

মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং পরিগণনার বিজ্ঞান যা হাতের ছাপ, আঙ্গুলের ছাপ, কষ্ঠধ্বনি, রেটিনা ইত্যাদি ব্যবহার করে নিরাপগ্রা নিশ্চিত করে তাই বায়োমেট্রিকস।

০৭) সফটওয়্যার পাইরেসি কি?

অনুমতি ব্যতীত প্রস্তুতকারকের সফটওয়্যার কপি করা এবং নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াই সফটওয়্যার পাইরেসি।

০৮) ইন্টারনেট কি?

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়াকের সমফ্িই হলো ইন্টারনেট ।

০৯) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

আনুষ যেভাবে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, কম্পিউটারের মাধামে তা সিমুলেট বা উপস্থাপন করাকে কৃতি বুদ্ধিমস্তা বলে ।

১০)ক্রায়োপ্রব কি?

ক্রায়োপ্রব হলো ক্রায়োসাজারিতে ব্যবহৃত এক ধরনের মেডিকেল ডিভাইাস যা মানুষের ত্বকে তিল, আচিল ও নানাবিদ স্পোট সমস্যাতে ব্যবহার হয়।

১১) ক্রসটক কি?

ক্রসটক এমন কোন ঘটনা যা দ্বারা একটি সংক্রমণ ব্যবস্থার একটি সার্কিট বা চ্যানেলে সংকেত অন্য সার্কিট বা চ্যানেলে অনাকাক্কিত প্রভাব তৈরি করে।

১২) আউটসোর্সিংকি?

কোন কাজ নিজে না করে অন্য কোন দক্ষ ব্যক্তি বা

প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াকে আউটসোঁসিং বলে ।

১৩) ন্যানো টেকনোলজি কি?

ন্যানো টেকনোলজি বা ন্যানো প্রযুক্তি সংক্ষেপে ন্যানো

টেকনোলজি বলা হয়। ন্যানো টেকনোলজি পদার্থকে

আনবিক পয়াঁয়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা ।

১৪) সাইবার অপরাধ কি?

ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে যে সকল ক্রাইম বা অপরাধ

সংঘটিত হয় তাই সাইবার ক্রাইম ।

১৫) রোবটিক্স কি?

রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবট

সমূহের ডিজাইন, নিমণি, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ

করে।

অন্য নেটওয়কে পাঠানো হয় তাকে রাউটার বলে ।

মছ্ুলেশন কি?
ডিজিটাল সংকেতকে আযনালগ সংকেতে রুপান্তর করাই
হল মদ্ুলেশন।

১৯) ব্রচব্যা কি?

ব্রচব্যা্ত হল উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা আদান-প্রদান প্রক্রিয়া
যেখানে নিল্নমান ১ এমবি থেকে শুরু করে সবেচ্চি
কয়েক জিবি পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তর করা যায়।

১৭) গেটওয়েকা!
ইন্টারনেটের প্রবেশ । ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদি
ব্যবহার করে বৃহৎ নেটওয়াকি তৈরীতে গেটওয়ে ব্যবহার
করা হয়।

১৮) রিপিটার কি?
রিপিটার হলো এমন একটি ডিভাইস যা সিগন্যালকে
এমপ্লিফাই করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

১৯) বিট সিনক্রোনাইজেশন কি?

সিরিয়াল ডেটা ট্রামিশন পদ্ধতিতে সিগন্যাল পাঠানোর
সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জনা বাবহত
পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিলক্রোনাইজেশন।

২০) ইনজ্োরেড কি?

থে সকল তড়িং চৌন্বক বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা
১ মাইক্রোমিটার থেকে ১ মিলিমিটার পর্যন্ত বিভ্ৃত হয়
তাই ইনয্লোরেড ।

০১, নিভিন্ন ধরনের ডেটা ট্রালমিশন স্পিড
ব্যাখ্যা কর।

– ক্যারিয়ার ব্যাস্ড মোডেম (সিএসএম)
– ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন (DSL)
– কেবল মডেম
– ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল (এফটিটি)
– স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
– মোবাইল ব্রডব্যান্ড

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বিভিন্ন টেকনোলজির সাথে সম্পর্কিত। স্পীডের মাত্রা প্রতি সেকেন্ডে ডেটা বা ইনফরমেশন বের করার সাপেক্ষে উল্লিখিত স্পীড ব্যাখ্যা করে।

০২. হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করা হয় কেন?

হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করা হয় কেন

– হাব: হাব একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি ফিজিক্যাল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন পোর্টে আসলে তা সমস্যা ছাড়াই উপরের সমস্যা প্রদান করে। হাব একই ডেটা প্যাকেটকে সমস্যা ছাড়াই সব পোর্টে প্রেরণ করে।

– সুইচ: সুইচ হলেও এটি মুখ্যভাবে ম্যাক এড্রেস ভিত্তিক ডেটা ফরওয়ার্ড করে এবং প্রাপ্ত পোর্টে কেবল সে প্যাকেটটি যেতে হয় সেটি নির্ধারণ করে। এটি নেটওয়ার্ক সুরক্ষা এবং স্কেলিং জন্য ব্যবহার করা হয়।

সুইচ ব্যবহার করা হয় কারণ এটি নেটওয়ার্কের বেশি সুবিধা এবং নিরাপত্তা প্রদান করে।

০৩. আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি ব্যাখ্যা
কর।

1. ডেটা ট্রান্সমিটার: প্রাথমিক ডেটা স্রোত থেকে ডেটা ট্রান্সমিটার সেট করে।
2. কোডিং: ডেটা ট্রান্সমিটার কোডিং ব্যবহার করে ডেটাকে আলোর প্রয়োগে পরিণত করে, যা ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তরিত হয়।
3. মোডুলেশন: ডেটা ট্রান্সমিটার তার কাছে ডেটা আলো ব্যবহার করে মোডুলেট করে, যাতে ডেটা বেশি দূরে পৌঁছে।
4. বান্দর: আলোক স্থানান্তর মাধ্যমে ডেটা একটি অপর প্রাপ্তি বান্দরে প্রেরণ করে, যেখানে এটি ডেটা ডিকোড করে।
5. ডেটা রিসিভার: ডেটা রিসিভার ডেটা ট্রান্সমিশন প্রাপ্ত করে এবং ডিকোড করে মূল ডেটা সীমান্ত স্থানে পৌঁছে দেয়।

8. “ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব”
ব্যাখ্যাকর।

“ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব” মানে ডেটা ট্রান্সমিশন যাতে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার আলোচনা করে, তা মূলত সংকেতে ডেটা প্রেরণ করা সম্ভব। এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশন স্থানীয় নেটওয়ার্কে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়, এবং সাধারণভাবে টেক্সট বার্তা, ইমেল, ওয়েব পেজ ইত্যাদি সংকেত সাধারণভাবে এই ধরণের ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহৃত হয়।

০৫) সিনক্রোনাস এবং এসিনক্রোনাসের বিদ্যামান
নেশিষ্্য সমূহ ব্যাখ্যা কর।

– সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন: এই প্রক্রিয়াতে প্রেরণ করা এবং গ্রহণ করা ডেটার সময় সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে, অর্থাৎ সময়ের সাথে হারমোনিক। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন একটি স্থিত ও নির্দিষ্ট সময়ে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করে, এবং সময়ের পরিপর্য যাচাই করে যায়।

– এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন: এই প্রক্রিয়াতে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ নির্দিষ্ট সময়ে নেই, এবং সময়ের সাথে নির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে না। এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ডেটা প্রেরণ করে এবং গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে সময়ের পরিপর্য যাচাই করে না।

উপযুক্ত ব্যবহারের দিক দিয়ে সিনক্রোনাস এবং এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বেছে নেওয়া হয়।

০৬) ৯৬০০ বিপিএস স্পীডটি ব্যাখ্যা কর ?

৯৬০০ বিপিএস স্পীড একটি ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডের মাত্রা সম্পর্কে সূচক। এটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহৃত হতে পারে এবং ডেটা প্রেরণের দ্বারা মূলত একটি স্থান থেকে অন্যটি স্থানে ডেটা প্রেরণ করার স্পীড ব্যাখ্যা করে

0৭) ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান গুলো লিখ ।

– মোডেম: মোডেম ডিজিটাল ইনফরমেশনকে এনালগ সংকেতে পরিণত করে এবং ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহৃত হয়।
– ক্যাবল: ক্যাবল সংযোগে উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব, যেটি কেবল টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয়।
– ফাইবার অপটিক্স: ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল একটি উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সমিশন মাধ্যম, যা দীর্ঘ দূরবর্তী সংযোগে ব্যবহৃত হয়।
– স্যাটেলাইট: স্যাটেলাইট সংযোগে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য উচ্চগতির উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘ দূরবর্তী এলাকাগুলিতে প্রয়োজন হতে পারে।

০৮) সিনাক্রোনাস ভ্রাপমিশন ব্যয়বহুল কেন?

– সিনক্রোনাস ভ্রাপমিশন একটি দৈত্যকামুক এবং দুর্দান্ত ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড দেয়, যা শীর্ষ গুণমানে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
– এটি উপলব্ধ রয়েছে প্রাথমিক স্থানে এবং উচ্চ ব্যবহারকারী সংখ্যা বা বৃদ্ধ ব্যবহারকারী সংখ্যা সাপেক্ষে খুব ভালো।
– এটি ক্যাবল টেলিভিশন, ইন্টারনেট সংযোগ, এবং টেলিফোন সেবা সহ বিভিন্ন উদ্যোক্তা দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

০৯) ক্লাউড কম্পিউটিং হল অনলাইন ভিত্তিক সেবা।
ব্যাখ্যা কর।

ক্লাউড কম্পিউটিং হল অনলাইন ভিত্তিক সেবা, যেখানে ডেটা এবং সফ্টওয়্যার সেবাগুলি ওয়েব সার্ভারে সংরক্ষিত এবং প্রবেশ প্রদান করা হয়, যাতে উপভোগকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের ডেটা এবং সেবা ব্যবহার করতে পারেন। ক্লাউড কম্পিউটিং দ্বারা ব্যবহৃত সেবাগুলি সাধারণভাবে স্কেল করা যায়, সহজে একটি নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা স্থানান্তরিত করা যায়, এবং উপভোগকারীরা সেবাগুলি নিজের ডিভাইস থেকে প্রবেশ করতে পারেন।

১০) বর্তমান সময়ে কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের জনপ্রিয়তা হারানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় এমন ক্যাবলটি ব্যাখ্যা করোঃ

কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের

বর্তমান সময়ে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল একটি জনপ্রিয় ক্যাবল প্রকার, যা সংস্কৃতি আর্থিক দিক থেকে প্রাথমিকভাবে এক্সিয়াল ক্যাবল বা ঈদডিএস (InfiniBand) নেটওয়ার্ক সংযোগে ব্যবহার হয়। এই ক্যাবল একটি উচ্চ ব্যবহারকারী স্পীড ডেটা স্থানান্তরণ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এবং ডেটা সেন্টার এবং সার্ভার ক্লাস নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বিতীয় প্রকারের ক্যাবলের সাথে তুলনা করে দ্বিগুণ এক্সিয়াল ব্যান্ডউইথ এবং লো ল্যাটেন্সি দিয়ে একটি কার্যকর সম্প্রেষণ মাধ্যম প্রদান করে।

১১) মডেমের ডেটা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি ব্াখ্যা কর।

1. ডেটা ট্রান্সমিটার: মডেমে প্রাথমিক ডেটা প্রেরণ করা হয়।
2. কোডিং: ডেটা ট্রান্সমিটার ডেটা কোডিং ব্যবহার করে ডেটা একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে রূপান্তরিত করে।
3. মোডুলেশন: মডেমে ডেটা মোডুলেট করে, যাতে এটি টেলিফোন লাইনে প্রেরণ করা যায়।
4. ডেমোডুলেশন: গ্রহণ করা ডেটা মোডুলেট করা এবং ডেটা ডিকোড করা হয়, যাতে মডেম সেন্টার এ পৌঁছে।
5. ডেটা রিসিভার: ডেটা রিসিভার ডেটা স্থানান্তরণের স্থানে পৌঁছে দেয়।

১২) ওয়াকিটকি এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার হয়
এমন নেটওয়ার্ক পরযুক্ষটি ব্যাখ্যা কর।

– ওয়াকি টকি নেটওয়ার্ক: ওয়াকি টকি সম্প্রেষণে ব্যবহৃত হয়, এটি স্থানীয় সাথে সাথে সংকেত প্রেরণ এবং পৌঁছে দেয়। এটি বেশি দ্বিমুখী কথা বলা, একটি সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান সংকেত পেতে পারে, এবং এটি স্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে সংক্ষিপ্ত দূরবর্তী যাচাই করে।
– মোবাইল ফোনের ব্যবহার: মোবাইল ফোন একটি বেশি গ্লোবাল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়, এটি দীর্ঘ দূরবর্তী যাচাই করে এবং প্রায় সর্বদিক প্রতিষ্ঠানের সংকেত পেতে পারে। মোবাইল ফোন বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয় এবং বেশি ডেটা এবং ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করতে সক্ষম।

 

১৩) ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ই এম আই (1) মু
কেন? ব্যাখ্যা কর।

ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই (1) মোড, অর্থাৎ “ইথারনেট মাল্টিপ্লেক্স মোড 1” একটি নেটওয়ার্ক ক্যাবল স্ট্যান্ডার্ড দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এটি উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং মূলত ডেটা নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়, সর্বাধিক ক্যারিয়ার তারিখের জন্য এটি একটি প্রাধান্য স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ক্যাবল বিভিন্ন ডেটা স্পীড এবং ব্যান্ডউইথে উপলব্ধ থাকে এবং নেটওয়ার্ক প্রয়োজনীয় গতি এবং স্থানান্তরণ প্রয়োজনীয় অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।

 

১৪) বিনা খরচে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব কিনা
ব্যাখ্যা কর।

বিনা খরচে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হতে পারে, কারণ এটি বেশিরভাগ অনলাইন সেবার জন্য উপলব্ধ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, মূল ইন্টারনেট সংযোগ দ্বারা একটি পোর্টাল বা সেবা স্থাপনা দ্বারা বিনা খরচে তথ্য অধিগ্রহণ করা যেতে পারে, এটি মূলত বিপুল মডেল বা অনলাইন সেবাগুলির সাথে সংযোগ নিতে সাহায্য করে।

 

১৫) কোন ট্রা্মমিশনের একই সঙ্গে উভয় দিকে ডেটা
আদান-প্রদান করা যায়?- ব্যাখ্যা কর।

একই ট্রান্সমিশনে উভয় দিকে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় কারণ ডুপ্লেক্স কমিউনিকেশনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে একই মোমেন্টে তথ্য প্রেরণ এবং গ্রহণ সম্প্রেষণে সমর্থন করে। এটি একটি সুস্থ, সম্পূর্ণ সমর্থন ডেটা কমিউনিকেশন প্রদান করে এবং ডেটা প্রেরণের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানে ডেটা গ্রহণ করে

১৬) ট্রাপমিশনের ব্যাবহার লিখ ।

ট্রাপমিশন ডেটা প্রেরণের একটি উপায়, যেখানে ডেটা বা তথ্য একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করা হয় এবং প্রাপ্ত করা হয় বা কলেক্ট করা হয় প্রথম স্থানের ডেটা সেন্টারে যা দুরবর্তী স্থানে সেন্ট্রাল স্থানে থাকে। এটি আপটাইম ডেটা ব্যাবস্থাপনা, সেন্সর ডেটা সংগ্রহণ, বিশেষজ্ঞ নেটওয়ার্ক সেবা, এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়

 

১৭) হাব এবং সুইচের মধ্যে কোনটি অধিক সুবিধা
জনক? ব্যাখ্যা কর।

হাব এবং সুইচের মধ্যে কোনটি অধিক সুবিধা জনক সে নির্ভর করে। একটি হাব প্রাথমিকভাবে ফিজিক্যাল লেয়ারে সংকেত প্রেরণ এবং গ্রহণ করে, এবং এটি ডেটা নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করে। সুইচ একটি নেটওয়ার্কে ডেটা ফ্রেমগুলি স্বীকার এবং বিভিন্ন পোর্টে প্রেরণ করে, যা নেটওয়ার্ক ডেভাইসের মধ্যে ডেটা বিভাজন করে। হাব এবং সুইচ দুটির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল সুইচ স্মার্টটেক্সম, যেটি প্রতিটি পোর্টের স্তরে স্থানীয় ডেটা বিভাজন এবং সংকেত প্রেরণ করে, সম্পর্কিত পোর্টে এবং পোর্টের মধ্যে ডেটা মডিউলেশন এবং ডেমোডিউলেশন প্রদান করে। সুইচের এই স্মার্ট ক্যাপাবিলিটি নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য বেশি সুবিধা প্রদান করে, যাতে নেটওয়ার্কের সাথে বিভিন্ন ডেটা সেন্টার ডিভাইস সহ সমর্থন করা যায়।

 

এক্সট্রানেট কী? [সি. বোর্ড ২০১৯]

এক্সট্রানেট হলো এমন একটি কোম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যক্তি বা সংগ্রহণ বাইরে থাকে এবং নেটওয়ার্কের বাইরের সংযোগের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্কে যোগ দেয়। এক্সট্রানেটে বিশেষভাবে নির্ধারিত নেটওয়ার্ক অবস্থানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সুরক্ষা এবং প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ করা হয়।

ইন্টারনেট কী? [দি. বোর্ড ২০১৯, সি. বোর্ড ২০১৭]

ইন্টারনেট হলো বৃহৎ আন্তর্জাতিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যেখানে বিশেষভাবে তথ্য ও ডেটা সংযোগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা শেয়ার করা হয়। ইন্টারনেট মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগ, তথ্য অ্যাক্সেস, শিক্ষা, বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বিনোদন, এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।

ওয়েবসাইট কী? [সি. বোর্ড ২০১৮, দি. বোর্ড ২০১৬]

ওয়েবসাইট হলো ইন্টারনেটে একটি মুক্ত প্রস্তুত অংশ, যেখানে তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী, এবং বিভিন্ন ধরণের সেবার সাথে কাজ করার জন্য একটি ডেটা স্থানান্তরের সাধারণ স্থান প্রদান করা হয়। ওয়েবসাইট একটি ইন্টারনেট ঠিকানা বা URL (Uniform Resource Locator) দ্বারা অ্যাক্সেস করা যেতে এবং ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে দেখা যেতে।

আউটসোর্সিং কী? [দি. বোর্ড ২০১৭, সি. বোর্ড ২০১৬]

আউটসোর্সিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বা ব্যক্তির কাছে কাজ প্রেরণ বা উদ্যোগ দেয়, যেখানে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সমস্যা সমাধান বা নির্দিষ্ট কাজের জন্য সাহায্য প্রদান করে তা বলা হয়। আউটসোর্সিংে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অন্য কোন দেশের বা বাইরের ব্যক্তির সাথে সেবা দেওয়ার জন্য সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং কী? [সি. বোর্ড ২০১৮, ব. বোর্ড ২০১৬]

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান নিজের দক্ষতার আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করে অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সম্মান প্রাপ্ত করে। ফ্রিল্যান্সার স্বাধীনভাবে কাজ প্রদান করে এবং প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন যাত্রাবহন সেবা প্রদান করতে পারে।

দূরশিক্ষণ বা ডিসট্যান্স লার্নিং বা ই-লার্নিং কী? [সি. বোর্ড ২০১৭]

দূরশিক্ষণ, ডিসট্যান্স লার্নিং, বা ই-লার্নিং হলো এমন শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য অনলাইনে সাধারণভাবে ক্লাস নেয় এবং পরীক্ষা দেয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারে। এটি ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট টেকনোলজি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের জন্য একটি সুযোগ সরবরাহ করে।

টেলিমেডিসিন কী? [সি. বোর্ড ২০১৯]

টেলিমেডিসিন হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে দূরবর্তী যন্ত্রের সাহায্যে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সংযোগ করে চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করে এবং দূরবর্তী রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সাহায্য করে।

অফিস অটোমেশন কী? [সি. বোর্ড ২০১৭]

অফিস অটোমেশন হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে অফিসের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়। এই প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রমকে স্বাধীনভাবে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানো যায়। এটি অফিসের প্রধান কার্যক্রমের অংশ হতে পারে, যেমন ডেটা এন্ট্রি, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, টাস্ক অটোমেশন, সিকিউরিটি সিস্টেম, ও অন্যান্য কার্যক্রম।

স্মার্ট হোম বা হোম অটোমেশন কী? [সি. বোর্ড ২০১৮]

স্মার্ট হোম বা হোম অটোমেশন হলো এমন একটি বাসস্থান, যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং এর সাহায্যে যেকোনো স্থান থেকে কোন বাড়ির সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম, হিটিং সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম, বিনোদন সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ই-কমার্স কী? [সি. বোর্ড ২০১৯]

ই-কমার্স হলো একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র, যেখানে ইন্টারনেট বা অন্য কোন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন হয়ে থাকে। ই-কমার্সে ক্রেতা পণ্য অথবা সেবা অনলাইনে অর্ডার দেয় এবং পেমেন্ট করে পণ্য বা সেবা প্রাপ্ত করতে পারে, যেহেতু সব প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী? [সি. বোর্ড ২০১৯]

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো এমন একটি টেকনোলজি যেখানে সম্পূর্ণ ভিশন সিস্টেমের সাহায্যে নির্মিত একটি মানব মন্দির যেখানে মানুষের মন এবং আসপাসের পরিবেশের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বা আমার রিয়েলিটি তৈরি হয়। এটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল বা কম্পিউটার জেনারেটেড প্রযুক্তি দ্বারা সাধারণভাবে তৈরি করা হয় এবং এটি একটি ভার্চুয়াল মানব মন্দিরে চলে আসা হয়।

বায়োইনফরমেটিক্স (Bioinformatics) হলো এমন একটি বিজ্ঞানের ক্ষেত্র যেখানে বায়োলজিক্যাল ডেটা বা তথ্য নিয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। এই ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করে বায়োলজিক তথ্য নিয়ে মূলত বড় এবং জটিল ডেটা সেটগুলি বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বাইলজিক্যাল সমস্যা সমাধান করা যায়, জীবন বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা যায়, ডিজাইন করা যায়, এবং উন্নত উপাদানের ডিজাইন করা যায়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering) হলো বায়োলজিক জীবনকে পরিবর্তন করতে কিংবা উন্নত করতে জেনেটিক বা জীবাণুবিজ্ঞানের প্রিন্সিপল ব্যবহার করা হয়। এটি জীবাণুর জেনেটিক বা ডিএনএ বা আরএনএ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে নতুন জীবাণু সাজানো বা বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology) হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অত্যন্ত ছোট ডিভাইস তৈরি করার এবং ব্যবহার করার প্রয়োক্তি। এটি অত্যন্ত ছোট মাত্রা বা স্কেলে ডিভাইস বা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নানোমেটার স্কেলে কাজ করতে সক্ষম হতে পারে, যা অনেক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যেমন ইলেকট্রনিক্স, মেডিসিন, মানব স্বাস্থ্য, মানব কাজ ব্যবস্থা, এবং নিউরোসাইন্স।

প্লেজিয়ারিজম (Plagiarism) হলো কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহিত্য, গবেষণা বা সম্পাদনা কর্ম হুবহু নকল বা অংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করা, যার ফলে অন্যদের শ্রমিকতা বা চুরি হয়। এটি শেখানো অথবা অন্যের তথ্য বা উপাদানের উদ্ধারণ ছাড়া নিজের তথ্য বা উপাদান তৈরি করা না হলেও হতে পারে।

ফিশিং (Phishing) হলো এমন একটি সাইবার আপরাধ যেখানে কোন ব্যক্তি বা সংগ্রহণ ক্রমের তথ্য বা ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, ইত্যাদি প্রাপ্ত করতে চেষ্টা করে ব্যবহারকারীকে ধারালোভাবে প্রলোভন করে। ফিশিং আপরাধীরা সাধারণভাবে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার জন্য মিথ্যা ইমেইল, ওয়েবসাইট, বা আপ্লিকেশন ব্যবহার করে প্রলোভন করে।

ভিশিং (Vishing) হলো এমন একটি ফিশিং প্রক্রিয়া যেখানে প্রতারণার জন্য স্বাধীন স্বাধীন স্বাধীন কোন অডিও সাধন বা টেলিফোন ব্যবহার করা হয়, যেখানে আপনি সাধারণভাবে টেলিফোনে ধরালোভাবে বা অডিও মোডে বলে কোন গুপ্ত তথ্য প্রদান করার জন্য প্রলোভন করা হয়

স্পুফিং (Spoofing) হলো এমন একটি কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া যেখানে কোন ব্যক্তি বা সিস্টেম মিথ্যা তথ্য বা আপেক্ষিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অন্যদের বিভ্রান্ত করে তা অথবা বিশেষ ধরনের আপেক্ষিক প্রথমাক্ষুণ কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া সিমুলেট করে। স্পুফিং সাইবার আপরাধের একটি প্রকার হতে পারে, এটি সাইবার আপরাধীরা তাদের প্রাণিক উদ্দেশ্যের জন্য অন্যদের পরিচিতি দেখাতে বা সাইবার আক্রমণ চালাতে ব্যবহার করতে পারে।

হ্যাকিং (Hacking) হলো কোনও সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, কম্পিউটার, অ্যাপ্লিকেশন, ডিভাইস, বা অন্য কোন ইন্টারনেট-সংযোগিত সুযোগ সৃষ্টি করতে বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অন্যকে অবৈধভাবে অ্যাক্সেস করতে ব্যবহার হয়। হ্যাকিং করার উদ্দেশ্য ভিন্ন হতে পারে, যেমন সিস্টেমের সুরক্ষা পরীক্ষা করা, নির্দিষ্ট তথ্য অধিগ্রহণ, নোট দেওয়া, ডেটা চুরি ইত্যাদি।

স্প্যাম মেইল (Spam Email) হলো অনুপ্রয়োজন এবং আপেক্ষিক ইমেল যা সাধারণভাবে ব্যবহারকারীর ইনবক্সে প্রেরণ করা হয়, সাধারণভাবে বিজ্ঞাপন, ফেক অফার, প্রযুক্তির সমস্যা, মালোয়ার, ফিশিং আক্রমণ, এবং অন্যান্য অবাঞ্ছিত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্প্যাম মেইল সাধারণভাবে ব্যক্তির বা কোম্পানির ইমেল সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় প্রেসার তৈরি করে এবং ইনবক্সে অধিকার করতে ব্যবহৃত হয়।

স্প্যামিং (Spamming) হলো এমন কোনও প্রক্রিয়া যেখানে একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়কাল বা স্থানকালে পুনরাবৃত্তি করা হয়। সাধারণভাবে ইমেইল স্প্যামিং সার্ভারে অনেক মেইল প্রেরণ করে সার্ভারের কাজে বা পারফর্মেন্সে ক্ষতি করতে পারে।

সাইবার ক্রাইম (Cybercrime) হলো ইন্টারনেট বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধ কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত অপরাধের একটি বিশেষ ধরণ। সাইবার ক্রাইম অন্যান্য প্রকার অপরাধের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন ডেটা চুরি, আইডেন্টিটি চুরি, মালোয়ার সংক্রমণ, ফিশিং, ডেনিয়াল অব সার্ভিস আক্রমণ, অন্যান্য ইন্টারনেট অপরাধের প্রকার, ইত্যাদি

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

দৃশ্যকল্প-১: জয়ন্ত চৌধুরী কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় অবস্থানরত একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি জয়ন্তকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকার হাসপাতালে প্রেরন করে। দৃশ্যকল্প-২: কম্পিউটার প্রশিক্ষিত সুমি -* ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি -* স্বাবলম্বী -* দেশের উন্নয়ন

ক. ই-মেইল কী?

খ. নিরাপত্তায় বায়োমেদট্রিক্স প্রযুক্তির অবদান বুঝিয়ে লেখ।

গ. দৃশ্যকল্প-১ এর কোন প্রযুক্তির উল্লেখ করা হয়েছে -ব্যাখ্যা কর।

ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর প্রবাহচিত্রের আলোকে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা বিশ্লেষন কর।

ক. ই-মেইল কী?

  • ই-মেইল (ইলেকট্রনিক মেইল) হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপে প্রেরিত একটি বার্তা বা সংকেত, যা একটি ব্যবহারকারী থেকে অন্য একটি ব্যবহারকারীর ইনবক্সে প্রেরণ হয়। ই-মেইল সাধারণভাবে টেক্সট, ছবি, সংলগ্ন ফাইল, ভিডিও, ইত্যাদি সাহিত্য আপলোড করার সুযোগ দেয়। ই-মেইলের জন্য একটি ই-মেইল এড্রেস প্রয়োজন হয়, এবং এই সাধারণ কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুষ্ঠানের আদান-প্রদান, ফাইল শেয়ারিং, যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগ সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়।

খ. নিরাপত্তায় বায়োমেডট্রিক্স প্রযুক্তির অবদান বুঝিয়ে লেখ।

  • বায়োমেডট্রিক্স প্রয়ুক্তি হলো এমন প্রয়ুক্তি সিস্টেম যেটি মানুষের বা জীবী প্রকৃতির বৈদ্যুতিন বা বৈদ্যুতিন অবস্থান বা গুনাগুণ যা তাদের অংশে থাকে, যেমন বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন আংটি, উঁকি, মুখোমুখি প্রশ্ন, নাকের স্ক্যান) ব্যবহার করে। এই প্রয়ুক্তি প্রধানভাবে নিরাপত্তা বা প্রমাণী উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়, যেহেতু এগুলি মানুষের প্রকৃতির বৈদ্যুতিন অবস্থান বা গুণাগুণ সংগ্রহ করে সাজাতে পারে এবং এই প্রয়ুক্তি দ্বারা ব্যবহারকারীদের পুষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আংটি স্ক্যান, আইরিস স্ক্যান, উঁকি ডিটেকশন, প্যালম প্রিন্ট স্ক্যান, মুখোমুখি প্রশ্ন সাধারণভাবে বায়োমেট্রিক্স প্রয়ুক্তির একটি অংশ হতে পারে।

গ. দৃশ্যকল্প-১ এর কোন প্রযুক্তির উল্লেখ করা হয়েছে – ব্যাখ্যা কর।

  • দৃশ্যকল্প-১ এর প্রথম দৃশ্যে প্রযুক্তি না উল্লেখ করা হয়নি, তাই আমি কোনো নির্দিষ্ট প্রযুক্তির উল্লেখ দেখতে পাচ্ছি না। আপেক্ষিক সত্যায়িতা এবং সাবালক্ষ্য নেটওয়ার্ক প্রয়ুক্তি, বার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) বা আগ্রহবহুল আপরেশনের সাথে সম্পর্কিত কোনো প্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর প্রবাহচিত্রের আলোকে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা বিশ্লেষন কর।

  • দৃশ্যকল্প-২ এর প্রবাহচিত্রে তথ্য প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা সুমি নামের একজন চাকরি পেতে স্বাবলম্বী ভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পেয়ে একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি করছে। এই চিত্রে তিনটি মূল তথ্য প্রযুক্তির দিকে পরিচায়িত হয়:
    1. কম্পিউটার প্রশিক্ষণ: সুমি কম্পিউটারের সাথে পরিচিতি এবং প্রশিক্ষণ পেয়েছে, যা তাকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও সম্প্রতির কাজে সাহায্য করছে।
    2. চাকরি: সুমি এখানে চাকরি করছে, এবং তার চাকরি আমরা তথ্য প্রযুক্তির প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সম্পর্কিত।
    3. স্বাবলম্বী: সুমি একজন স্বাবলম্বী ব্যক্তি, যা তাকে নির্ধারণ করতে সাহায্য করছে যে সে তার চোখে দেখে তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যা তার কাজ করে তা তিনি একে অপরে দেখে এবং তার নিজের মূল্যায়ন করে নেয়।

এই চিত্র সুমির দক্ষতা, উদ্যম, এবং স্বাবলম্ব মূলক তার কর্মজীবন প্রশংসা করে, এবং এটি তার দ্বারা বিন্যাসিত নীতি অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তির সেবা দেওয়া থাকে যেটি তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি ও প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ_

সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসে নিহত বহু পোশাক শ্রমিকের পরিচয় প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে সরকারের সদিচ্ছায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

ক. ন্যানো টেকনোলজি কী?

খ. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কীভাবে মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে?

গ. উদ্দিপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে শ্রমিকের লাশ শনাক্তকরণের জন্য গ্রহীত পদ্ধতি চিহ্নিত করে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উপরিক্ত পরিস্থিতিতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ঝুকি কমিয়ে আনা সম্ভব- বিশ্লেষণ করো

  1. ন্যানো টেকনোলজি কী?
    • ন্যানো টেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যাতে সবচেয়ে ছোট মাত্রা থেকে বৃহত্তর মাত্রা বস্তুর তৈরি, বৈদ্যুতিন, বা নানা ধরনের বৈদ্যুতিন উপাদান স্কেলে নির্মিত হয়। এই প্রযুক্তিতে বস্তুর বৈদ্যুতিন বৈশিষ্ট্য, স্তর, এবং সংরচনা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা সাধারণভাবে একটি আণবিক ও মোলেকুলার স্কেলে বিশ্লেষণ করে। ন্যানো টেকনোলজি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যেমন ইলেকট্রনিক্স, মেডিসিন, কৃষি, বস্ত্র উৎপাদন, ও অন্যান্য উদ্যোগে।
  2. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কীভাবে মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে?
    • জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি প্রযুক্তি যাতে জীবনীয় জীব সংরক্ষণের মাধ্যমে বিশেষ কাজে সহায়ক সংশ্লিষ্ট কোড যোগ করা হয় যাতে জীব নতুন গুন অর্জন করতে পারে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মানুষকে সহায়ক দিতে সক্ষম যেমন:
      • কৃষি উৎপাদন: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা ফসলের উন্নত জাত তৈরি করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
      • গষধ তৈরি: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা গষধ উৎপাদন বা মোডিফিকেশন করা সম্ভব, যা ঔষধ ও প্রোটিন উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে।
      • খাদ্য প্রস্তুতি: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা খাবারের উন্নত গুণ বা বৈশিষ্ট্য যোগ করা সম্ভব, যাতে খাদ্য সর্বোত্তম মানে উৎপাদন হতে পারে।
  3. উদ্দিপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে শ্রমিকের লাশ শনাক্তকরণের জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে বায়োমেদ্রিক্স বলতে এ কৌশলকে বোঝায় যা মানব দেহের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন – ডিএনএ, আঙ্গলের ছাপ, চোখের রেটিনা ও আইরিস, ভয়েস প্যাটার্ন, মুখমন্ডলের প্যাটার্ন, ইত্যাদি প্রমান করার উদ্দেশ্যে বিশ্লেষণ ও পরিমাপ করে ব্যক্তি শনাক্ত করা যায়। বায়োমেট্রিক্স একক ভাবে পরিমাপযোগ্য বিষয় দিয়ে শনাক্তকরণ কাজ সম্পন্ন করে।
    • বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি একটি শ্রমিকের প্রতিবিম্বন বা শখের বৈদ্যুতিন বা বৌদ্ধিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে শনাক্ত করে। এটি যেসব বৈদ্যুতিন বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হতে পারে, যেমন আঙ্গুলের ছাপ, রেটিনা ও আইরিসের ছাপ, কন্ঠশ্বরের গলা সংজ্ঞা, মুখমন্ডলের প্রস্তাবনা, ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন বা বৌদ্ধিক চিহ্নিত বৈশিষ্ট্যের সাথে সংকরণ করে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরে আমদানি লাশের পরিচয় সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
  4. উপরিক্ত পরিস্থিতিতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ঝুকি কমিয়ে আনা সম্ভব- বিশ্লেষণ করো।
    • তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ঝুকি কমিয়ে আনা সম্ভব হয় যেমন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, ডাটা এনক্রিপশন, এবং বায়োমেট্রিক বা বায়োমেট্রিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাভাবিক আংশিক নিরাপত্তা স্থাপন করা সম্ভব। এছাড়াও, তথ্য সিকিউরিটি এবং সাইবার রক্ষার উপায় হিসেবে অবদান রয়েছে, যেটি জুজে করে রাখতে সাহায্য করে ঝুকি থেকে সুরক্ষা নিতে।

আরো পড়ুনঃ আইসিটি দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment