HSC ICT দ্বিতীয় অধ্যায় – গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

HSC ICT দ্বিতীয় অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ডেটা কমিউনিকেশন কী?

এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্য আদান-প্রদান করার প্রক্রিয়াকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।

ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) কী?

কোন লিংক বা চ্যানেলের সর্বোচ্চ ডেটা ট্রান্সফার ক্যাপাসিটিকে ঐ চ্যানেলের ব্যান্ডউইথ বলে। বোর্ড বই অনুসারে, এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা স্থানান্তর হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বলে।

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে প্রেরক ও প্রাপক এর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান এর ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকতে হয় এই পদ্ধতিকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে।

সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সমান্তরালে ডেটা চলাচল করলে তাকে সমান্তরাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।

সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে এক বিটের পর অপর বিট স্থানান্তর হলে তাকে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।

বিট সিনক্রোনাইজেশন কী?

সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের সময় বিটের শুরু ও শেষ বুঝার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী?

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রেরক হতে প্রাপকের মধ্যে ডেটা অসম বিরতিতে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার স্থানান্তরিত হয়। এক্ষেত্রে প্রেরক যে কোনো সময় ডেটা প্রেরণ এবং প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী?

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রেরক হতে প্রাপকের মধ্যে সমান বিরতিতে ডেটা ফ্রেম বা ব্লক আকারে স্থানান্তরিত হয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্টোরেজ এর প্রয়োজন হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?

উৎস থেকে এক বা একাধিক গন্তব্যে ডেটা প্রবাহের দিককে বলা হয় ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।

সিমপ্লেক্স মোড কী?

সিমপ্লেক্স মোডে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরনের ব্যবস্থা থাকে, এক্ষেত্রে প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ ও প্রাপক শুধু গ্রহণ করতে পারে।

হাফ-ডুপ্লেক্স মোড কী?

হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা উভয় দিকে স্থানান্তর হতে পারে কিন্তু একসাথে নয়, একষ্ট্রেমলি একটি যন্ত্র ডেটা পাঠালে অন্যটিকে অপেক্ষা করতে হয়।

ফুল-ডুপ্লেক্স মোড কী?

ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে ডেটা উভয় দিকে স্থানান্তর হতে পারে। এক্ষেত্রে উভয় প্রান্তের যন্ত্র দুটি একই সময়ে ডেটা গ্রহণ এবং প্রেরন করতে পারে।

ইউনিকাষ্ট কী?

ইউনিকাষ্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোন নোড ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অধিনস্থ কেবলমাত্র একটি নোড তা গ্রহণ করতে পারবে।

ব্রডকাস্ট কী?

ব্রডকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোন নোড ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অধিনস্থ সকল নোডসমূহ তা গ্রহণ করতে পারবে।

মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন কী?

মাল্টিকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোন নোড ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অধিনস্থ শুধুমাত্র সিলেক্টেড বা অনুমোদিত নোডসমূহ তা গ্রহণ করতে পারবে।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?

উৎস থেকে এক বা একাধিক গন্তব্যে ডেটা প্রবাহের দিককে বলা হয় ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।

ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কী?

ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের দরকার হয়। এই সংযোগকে কমিউনিকেশন মাধ্যম বলে।

চ্যানেল কী? / কমিউনিকেশন চ্যানেল কী?

ডেটা কমিউনিকেশনে একাধিক যন্ত্রের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত লিংক বা পাথ কে চ্যানেল বলে।

রেডিও ওয়েভ কী?

3KHz হতে 300GHz ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে বলা হয় রেডিও ওয়েভ।

মাইক্রোওয়েভ কী?

300MHz হতে 300GHz ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে বলা হয় মাইক্রোওয়েভ।

ইনফ্রারেড কী?

300GHz হতে 400THz ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে বলা হয় ইনফ্রারেড।

হটস্পট কী?

হটস্পট হলো এমন একটি নির্ধারিত জায়গা যেখানে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়।

Bluetooth কী?

ব্লুটুথ হচ্ছে IEEE 802.15 স্ট্যান্ডার্ড এর একটি ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন টেকনোলোজি, যার মাধ্যমে WPAN গঠন করে পার্সোনাল ডিভাইসসমূহের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়।

Wi-Fi কী?

Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) তৈরি করা যায়।

WiMAX কী?

WiMAX এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। ওয়াইম্যাক্স হলো একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) তৈরি করে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তারবিহীন ব্যবস্থায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।

রিপিটার (Repeater) কী? রিপিটার হলো এমপ্লিফায়ারের একটি ধরণ, যা নেটওয়ার্ক মিডিয়ার মধ্য দিয়ে ডেটা সিগন্যাল প্রবাহের সময় নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর এটেনুয়েশনের কারণে সিগন্যাল আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন এই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই বা পুনরোদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে এই কাজটি যে ডিভাইস করে থাকে তাকে রিপিটার বলে।

নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) কী? নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো নেটওয়ার্কের অবস্থান ও সংযোগের প্রকার নির্ধারণ করে সংজ্ঞায়িত স্ট্রাকচার বা ক্যারিয়ার। এটি নেটওয়ার্কের কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসসমূহ যে জ্যামিতিক সন্নিবেশে সংযোগ করা হয় তাকে নির্ধারণ করে থাকে।

বাস টপোলজি (Bus Topology) কী? বাস টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটার বা নোডসমূহ একটি মূল তারের সাথে সংযোক্ত থাকে এবং সংযোগ লাইনকে সাধারণভাবে বাস বলা হয়।

ব্যাকবোন (Backbone) কী? বাস টপোলজির সংযোগ লাইনকে বা প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন।

স্টার টপোলজি (Star Topology) কী? স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটার বা নোডসমূহ একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইসের (সুইচ, হাব) সাথে সংযুক্ত থাকে।

রিং টপোলজি (Ring Topology) কী? রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার তার পার্শ্ববর্তী কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত হয়।

ট্রি টপোলজি (Tree Topology) কী? ট্রি টপোলজিতে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সকল কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রুট বলা হয়। এই টপোলজিতে প্রথম স্তরের কম্পিউটার গুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার গুলোর হোস্ট হয়।

মেশ টপোলজি (Mesh Topology) কী? মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্থ প্রত্যেকটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই টপোলজিতে যদি যোগাযোগের একটি পথ নষ্ট হয় তবে বিকল্প আরেকটি পথ থাকে যোগাযোগের জন্য।

হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology) কী? হাইব্রিড টপোলজি হলো একাধিক ভিন্ন টপোলজির সমন্বয়ে নতুন টপোলজি গড়ে ওঠা যায়। এটি বিভিন্ন টপোলজির সুযোগ-সুযোগ বৈশিষ্ট্য সমন্বিত করে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) কী? ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক বিশেষ পরিসেবা, যেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ব্যবহারকারী তার কম্পিউটিং চাহিদা পূরণ করতে পারে। এটি ক্লাউড সার্ভার এবং ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় এবং ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়। এটি কম্পিউটিং সেবা, ডেটা স্টোরেজ, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য সেবা প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (Computer Network) হলো একটি প্রযুক্তিগত সংকল্প যেখানে দুটি বা ততোধিক কম্পিউটার বা ডিভাইস একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয় যাতে তারা তথ্য এবং সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, এবং অন্যান্য রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যক্তি, কোম্পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থা, এবং বিভিন্ন সংস্থা যাতে কোনো প্রকারের তথ্য সংকলন, সংচালন এবং সংবাদদাতা সেবা প্রদান করতে পারে।

PAN (Personal Area Network)

হলো সাধারণভাবে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন ডিভাইসের (যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, ইত্যাদি) মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি নেটওয়ার্ক। সাধারণভাবে এই নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধ দূরত্বে 10 মিটারের মধ্যে হয়।

LAN (Local Area Network)

হলো সাধারণভাবে একটি স্থানীয় ক্ষেত্রের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার বা ডিভাইসের মধ্যে তৈরি নেটওয়ার্ক, যেখানে তাদের সংযোগ হয়। LAN সাধারণভাবে স্থানীয় অফিস, বাড়ি, বা একটি স্থানীয় সাইটের মধ্যে হতে পারে।

MAN (Metropolitan Area Network)

হলো একই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহ, বিভিন্ন ডিভাইস এবং LAN গুলোর সংযোগে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। MAN এর পরিসর ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হতে হয়।

WAN (Wide Area Network)

হলো অনেক বড় ভৌগোলিক বিস্তৃতিতে অবস্থিত LAN, MAN, কম্পিউটার, এবং বিভিন্ন ডিভাইসসমূহের সংযোগে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়, যা বৃহত্তর এলাকা ও দেশের সমস্ত ব্যক্তির জন্য সংযুক্ত হতে পারে।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network)

হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সমস্ত কম্পিউটার বা ডিভাইস একে অপরের সাথে সংযোগ করে তথ্য এবং রিসোর্স শেয়ার করতে পারে, এবং নেটওয়ার্কে কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই।

নেটওয়ার্ক ডিভাইস (Network Device)

হলো সব উপাদান ও ডিভাইস যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহার হয় এবং নেটওয়ার্ক কাজে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, মডেম, NIC (Network Interface Card), হাব, সুইচ, রাউটার, ব্রিজ, গেটওয়ে, ইত্যাদি নেটওয়ার্ক ডিভাইসের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

মডেম (Modem)

হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে একটি কম্পিউটারের তথ্যকে টেলিফোন লাইনের সাথে পাঠাতে এবং প্রাপ্ত তথ্য কেমন হবে তা বোঝাতে সাহায্য করে।

মডুলেশন (Modulation)

হলো একটি প্রক্রিয়া যা মডেম ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল তথ্যকে একটি আনালগ সংকেতে পরিণত করে, যাতে এটি টেলিফোন লাইনে পাঠানো যায়।

NIC (Network Interface Card)

হলো Network Interface Card। এটি কম্পিউটার বা ডিভাইসে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করার জন্য একটি কার্ড যা নেটওয়ার্কে ডেটা প্যাকেট প্রেরণ এবং প্রাপ্ত করতে সাহায্য করে।

হাব (Hub)

একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়, যা নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্ত থাকে এবং প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা হাব সকল পোর্টে ব্রডকাস্ট করে।

সুইচ (Switch)

হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়, যা নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্ত থাকে এবং প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডেটা সুইচ সুনির্দিষ্ট পোর্টে পাঠিয়ে দেয়।

রাউটার (Router)

হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে WAN ডিভাইসও বলা হয়, যা একই প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে (LAN, MAN, WAN) সংযুক্ত করে তৈরি করে WAN তৈরি করে।

ব্রিজ (Bridge)

হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট সেগমেন্টে বিভক্ত করে। এর সাহায্যে ভিন্ন মাধ্যম অথবা ভিন্ন কাঠামো বিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করা যায়, কিন্তু এর সাহায্যে ভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করা যায় না।

গেটওয়ে (Gateway)

হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে WAN ডিভাইসও বলা হয়, যা ভিন্ন প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে (LAN, MAN) সংযুক্ত করে WAN তৈরি করে। গেটওয়ে ভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার সময় প্রটোকল ট্রান্সলেশন করে থাকে।

রোমিং কী?

রোমিং হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কে একটি নোড বা ডিভাইস থেকে অপর নোড বা ডিভাইসে স্মুদ্ধভাবে সংযোগ স্থাপন করে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করার সুযোগ যা আপাতত নোডের নেটওয়ার্ক সঞ্চালকের সাথে অধিনীত নয়। এটি সম্প্রেষিত সঞ্চালকের নেটওয়ার্ক সঞ্চালকের সাথে যোগাযোগের সুযোগ দেয় যাতে স্থানান্তরিত নোড বা ডিভাইস যেখানে থাকে সেখানে সেবা পেয়ে

ইউনিকাষ্ট (Unicast):

ইউনিকাষ্ট নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশনে ডেটা একটি নোড (ডিভাইস) থেকে অন্য একটি নোডে প্রেরণ হয়, অর্থাৎ একটি সুপারিশ্রেণীক মোডে ডেটা প্রেরণ হয়। এই মোডে, প্রেরণকৃত ডেটা কেবলমাত্র একটি নোড দ্বারা গ্রহণ করা হয়। ইউনিকাষ্ট অধিনস্থ কোন নোড ডেটা প্রেরণ করলে শুধুমাত্র সেই নোডটি ডেটা গ্রহণ করতে পারে।

ব্রডকাস্ট (Broadcast):

ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশনে ডেটা একটি নোড থেকে নেটওয়ার্কের সকল নোডে প্রেরণ হয়, অর্থাৎ একটি ব্রডকাস্ট মোডে ডেটা প্রেরণ হয় এবং নেটওয়ার্কের সকল নোড তা গ্রহণ করতে পারে। ব্রডকাস্ট মোডে একটি নোড ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের সকল নোড ডেটা প্রাপ্ত করতে পারে, যার সাথে এই মোড ব্যবহার সম্প্রদায়ের সকল নোডের সাথে সম্প্রেষণ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়।

মাল্টিকাস্ট (Multicast):

মাল্টিকাস্ট নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশনে ডেটা একটি নোড থেকে নেটওয়ার্কের একটি গুরুপের নোডসমূহে প্রেরণ হয়, অর্থাৎ একটি সুপারিশ্রেণীক মোডে ডেটা প্রেরণ হয়, যা নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট গুরুপের নোডসমূহ তা গ্রহণ করতে পারে। মাল্টিকাস্ট মোডে ডেটা প্রেরণ করার জন্য নির্দিষ্ট গুরুপের নোডসমূহের ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন হয়।

                                                                                                                 (ঢাকা বোর্ড ২০১৯)

১। কলেজ ঢাকা শহরের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের আরো পাঁচটি শাখা আছে । অধ্যক্ষ সাহেব মূল প্রতিষ্ঠানে বসেই সবগুলো শাখা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন ৷ পরবর্তীতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইন্টারনেট ব্যবহার করে । স্বল্প খরচে উন্নত সেবা এবং যতটুকু ব্যবহার ততটুকু বিল প্রদান এমন একটি পরিসেবার কথা ভাবছিলেন।

ক. বুটুথ কী?

খ. ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য কোন ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল? তার বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অধ্যক্ষ সাহেব যে নতুন পরিসেবার কথা ভাবছিলেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।

ক. ব্লুটুথ (Bluetooth): ব্লুটুথ হলো একটি কমিউনিকেশন প্রোটোকল যা কোন কিছু ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ডেটা পাঠাতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণভাবে ছোট ব্লুটুথ অথবা পার্সোনাল ডিভাইস কানেকটিভিটি প্রদান করে, যেখানে উপকরণ যেগুলি নির্দিষ্ট ব্লুটুথ রেঞ্জের মধ্যে আছে, তা এক অপরের সাথে সংযোগ করতে পারে। এটি প্রায় মোবাইল ফোন, হেডফোন, স্পিকার, কীবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্মার্টওয়্যাচ, কার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।

খ. সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন: সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন হলো ডেটা ট্রান্সমিশনের একটি প্রকার যেখানে প্রেরণকৃত ডেটা বা সিগন্যাল একটি সময়সীমিত ক্লক সিগন্যালের সাথে সিঙ্ক মিলে যায়। এটি ডেটা ট্রান্সমিশনের সাথে সাথে সময়ের সিঙ্ক্রোনাইজেশন বজায় রেখে দেয়, যা ডেটা প্যাকেটের পুরো গ্রাহকের দিকে সঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গ. উদ্দীপকের আলোকে নেটওয়ার্ক স্থাপন: উদ্দীপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাহেব একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছেন, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শাখা এবং তাদের আধুনিক ব্যবস্থা সমৃদ্ধ করে ছাড়তে পারেন। এই নেটওয়ার্ক সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার করে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সক্ষম করেছেন। এটি উন্নত সেবা সরবরাহে এবং যতটুকু ব্যবহার ততটুকু বিল প্রদানে সাহায্য করে।

ঘ. উদ্দীপকের আলোকে নতুন পরিসেবা: উদ্দীপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে সাথে নতুন পরিসেবা প্রদানের চিন্তা করছেন, যা সাধারণ কমপ্যাক্ট ডিস্ক (CD) বা ডিভিডি (DVD) পরিসেবার মতো না, তা আসলে বাস্তবায়ন সম্ভব। এটি আসলে অনলাইন শিক্ষা, পরীক্ষা, অনুষ্ঠান, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা গুলির মধ্যে অংশগ্রহণ করে একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহায়ক হতে পারে। সেবাগুলি অনলাইন সাধারণ শিক্ষার সাথে সংযোগ করে বিদ্যার্থীদের একটি নতুন শিক্ষার সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ে অনুশাসন করতে সাহায্য করতে পারে।

উদ্দীপকের আলোকে এই পরিসেবাগুলি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে অধ্যক্ষ সাহেব তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে পারেন এবং ছাড়া উপকরণ ব্যবহার করে আরও বিদ্যার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারেন।

(রাজশাহী বোর্ড ২০১৯)

২) রহিম সাহেব তার ছয় বছরের ছেলের জন্য একটি খেলনা উড়োজাহাজ কিনে আনেন । তিনি রিমোট ব্যবহার করে টড়োজাহাজটির উডডয়ন দেখালেন । অন্য দিকে তাঁর বড় ছেলে ল্যাপটপের সাথে ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার ক্রেন । রহিম সাহেব তার স্মার্টফোনে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ।

ক, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?

ব. স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ ব্যাখ্যা কর। .

উদ্দীপকের উড়োজাহাজ উডডয়নের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।

বে, রহিম সাহেব ও তাঁর বড় ছেলের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৌশলগত পদ্ধতি বিশ্লেষণ কর।

ক. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission Mode): ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ডেটা প্যাকেট প্রেরণের একটি স্পেসিফিক প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি, যা তথ্য ডেটা ট্রান্সমিট করতে ব্যবহৃত হয়। এই মোড ডেটা প্যাকেট ট্রান্সমিট হতে পারে এই প্রক্রিয়া দ্বারা বা আমাদের উদাহরণের মত রিমোট বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্থানান্তর হতে পারে। ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের উদাহরণ হিসেবে উড়োজাহাজের রিমোট ব্যবহার এবং স্মার্টফোনের সাথে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।

ব. স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ (Satellite Communication): স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ব্যবহার করে ডেটা এবং কমিউনিকেশন সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং রিসিভ করে। স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ সম্প্রদানের জন্য স্যাটেলাইট ডিশ এবং উপগ্রহ ব্যবহার হয়। স্যাটেলাইট একটি স্থায়ী উপগ্রহ হয় যা অতিরিক্ত একটি প্রক্ষেপক স্থানান্তরে থাকে এবং সুন্দর দূরত্ব চলাচল করে। স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ডেটা বা কমিউনিকেশন সিগন্যাল আকাশের উপর প্রেরণ এবং স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।

উদ্দীপকের উড়োজাহাজ উডডয়নের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা: রহিম সাহেব তার ছেলের জন্য একটি খেলনা উড়োজাহাজ কিনে আনেন, এবং সেই উড়োজাহাজটি রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে উডডয়ন দেখাতে পারেন। রিমোট কন্ট্রোল একটি উপকরণ, যা রিমোট সিগন্যালের মাধ্যমে উডডয়ন এবং নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। এই সিগন্যাল রিমোট থেকে উড়োজাহাজে প্রেরণ হয়, এবং উডডয়ন করার জন্য রিমোট দ্বারা নির্দিষ্ট ম্যানিপুলেশন করা যায়। এই প্রযুক্তি আধুনিক খেলনা উড়োজাহাজে সাধারণ এবং স্বাভাবিক উডডয়ন অভিজ্ঞতা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বে. রহিম সাহেব এবং তার বড় ছেলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৌশলগত পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে তাদের সময় এবং সংকল্প সম্পর্কে বিশেষভাবে চিন্তা করতে পারেন। এটি তাদের ইন্টারনেট সেবার স্থানান্তরে ব্যবহারের জন্য কোনও ব্যক্তিগত কৌশল বা সময় প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন হতে পারে যা সুবিধাজনক এবং কর্মক্ষম হতে পারে।

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বললেন রেডিও , টেলিভিশন, টেলিফোন ও মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা । সাধারণত উক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্যাবলসমূহ তড়িৎ চোস্বকীয় প্রভাব মুক্ত নয়। বর্তমানে ব্যয়বহুল হলেও তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাবমুক্ত বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে।

ক) সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?

খ) ৪জি এঁর গতি ৩জি এঁর থেকে ৫০ গুন বেশি-ব্যাখ্যা কর।

গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইস সমূহে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা বর্ণনা কর।

ঘ) বিকল্প পদ্ধতিটি কি হতে পারে তার স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

ক) সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন (Serial Data Transmission): সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন একটি প্রক্রিয়া যা ডেটা বিন্যাস এবং প্রেরণে একটি বিশিষ্ট সিরিয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে ডেটা বিন্যাস এবং প্রেরণ ডেটা বিটের সিরিয়াল সিকোয়েন্সে একটি পর্যায়ক্রমিক উপক্রিয়া ব্যবহার করে সম্পাদন করা হয়। এটি অনেক সময় লিনিয়ার ক্যাবল ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডেটা সিগন্যাল প্রেরণ এবং গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে প্রতি ডেটা বিট এক সাথে প্রেরণ হয়।

খ) ৪জি এঁর গতি ৩জি এঁর থেকে ৫০ গুন বেশি (4G vs. 3G Speed): ৪জি (4G) ও ৩জি (3G) মোবাইল নেটওয়ার্কের দ্বারা ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি সম্পর্কে বলা হলো। ৪জি নেটওয়ার্ক ৩জি নেটওয়ার্কের চেয়ে একটি দ্বিগুণ থেকে ৫০ গুণ বেশি গতিতে ডেটা প্রেরণ করতে সক্ষম। এটি হাই ব্যান্ডউইথ টেকনোলোজি ব্যবহার করে এবং একক সেলের সাথে বেশি ব্যবহারকারীর প্রেসেন্সে মেজার গতি প্রদান করতে সক্ষম, যা ডেটা দ্বারা অনুমতি প্রদান করে। এছাড়া, ৪জি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা কমিউনিকেশনে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য এক্সপেনসিভ তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব ব্যবহার করে, যা ডেটা প্যাকেটের দ্বারা গতি বৃদ্ধি করে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা স্বরূপ বান্ধবপূর্ণ করে।

গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইস সমূহে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা বর্ণনা: উদ্দীপক বর্ণনা দেয় যে ডিভাইসগুলি ব্যবহার করেন:

  1. রিমোট কন্ট্রোল: রিমোট কন্ট্রোল একটি ডিভাইস যা দূরবর্তী যন্ত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং কাজ সম্পাদন করার সুযোগ দেয়, সাধারণভাবে রিমোট টেলিভিশন, হোম থিয়েটার, গেমিং কনসোল, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স উপকরণে ব্যবহৃত হয়। এই ডিভাইসটি সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে, অর্থাৎ এটি সিগন্যাল এবং প্রেরণ ডেটা বিটগুলি একটি পর্যায়ক্রমিক আদান-প্রদানে ব্যবহার করে কাজ করে।
  2. স্মার্টফোন: স্মার্টফোন একটি ব্যক্তিগত ডিভাইস যা সম্পূর্ণ সিনক্রোনাস সেবা প্রদান করে, এটি ডেটা ট্রান্সমিশনে বেশ সুযোগগুলি সরবরাহ করে, এবং ইন্টারনেট এবং অন্যান্য সেবাগুলির জন্য ডেটা ব্যবহার করে। এটি ব্যক্তিগত এবং কোনও তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব মুক্ত না হলেও, সিস্টেমটি ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য অবশ্যই দরকার হয় এবং এটি ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে কোনও নির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন করে না।
  3. ল্যাপটপ: ল্যাপটপ একটি সম্পূর্ণ সিনক্রোনাস ডিভাইস যা প্রধানভাবে ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, সিস্টেমটি অধিক বৃদ্ধিশীল এবং একটি সুযোগ প্রদান করে তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব সম্পর্কে নেতিবাচক নয়। এটি সম্পূর্ণ সিনক্রোনাস ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব ব্যবহার করে ব্যবহার করে।

ঘ) বিকল্প পদ্ধতিটি কি হতে পারে তার স্বপক্ষে যুক্তি দাও: তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাবে মুক্ত বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে উপরে উল্লিখিত ডিভাইসের সম্প্রদান সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সাথে যোগাযোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলি একটি Wi-Fi নেটওয়ার্কে সংযোগ করতে সক্ষম হতে পারে, যা তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাবমুক্ত ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে, ব্যক্তিরা ডেটা ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে না এবং এটির সহজ এবং সম্প্রদায়িক ব্যবহার সমর্থন দেয়। আরও তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব মুক্ত প্রযুক্তিগুলির উপযোগ করে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা যেতে পারে, যেগুলি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা স্বরূপ সাধারণভাবে তড়িৎ চোষ্বকীয় প্রভাব নেই।

                                                                                                               (যশোর বোর্ড ২০১৯)

রাজ আইসিটি ক্লাসে শিক্ষকের আলােচনা হতে পারে যে, ডেটা কমিউনিকেশনে একটি পদ্ধতিতে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। সে তার বাসায় তারবিহীন ইন্টারনেট সংযােগ নেয়। ফলে সে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে ।

ক, ক্লাউড কম্পিউটিং কী?

খ. আলােক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ইন্টারনেট সংযােগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি কী? ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. উদ্দীপকে ট্রান্সমিশন পদ্ধতি দুটির মধ্যে কোনটির দক্ষতা বেশি? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও ।

ক নিজস্ব ছােট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযােগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলাে ক্লাউড কম্পিউটিং।

খ আলােক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি হলাে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ। কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু। এ ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলাের একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শােষণের কারণে বিশেষ কোনাে লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া যায় ।

গ) উদ্দীপকে ইন্টারনেট সংযােগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলাে Wi-Fi। Wi-Fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযােগ্য কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযােগসমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে তাকে Wi-Fi বলে। এটি ওয়্যারলেস লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড।

একটি নির্দিষ্ট কভারেজ এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। বিগত কয়েক বছরে Wi-Fi প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ISP প্রতিষ্ঠান প্রথমে যােগাযােগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে Wi-Fi সংযােগ দিলেও পরবর্তীতে মাসিক চাদার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা সেলফোনের মতাে কাজ করে। পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেইম, স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ারে Wi-Fi এডাপ্টার থাকে তবে এটি অডিও প্লেয়ার ইন্টারনেটের সাথে Wi-Fi যুক্ত করা যায়।

ঘ প্রশ্নের উত্তর ঘ ডেটা কমিউনিকেশনে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়াকে বলা হয় অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড । আর ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হওয়াকে বলা হয় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড ।অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হবার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝখানে বিরতির সময় সমান নাও হতে পারে। ফলে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সময় তুলনামূলক বেশি লাগে। কিন্তু সিনক্রোনাস মেথডে প্রতি ব্লকে বিরতির সময় সমান থাকে।ফলে সিনক্রোনাস মেথডে সময় তুলনামূলক কম লাগে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে গতি কম ও দক্ষতা কম। কিন্তু সিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলের গতি বেশি ও দক্ষতা বেশি। তাই সিনক্রোনাস পদ্ধতি তুলনামূলক বেশি ব্যয়বহুল। তবে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যান্ডউইথ বেশি বলে দূরবর্তী স্থানে পাঠানাের জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে বড় ধরনের নেটওয়ার্কসহ মােবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, টিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য।উপরােক্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে ট্রান্সমিশন পদ্ধতি দুটির মধ্যে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি।

আরো পড়ুনঃ আইসিটি ৩য় অধ্যায়ঃ জ্ঞানমূলক অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Comment