হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয় সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয়
সূর্যাস্ত আইন ১৭৯৩ সালের ১৪ নং রেগুলেশনে প্রণীত হয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। আইনটিতে বলা হয়েছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে।
সুতরাং, সূর্যাস্ত আইনের প্রণয়ন সাল হল ১৭৯৩।
সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয় বহিপীর?
সূর্যাস্ত আইন ১৭৯৩ সালে প্রণীত হয়। বহিপীর নাটকটি ১৯৫০ সালে লেখা হয়েছিল। সুতরাং, বহিপীর নাটকের প্রেক্ষাপটে সূর্যাস্ত আইন প্রণয়ন সাল হল ১৭৯৩।
নাটকে দেখা যায়, জমিদার হাতেম আলি সূর্যাস্ত আইনে জমিদারী হারাচ্ছেন। এই আইনে অনেক জমিদার জমিদারী হারাতে থাকে এ সময় পর্যন্ত।
সূর্যাস্ত আইন কেন করা হয়েছিল?
সূর্যাস্ত আইন করা হয়েছিল জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করার জন্য। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমিদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু কিছু জমিদার রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সূর্যাস্ত আইন প্রণীত হয়।
সূর্যাস্ত আইনের মূল বিধান ছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে। এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেক জমিদার সূর্যাস্ত আইনে জমিদারি হারিয়ে পথে বসতে হয়েছিল।
সূর্যাস্ত আইনের উদ্দেশ্য ছিল যথাযথভাবে রাজস্ব আদায় করা। কিন্তু এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
সূর্যাস্ত আইন কে প্রবর্তন করেন
সূর্যাস্ত আইন ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন। ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ তিনি ১৪ নং রেগুলেশনে সূর্যাস্ত আইন প্রণয়ন করেন।
সূর্যাস্ত আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমিদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু কিছু জমিদার রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সূর্যাস্ত আইন প্রণীত হয়।
সূর্যাস্ত আইনের মূল বিধান ছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে। এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেক জমিদার সূর্যাস্ত আইনে জমিদারি হারিয়ে পথে বসতে হয়েছিল।
সূর্যাস্ত আইনের উদ্দেশ্য ছিল যথাযথভাবে রাজস্ব আদায় করা। কিন্তু এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
সূর্যাস্ত আইন কী
সূর্যাস্ত আইন হল ব্রিটিশ ভারতের একটি আইন যা ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমিদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায়ের কথা ছিল। কিন্তু কিছু জমিদার রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সূর্যাস্ত আইন প্রণয়ন হয়।
সূর্যাস্ত আইনের মূল বিধান ছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করে জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হবে। এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। অনেক জমিদার সূর্যাস্ত আইনে জমিদারি হারিয়ে পথে বসতে হয়েছিল।
সূর্যাস্ত আইনের সুবিধা হল যে, এটি জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু এই আইনের কিছু অসুবিধাও ছিল। এর মধ্যে একটি হল যে, এই আইনটি অনেক জমিদারকে পথে বসিয়ে দিয়েছিল। আরেকটি অসুবিধা হল যে, এই আইনটি জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি করেছিল।
সূর্যাস্ত আইনের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। এর মধ্যে রয়েছে:
- জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
- বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
- জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
- ব্রিটিশ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
সূর্যাস্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ১৯৫০ সালে।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে কারা সর্বস্বান্ত হয়
সূর্যাস্ত আইনের ফলে মূলত জমিদাররা সর্বস্বান্ত হয়। সূর্যাস্ত আইনে বলা হয়েছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে। এই আইনের ফলে অনেক জমিদার রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হন এবং তাদের জমি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। ফলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা মনে করতেন যে, এই আইনটি তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক। তারা এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে বাংলার অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জমিদাররা ছিলেন বাংলার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের পতন বাংলার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পায়। ব্রিটিশ সরকার জমিদারদের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
সুতরাং, সূর্যাস্ত আইনের ফলে মূলত জমিদাররা সর্বস্বান্ত হয়।
সূর্যাস্ত আইনের ফলাফল
সূর্যাস্ত আইনের ফলাফল ছিল বহুমুখী। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল:
- জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। সূর্যাস্ত আইনে বলা হয়েছিল যে, রাজস্ব পরিশোধে অক্ষম জমিদারদের জমি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করা হবে। এই আইনের ফলে অনেক জমিদার রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হন এবং তাদের জমি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। ফলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা মনে করতেন যে, এই আইনটি তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক। তারা এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
- বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জমিদাররা ছিলেন বাংলার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের পতন বাংলার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়। জমিদারদের পতন হলে কৃষকদের উপর জমিদারদের নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। এতে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
- জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পায়। ব্রিটিশ সরকার সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে জমিদারদের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। জমিদাররা আর আগের মতো স্বাধীন ছিল না।
- ব্রিটিশ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পায়। জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় ব্রিটিশ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ সরকার বাংলার অর্থনীতি ও প্রশাসনে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে বাংলার সমাজে গভীর প্রভাব পড়ে। এই আইনের ফলে জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এছাড়াও, এই আইনের ফলে জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ব্রিটিশ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
সূর্যাস্ত আইন কোন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত
সূর্যাস্ত আইন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সঙ্গে যুক্ত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক ১৭৯৩ সালে প্রবর্তিত একটি ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার অধীনে, জমিদারদেরকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব প্রদানের বিনিময়ে জমির নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রদান করা হয়। সূর্যাস্ত আইন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের একটি অংশ ছিল। এই আইনের মাধ্যমে, জমিদারদেরকে রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের জমি নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল।
সূর্যাস্ত আইনের ফলে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কার্যকারিতা অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়। জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং তারা রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে, জমিদারদের জমি নিলামে বিক্রি হয়ে যায় এবং তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও, জমিদারদের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ব্রিটিশ সরকারের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝায়?
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক ১৭৯৩ সালে প্রবর্তিত একটি ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে বোঝায়। এই ব্যবস্থার অধীনে, জমিদারদেরকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব প্রদানের বিনিময়ে জমির নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রদান করা হয়।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করা এবং বাংলার ভূমি ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা। এই ব্যবস্থার অধীনে, জমিদারদেরকে তাদের জমির উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়। তারা জমির উপর তাদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারতেন এবং তাদের জমি থেকে প্রাপ্ত সমস্ত আয় তাদেরই থাকত।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে, বাংলার ভূমি ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। জমিদারদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা বাংলার সমাজে একটি প্রভাবশালী শ্রেণীতে পরিণত হয়। কিন্তু, এই ব্যবস্থার ফলে কৃষকদের উপর জমিদারদের নির্যাতন বৃদ্ধি পায় এবং বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল:
- জমিদারদেরকে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব প্রদানের বিনিময়ে জমির নিরঙ্কুশ মালিকানা প্রদান করা হয়।
- জমিদারদেরকে তাদের জমির উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়।
- জমিদারদের জমি থেকে প্রাপ্ত সমস্ত আয় তাদেরই থাকত।
- জমিদারদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা বাংলার সমাজে একটি প্রভাবশালী শ্রেণীতে পরিণত হয়।
- কৃষকদের উপর জমিদারদের নির্যাতন বৃদ্ধি পায়।
- বাংলার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলোপের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়।
উপসংহার
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের রাজধানীর নাম কি