হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল
বাংলাদেশের ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। এটি ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি টিন-ছাউনি ভবনে কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৬ সালে মহাখালীতে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
এই হাসপাতালটি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত। এটি ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- সার্জারি
- কেমোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- হরমোন থেরাপি
- ইমিউনোথেরাপি
হাসপাতালটিতে ক্যান্সার গবেষণা ও শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রও রয়েছে।
মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সার হাসপাতাল কোনটি?
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ক্যান্সার হাসপাতাল। এটি ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। এটি ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি টিন-ছাউনি ভবনে কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৬ সালে মহাখালীতে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
এই হাসপাতালটি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত। এটি ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- সার্জারি
- কেমোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- হরমোন থেরাপি
- ইমিউনোথেরাপি
হাসপাতালটিতে ক্যান্সার গবেষণা ও শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রও রয়েছে।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।
অন্যান্য ভালো ক্যান্সার হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
-
বার্ড হসপিটাল, ঢাকা
-
ল্যাবএইড হসপিটাল, ঢাকা
এই হাসপাতালগুলিও ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা প্রদান করে এবং সেগুলি তাদের নিজস্ব সুবিধা এবং বিশেষত্ব রয়েছে।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (NICRH) বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। এটি ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি টিন-ছাউনি ভবনে কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৬ সালে মহাখালীতে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
এই হাসপাতালটি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত। এটি ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- সার্জারি
- কেমোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- হরমোন থেরাপি
- ইমিউনোথেরাপি
হাসপাতালটিতে ক্যান্সার গবেষণা ও শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রও রয়েছে।
NICRH বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে।
ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো কি কি?
ক্যান্সারের লক্ষণগুলি ক্যান্সারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিতে পারে। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অস্বাভাবিক রক্তপাত বা স্রাব
- দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত বা ঘা
- শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা দলা
- হঠাৎ ওজন হ্রাস
- অনিয়মিত প্রস্রাব বা পায়খানা
- অবিরাম ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- অনুভূতিশীলতা বা বেদনা
- জ্বর বা শীতল
এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি ক্যান্সার ধরা পড়ে, তত ভাল চিকিৎসার সম্ভাবনা থাকে।
ক্যান্সারের কিছু নির্দিষ্ট ধরণের জন্য আরও নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশির সাথে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে স্তনে চাকা বা দলা, স্তনবৃন্ত থেকে স্রাব এবং স্তনের আকারে বা আকৃতিতে পরিবর্তন। কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলের সাথে রক্তপাত, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা।
ক্যান্সার হলে বুঝবো কিভাবে?
ক্যান্সার হলে বুঝার জন্য কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলি ক্যান্সারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিতে পারে। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অস্বাভাবিক রক্তপাত বা স্রাব
- দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত বা ঘা
- শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা দলা
- হঠাৎ ওজন হ্রাস
- অনিয়মিত প্রস্রাব বা পায়খানা
- অবিরাম ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- অনুভূতিশীলতা বা বেদনা
- জ্বর বা শীতল
এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি ক্যান্সার ধরা পড়ে, তত ভাল চিকিৎসার সম্ভাবনা থাকে।
ক্যান্সারের কিছু নির্দিষ্ট ধরণের জন্য আরও নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশির সাথে রক্তপাত, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে স্তনে চাকা বা দলা, স্তনবৃন্ত থেকে স্রাব এবং স্তনের আকারে বা আকৃতিতে পরিবর্তন। কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলের সাথে রক্তপাত, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা।
আপনি যদি ক্যান্সারের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করতে সক্ষম হবেন।
ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- শারীরিক পরীক্ষা: আপনার ডাক্তার আপনার শরীর পরীক্ষা করবেন এবং ক্যান্সারের কোন লক্ষণ আছে কিনা তা দেখবেন।
- রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষা ক্যান্সারের নির্দিষ্ট ধরনগুলি সনাক্ত করতে পারে।
- চিত্রায়ন পরীক্ষা: চিত্রায়ন পরীক্ষা, যেমন এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই, ক্যান্সারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সনাক্ত করতে পারে।
- বায়োপসি: বায়োপসি হল একটি পরীক্ষা যেখানে ক্যান্সারের সন্দেহজনক টিস্যু বা কোষের একটি ছোট নমুনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য সরানো হয়।
ক্যান্সার নির্ণয়ের পর, আপনার ডাক্তার আপনার ক্যান্সারের ধরন এবং পর্যায় নির্ধারণ করতে কাজ করবেন। এই তথ্যটি আপনার ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে।
ক্যান্সার নির্ণয় একটি কঠিন সময় হতে পারে। তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ক্যান্সার এখনও একটি সারানো যায় এমন রোগ। যত তাড়াতাড়ি ক্যান্সার ধরা পড়ে, তত ভাল চিকিৎসার সম্ভাবনা থাকে।
সবচেয়ে বেশি দেখা যায় কোন ক্যান্সার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া ক্যান্সার হল:
- পুরুষদের ক্ষেত্রে: ফুসফুসের ক্যান্সার (১৩.০%), পুরুষ প্রস্টেট ক্যান্সার (১০.২%), কোলন এবং মলদ্বার ক্যান্সার (৮.৫%), মূত্রাশয় ক্যান্সার (৫.৭%), এবং লিম্ফোমা (৪.৯%)।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে: স্তন ক্যান্সার (২৫.২%), কোলন এবং মলদ্বার ক্যান্সার (৯.৮%), ফুসফুসের ক্যান্সার (৮.২%), থাইরয়েড ক্যান্সার (৫.৬%), এবং রক্ত ক্যান্সার (৪.৮%)।
বাংলাদেশে, ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া ক্যান্সার হল:
- পুরুষদের ক্ষেত্রে: ফুসফুসের ক্যান্সার (২৬.৬%), খাদ্যনালীর ক্যান্সার (৪.৯%), পাকস্থলীর ক্যান্সার (৫.২%), লসিকা গ্রন্থির ক্যান্সার (৫.০%), এবং লিভার ক্যান্সার (৪.৮%)।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে: স্তন ক্যান্সার (২৯.৩%), জরায়ুমুখের ক্যান্সার (১৪.৩%), গল এবং মুখের ক্যান্সার (৯.০%), মলাশয়ের ক্যান্সার (৮.০%), এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার (৭.৪%)।
ফুসফুসের ক্যান্সার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের ক্যান্সারে প্রায় ২.২ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে। এর কারণ হল ধূমপান, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ।
স্তন ক্যান্সার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্ণয় করা ক্যান্সার। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যান্সারে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষকে নির্ণয় করা হয়েছিল। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, এবং জিনগত পরিবর্তন।
থেরাপি দিতে কত টাকা লাগে?
থেরাপির খরচ নির্ভর করে থেরাপির ধরন, থেরাপির সময়কাল, এবং থেরাপির জন্য ব্যবহৃত ওষুধ বা সরঞ্জামের উপর। সাধারণত, থেরাপির খরচ প্রতি সেশনে ৫০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ক্যান্সারের থেরাপি
ক্যান্সারের থেরাপির খরচ সবচেয়ে বেশি। ক্যান্সারের ধরন, ক্যান্সারের পর্যায়, এবং রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ক্যান্সারের থেরাপির খরচ ৫,০০,০০০ থেকে ১,০০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিত্সার অন্যান্য ধরন
চিকিত্সার অন্যান্য ধরন যেমন শারীরিক থেরাপি, আকুপাঙ্কচার, ওষুধ, এবং মনোচিকিত্সার খরচও থেরাপির ধরন, থেরাপির সময়কাল, এবং থেরাপির জন্য ব্যবহৃত ওষুধ বা সরঞ্জামের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, এই ধরনের থেরাপির খরচ প্রতি সেশনে ১,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
থেরাপির খরচ কমানোর উপায়
থেরাপির খরচ কমানোর জন্য কিছু উপায় রয়েছে। যেমন:
- সরকারী হাসপাতালে বা সরকারি অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা।
- থেরাপির জন্য ছাড় বা ভর্তুকি দেওয়ার জন্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া।
- থেরাপির খরচ বহন করার জন্য বিমা পলিসি করা।
বাংলাদেশে, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। যেমন, সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য রোগীকে শুধুমাত্র ওষুধের খরচ বহন করতে হয়। এছাড়াও, কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ছাড় বা ভর্তুকি দেওয়া হয়।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। যেমন, ব্র্যাক, আশা, এবং কেয়ার বাংলাদেশ প্রভৃতি সংস্থা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রদান করে।
থেরাপির খরচ বহন করার জন্য বিমা পলিসি করা যেতে পারে। যেমন, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিমা পলিসি প্রদান করে।