হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি?
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি? বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম ছিল শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার টুমচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪২ সালের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি? শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন একজন আদর্শ গৃহবধূ ও একজন ত্যাগী নারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে সবসময় পাশে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৯ সন্তানের জননী ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনিও সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে (বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি) বাংলাদেশের “মা” হিসেবে সম্মান করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী ইতিহাস
জন্ম ও শৈশব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শেখ আউয়াল দরবেশ আল-বগদাদী সাহেবের বংশধর।
বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। তিনি ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়।
বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল কাটে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। তিনি তার পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তারপর তিনি গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন।
শিক্ষাজীবন
বঙ্গবন্ধু ১৯২৭ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন এবং তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করা হয়। অসুস্থতার কারণে তিনি স্কুলে নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারেননি।
১৯৩৭ সালে তিনি আবার স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৪২ সালে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন।
কলেজে থাকাকালীন তিনি ছাত্র আন্দোলনে জড়িত হন। তিনি ১৯৪২ সালের ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
রাজনৈতিক জীবন
বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে আসেন এবং পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হন এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী হন।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৬২ সালে তিনি মুক্তি পান এবং পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন। এই দাবিগুলো ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সামরিক শাসন উৎখাত হয়। এরপর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রধান নেতা। তিনি যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।
মৃত্যু
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার সুযোগ তিনি পাননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্য তার বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর অবদান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন মহান নেতা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাতার নাম ছিল সায়েরা খাতুন। তিনি ১৯০০ সালের ২৩ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন গৃহবধূ এবং একজন ধার্মিক নারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোরের একজন আদর্শ মা ছিলেন।
সায়েরা খাতুন ছিলেন একজন সহানুভূতিশীল ও দয়ালু নারী। তিনি সবসময় দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করতেন। তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক নারী এবং তিনি সবসময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনিও সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।
সায়েরা খাতুনকে বাংলাদেশের “মা” হিসেবে সম্মান করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম কি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবার নাম ছিল শেখ লুৎফুর রহমান। তিনি একজন সেরেস্তাদার ছিলেন, ব্রিটিশ ভারতের গোপালগঞ্জ দেওয়ানী আদালতের নথি সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা। তার পুত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
শেখ লুৎফুর রহমান ছিলেন একজন ধার্মিক ও সৎ মানুষ। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ কর্মকর্তা এবং তিনি তার দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিত মানুষ এবং তিনি তার সন্তানদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতেন।
শেখ লুৎফুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।
শেখ লুৎফুর রহমানকে বাংলাদেশের “পিতা” হিসেবে সম্মান করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯ জন সন্তান ছিল। তাদের মধ্যে ৫ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে। ছেলেরা হলেন:
- শেখ কামাল
- শেখ জামাল
- শেখ রাসেল
- শেখ আবু জাহেদ
- শেখ রেফাত
মেয়েরা হলেন:
- শেখ হাসিনা
- শেখ রেহানা
- শেখ জাহানারা
- শেখ হেনা
শেখ কামাল, শেখ জামাল, ও শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শেখ জাহানারা ও শেখ হেনা বিদেশে বসবাস করেন।
বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম কি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাক নাম ছিল “খোকা”। তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার মা তাকে এই নামে ডাকতেন। এই ডাক নামটি তার সাথে সারা জীবন লেগে ছিল।
বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম “খোকা” তার ছোটবেলার সরলতা ও মিষ্টি স্বভাবের প্রতিফলন। তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সাহসী ও সৎ। তিনি সবসময় দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করতেন।
বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম “খোকা” তাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরও কাছের করে তুলেছিল। তিনি ছিলেন সকলের “বঙ্গবন্ধু”, কিন্তু তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব তাকে “খোকা” নামেই ডাকতেন।
বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করা হয় কবে?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ। এদিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণপরিষদের স্পিকার আ স ম আবদুর রব বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘদিনের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে।
বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের সঞ্চার করে।
বঙ্গবন্ধুর লেখা প্রথম গ্রন্থের নাম কি?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা প্রথম গ্রন্থের নাম হল “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”। এটি ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। এটিতে তিনি তার জন্ম থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলির বিবরণ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৬৭ সালে কারাগারে থাকাকালীন এই গ্রন্থটি রচনা শুরু করেন। কিন্তু তিনি শেষ করতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এই গ্রন্থটি সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন।
“অসমাপ্ত আত্মজীবনী” একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল। এটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের পাশাপাশি তৎকালীন সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির বিবরণ রয়েছে। এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গবন্ধু কত মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে মোট ৪৬৮২ দিন কারাগারে কাটিয়েছেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে স্কুলছাত্র অবস্থায় সাত দিন এবং পাকিস্তান আমলে ৪৬৭৫ দিন কারাগারে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর কারাগারের দিনগুলোকে বলা হয় “কারাগারের অগ্নিপরীক্ষা”। এই সময় তিনি অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু তিনি তার আদর্শ ও দেশপ্রেমের চেতনা থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা নেতা এবং তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর কারাগারের দিনগুলো তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল। এই সময় তিনি তার রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মসূচি গড়ে তোলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধুর কারাগারের দিনগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়টি আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব এবং তার দেশপ্রেমের চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধু মোট কতবার গ্রেফতার হন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে মোট ১৮ বার গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে একবার এবং পাকিস্তান আমলে ১৭ বার।
বঙ্গবন্ধুর প্রথম গ্রেফতার হয় ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ আমলে। তিনি তখন গোপালগঞ্জ হাইস্কুলে পড়তেন। তিনি ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে গ্রেফতার হন।
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর প্রথম গ্রেফতার হয় ১৯৪৮ সালে। তিনি তখন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে গ্রেফতার হন।
বঙ্গবন্ধুর শেষ গ্রেফতার হয় ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়। তিনি তখন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এই মামলায় তাকে পাকিস্তানের সামরিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের কারণগুলো ছিল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তার এই আন্দোলনকে দমনের জন্য তাকে গ্রেফতার করত।
বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের ফলে তার রাজনৈতিক জীবনে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনোই হতাশ হননি। তিনি জেলে থেকেও তার আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু কত বছর বেঁচে ছিলেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হন। সুতরাং, তিনি মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনকাল ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তি ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই হতাশ হননি। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কি এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
Visit our home page.