তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ

তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ জেনে নিন। তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • গর্ভাবস্থা: যদি আপনি গর্ভবতী হন, তাহলে আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
  • স্তন্যদান: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়ও অনেক নারীর মাসিক অনিয়মিত হয়।
  • মেনোপজ: মেনোপজের সময়, মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যেমন:
    • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
    • থাইরয়েড সমস্যা
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস

আপনার মাসিক অনিয়মিত হলে, এর কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারবেন। প্রয়োজনে, তিনি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

দুই মাস মাসিক না হওয়ার এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ অনেক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • গর্ভাবস্থা: যদি আপনি গর্ভবতী হন, তাহলে আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে। গর্ভধারণের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ক্লান্তি, এবং পেটে ব্যথা। আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • স্তন্যদান: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়ও অনেক নারীর মাসিক অনিয়মিত হয়। স্তন্যদানের প্রথম কয়েক মাস মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। পরে, মাসিক অনিয়মিত হতে পারে বা আবার শুরু হতে পারে।
  • মেনোপজ: মেনোপজের সময়, মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজের বয়স সাধারণত 50 থেকে 55 বছরের মধ্যে হয়।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যেমন:
    • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
    • থাইরয়েড সমস্যা
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস

আপনার মাসিক অনিয়মিত হলে, এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারবেন। প্রয়োজনে, তিনি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়

সাধারণত, মাসিক চক্রের ১১ থেকে ১৪তম দিনের মধ্যে ডিম্বস্ফোটন হয়। এই সময় ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিণত ডিম বের হয়। এই ডিমটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে প্রায় ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। যদি এই সময়ের মধ্যে কোন পুরুষের শুক্রাণু এই ডিমের সাথে মিলিত হয়, তাহলে গর্ভধারণ সম্ভব হয়।

তাই, মাসিক না হলেই গর্ভধারণ হয় না। মাসিক না হওয়ার পরেও যদি ডিম্বস্ফোটন না হয়, তাহলে গর্ভধারণ হবে না।

এছাড়াও, মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের উপরও গর্ভধারণের সম্ভাবনা নির্ভর করে। সাধারণত, একটি মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। এই ক্ষেত্রে, মাসিক না হলেই ডিম্বস্ফোটন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে, যদি মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য ২৮ দিনের বেশি হয়, তাহলে ডিম্বস্ফোটন আগেও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, মাসিক না হলেও গর্ভধারণ হতে পারে।

সুতরাং, কত দিন মাসিক না হলে গর্ভধারণ হয় এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ, তার নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, সাধারণভাবে বলা যায় যে, মাসিক চক্রের ১১ থেকে ১৪তম দিনের মধ্যে ডিম্বস্ফোটন হয়। এই সময়ের মধ্যে যদি যৌন মিলন হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়

দ্রুত মাসিক হওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় হল:

  • গরম সেঁক: গরম সেঁক জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে সাহায্য করে, যা মাসিককে দ্রুত শুরু করতে পারে। একটি বড় তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন এবং আপনার তলপেটে ২-৩ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এটি দিনে কয়েকবার করুন।
  • জিরা: জিরা মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।
  • আদা: আদা মাসিককে দ্রুত শুরু করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ আদা কুচি এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।
  • লেবু: লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা মাসিককে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২ টি লেবুর রস পান করুন।
  • ভিটামিন ই: ভিটামিন ই মাসিক চক্রকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে।

এই ঘরোয়া উপায়গুলি সাধারণত নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। তবে, যদি আপনি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে এই উপায়গুলি ব্যবহার করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ অনেক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • গর্ভাবস্থা: যদি কোনও মেয়ে গর্ভবতী হয়, তাহলে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
  • স্তন্যদান: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়ও অনেক মেয়ের মাসিক অনিয়মিত হয়। স্তন্যদানের প্রথম কয়েক মাস মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। পরে, মাসিক অনিয়মিত হতে পারে বা আবার শুরু হতে পারে।
  • মেনোপজ: মেনোপজের সময়, মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজের বয়স সাধারণত 50 থেকে 55 বছরের মধ্যে হয়।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যেমন:
    • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
    • থাইরয়েড সমস্যা
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ হল পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)। PCOS হল একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা অনিয়মিত মাসিক, মুখের লোম বৃদ্ধি, এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।

১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়ার কারণ কি

১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়াকে অনিয়মিত মাসিক বলে। সাধারণত, একটি মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। এই চক্রের মধ্যে ডিম্বস্ফোটন হয়, যা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম (ভিতরের আবরণ) পরিবর্তন করে। ডিম্বস্ফোটনের পরে, যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে এন্ডোমেট্রিয়াম ভেঙে যায় এবং মাসিক হয়।

১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): PCOS হল একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা অনিয়মিত মাসিক, মুখের লোম বৃদ্ধি, এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
  • থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনের উৎপাদন করে, যা মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। থাইরয়েড সমস্যার কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যেমন:
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস
    • জরায়ুর ক্যান্সার

১৫ দিন পর পর মাসিক হওয়ার কারণ এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ

মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়াকে অতিরিক্ত মাসিক বলে। সাধারণত, একটি মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। এই চক্রের মধ্যে ডিম্বস্ফোটন হয়, যা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম (ভিতরের আবরণ) পরিবর্তন করে। ডিম্বস্ফোটনের পরে, যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে এন্ডোমেট্রিয়াম ভেঙে যায় এবং মাসিক হয়।

মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): PCOS হল একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা অনিয়মিত মাসিক, মুখের লোম বৃদ্ধি, এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
  • থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনের উৎপাদন করে, যা মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। থাইরয়েড সমস্যার কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যেমন:
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস
    • জরায়ুর ক্যান্সার

মাসে ২-৩ বার মাসিক হওয়ার কারণ এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারবেন। প্রয়োজনে, তিনি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণগুলি হল:

  • গর্ভধারণ: পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল গর্ভধারণ। যদি আপনি অনিরাপদ যৌন মিলন করেছেন, তাহলে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • মেনোপজ: মেনোপজ হল একজন নারীর প্রজনন জীবনের শেষ পর্যায়। মেনোপজের সময়, ডিম্বাশয়গুলি ডিম তৈরি করা বন্ধ করে দেয় এবং পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজ সাধারণত 45 থেকে 55 বছর বয়সের মধ্যে ঘটে।
  • হরমোনজনিত সমস্যা: হরমোনজনিত সমস্যাগুলি যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়াম পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে। ব্যায়াম করলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা পিরিয়ডের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজনও পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
  • অসুস্থতা: কিছু নির্দিষ্ট অসুস্থতা যেমন টাইপ 1 ডায়াবেটিস, অ্যানোরেক্সিয়া এবং থাইরয়েড ক্যান্সার পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • ঔষধ: কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ যেমন অ্যান্টিকনভালসেন্ট, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং কেমোথেরাপি ঔষধ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।

হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য এবং তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং আপনার মেডিকেল ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। প্রয়োজনে তিনি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে পারেন।

ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি

সাধারণত, একটি মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়। এই চক্রের মধ্যে ডিম্বস্ফোটন হয়, যা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম (ভিতরের আবরণ) পরিবর্তন করে। ডিম্বস্ফোটনের পরে, যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে এন্ডোমেট্রিয়াম ভেঙে যায় এবং মাসিক হয়।

মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। যদি মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য ২১ দিনের কম হয়, তাহলে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলে। অনিয়মিত মাসিকের মধ্যে ঘন ঘন মাসিক হওয়াও অন্তর্ভুক্ত।

ঘন ঘন মাসিক হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): PCOS হল একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা অনিয়মিত মাসিক, মুখের লোম বৃদ্ধি, এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। PCOS-এর কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • থাইরয়েড সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনের উৎপাদন করে, যা মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। থাইরয়েড সমস্যার কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • ওজনের পরিবর্তন: খুব বেশি ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • ঔষধপত্র: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে, যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন:
    • জরায়ুর টিউমার
    • এন্ডোমেট্রিওসিস
    • জরায়ুর ক্যান্সার

ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারবেন।

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ূনঃ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে

Leave a Comment