ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্যতালিকা রোগীর শরীরকে পুষ্টি সরবরাহ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করে।

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকায় নিম্নলিখিত খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:

  • ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদানগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ক্যান্সার রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
  • সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্যগুলি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি: স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে রয়েছে অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং বীজ।
  • প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী এবং টিস্যুর বৃদ্ধি এবং মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার এবং ডাল।

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকায় এড়িয়ে চলতে হবে এমন খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রায়শই অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং চর্বি থাকে। এই খাবারগুলি ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • রেড মিট: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ভাজা খাবার: ভাজা খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়গুলি ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ব্রেকফাস্ট:

  • ওটমিল বা অন্যান্য সম্পূর্ণ শস্যের রুটি
  • ফল বা শাকসবজি
  • দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার

দুপুরের খাবার:

  • সবজি দিয়ে ভাত বা রুটি
  • মাছ, মাংস বা ডাল
  • ফল বা শাকসবজি

রাতের খাবার:

  • সবজি দিয়ে তরকারি বা স্যুপ
  • মাছ, মাংস বা ডাল
  • ফল বা শাকসবজি

স্ন্যাকস:

  • ফল
  • শাকসবজি
  • বাদাম বা বীজ

ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর খাদ্যতালিকা

ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে ধীর করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকা অন্তর্ভুক্ত করবেন :

  • ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

  • পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্যগুলি আঁশ, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। রুটি, চাল, ওটমিল এবং অন্যান্য পূর্ণ শস্য পণ্যগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

  • স্বল্প ফ্যাটযুক্ত প্রোটিন: স্বল্প ফ্যাটযুক্ত প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগি, বাদাম এবং শুকনো ফল, ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প।

  • স্বল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলিতে প্রায়শই অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং ক্ষতিকারক চর্বি থাকে। ক্যান্সার রোগীদের জন্য এগুলি এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার যা সুবিধাজনক হতে পারে:

  • ডালিম: ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে ধীর করতে পারে।
  • তিসির বীজ: তিসির বীজে প্রচুর পরিমাণে লিগন্যান থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
  • আখরোট: আখরোটগুলিতে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
  • ব্রোকলি: ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে সালফোরোফেন থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে ধীর করতে পারে।
  • গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

ক্যান্সার রোগী কি দুধ খেতে পারবে

ক্যান্সার রোগী দুধ খেতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে রোগীর ব্যক্তিগত অবস্থার উপর। সাধারণভাবে, ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা গুরুত্বপূর্ণ, যার মধ্যে দুধও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে, যা ক্যান্সার রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। [ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা]

ক্যান্সার রোগীদের জন্য দুধের কিছু সুবিধা হল:

  • প্রোটিন: দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা পেশী এবং টিস্যুর বৃদ্ধি এবং মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • ক্যালসিয়াম: দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভিটামিন: দুধে ভিটামিন A, D, E এবং K থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

ক্যান্সার রোগীদের জন্য দুধের কিছু অসুবিধা হল:

  • ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: কিছু ক্যান্সার রোগী ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতায় ভুগতে পারে। এটি একটি শর্ত যাতে শরীর ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না, যা দুধের প্রধান চিনি। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা থাকলে, ক্যান্সার রোগীরা ল্যাকটোজ-মুক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বেছে নিতে পারেন।
  • অ্যালর্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু ক্যান্সার রোগী দুধের প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা যা শ্বাসকষ্ট, ত্বকের ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। দুধের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে, ক্যান্সার রোগীরা দুধ এড়ানো উচিত।
  • ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ক্যান্সার চিকিৎসার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া, দুধ পান করা কঠিন করে তুলতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ক্যান্সার রোগীরা দুধের পরিবর্তে অন্যান্য প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস, যেমন মাছ, মাংস, ডাল এবং শাকসবজি বেছে নিতে পারেন।

ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচবে তা নির্ভর করে অনেকগুলো কারণের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ক্যান্সারের ধরন: কিছু ক্যান্সার, যেমন লিউকেমিয়া, সাধারণত অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি আরও মারাত্মক।
  • ক্যান্সারের স্তর: ক্যান্সারের স্তর নির্ধারণ করে যে ক্যান্সারটি কতটা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম স্তরের ক্যান্সার সাধারণত কম মারাত্মক এবং এটি আরও বেশি বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।
  • ক্যান্সারের অবস্থান: কিছু ক্যান্সার, যেমন মস্তিষ্কের ক্যান্সার, অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে চিকিত্সা করা কঠিন হতে পারে।
  • রোগীর বয়স এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য: বয়স্ক রোগীরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত রোগীরা ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে পারে এবং তাদের কম বাঁচার সম্ভাবনা থাকে।
  • চিকিৎসার সাফল্য: ক্যান্সারের চিকিৎসার সাফল্য রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থার উপর নির্ভর করে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্যতালিকা রোগীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা জন্য সুপারিশকৃত খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি অংশ ফল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত।
  • পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়টি অংশ পূর্ণ শস্য খাওয়া উচিত।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন: ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন প্রায় 1.2 থেকে 1.7 গ্রাম প্রোটিন প্রতি কেজি ওজন খাওয়া উচিত। প্রোটিনযুক্ত খাবারের ভালো উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, মুরগি, মাংস, ডাল এবং দুগ্ধজাত খাবার।
  • স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি অংশ দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত তেল: স্বাস্থ্যকর তেলগুলিতে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে দুই চা চামচ স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া উচিত।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ এবং ক্ষতিকারক চর্বি থাকে। এই খাবারগুলি ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
  • রেড মিট: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর সাথে যুক্ত চর্বি থাকে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন দুই আউন্সের বেশি লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়।
  • প্রক্রিয়াজাত মাংস: প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর সাথে যুক্ত অন্যান্য উপাদান থাকে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়ানো উচিত।
  • খাওয়ার সময় তেল ভাজা খাবার: ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক চর্বি থাকে, যা ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের ভাজা খাবার এড়ানো উচিত।
  • অ্যালকোহল: অ্যালকোহল ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের অ্যালকোহল এড়ানো উচিত।

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্যতালিকা রোগীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা মধ্যে রয়েছে:

  • ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি অংশ ফল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত।
  • পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়টি অংশ পূর্ণ শস্য খাওয়া উচিত।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন: পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন প্রায় 1.2 থেকে 1.7 গ্রাম প্রোটিন প্রতি কেজি ওজন খাওয়া উচিত। প্রোটিনযুক্ত খাবারের ভালো উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, মুরগি, মাংস, ডাল এবং দুগ্ধজাত খাবার।
  • স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি অংশ দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত তেল: স্বাস্থ্যকর তেলগুলিতে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে দুই চা চামচ স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া উচিত।

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা এড়ানো উচিত এমন খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ এবং ক্ষতিকারক চর্বি থাকে। এই খাবারগুলি ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
  • রেড মিট: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর সাথে যুক্ত চর্বি থাকে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রতিদিন দুই আউন্সের বেশি লাল মাংস খাওয়া উচিত নয়।
  • প্রক্রিয়াজাত মাংস: প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর সাথে যুক্ত অন্যান্য উপাদান থাকে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়ানো উচিত।
  • খাওয়ার সময় তেল ভাজা খাবার: ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক চর্বি থাকে, যা ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের ভাজা খাবার এড়ানো উচিত।
  • অ্যালকোহল: অ্যালকোহল ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার রোগীদের অ্যালকোহল এড়ানো উচিত।

কি ওষুধ খেলে ক্যান্সার হয়

হ্যাঁ, কিছু ওষুধ খেলে ক্যান্সার হতে পারে। এই ধরনের ওষুধগুলিকে “ক্যান্সারোজেন” বলা হয়। ক্যান্সারোজেন হল এমন কোনও পদার্থ যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যান্সারোজেন ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যান্টিবায়োটিক: কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডস, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কর্কটরোধী ওষুধ: কর্কটরোধী ওষুধগুলি ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলতে পারে, তবে তারা সুস্থ কোষগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই ক্ষতি থেকে ক্যান্সার হতে পারে।
  • হরমোন থেরাপি: হরমোন থেরাপি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ পদ্ধতি। তবে, এটি কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • রক্ত পরিষ্কারক ওষুধ: রক্ত পরিষ্কারক ওষুধগুলি হিমোডায়ালাইসিসের সময় ব্যবহৃত হয়। কিছু রক্ত পরিষ্কারক ওষুধ, যেমন অ্যামফোটেরেসিন বি, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ

তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ

Leave a Comment