ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে  ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল

ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল

ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশলগুলি নিম্নরূপ:

**1. **ইমেইলটি দ্রুত ফিরিয়ে আনুন। ইমেলটি পাঠানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করুন। এতে প্রাপককে মনে হবে যে আপনি আপনার ভুলের জন্য সত্যিই দুঃখিত এবং আপনি এটি সংশোধন করতে আগ্রহী।

**2. **আপনার ভুলের জন্য স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চাইতে ভুলবেন না। ইমেলে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্যে আপনার ভুলের জন্য স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চাইতে ভুলবেন না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন:

“আমি একটি ভুল করেছি এবং আমি দুঃখিত। আমি আমার ইমেলে [ভুলের বিবরণ] করেছি।”

**3. **আপনি কীভাবে ভুলটি করেছেন তা ব্যাখ্যা করুন। প্রাপককে বুঝতে সাহায্য করার জন্য আপনি কীভাবে ভুলটি করেছেন তা ব্যাখ্যা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন:

“আমি [ভুলের কারণ] কারণে ভুলটি করেছি। আমি ভবিষ্যতে এটি এড়াতে সতর্ক থাকব।”

**4. **আপনি কীভাবে ভুলটি সংশোধন করছেন তা ব্যাখ্যা করুন। আপনি কীভাবে ভুলটি সংশোধন করছেন তা ব্যাখ্যা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন:

“আমি আমার ইমেলটি [ভুল সংশোধনের বিবরণ] করে সংশোধন করেছি।”

**5. **আপনার ভুলের জন্য প্রাপকের সময় এবং ধৈর্য্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রাপকের সময় এবং ধৈর্য্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন:

“আমি আপনার সময় এবং ধৈর্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।”

এখানে একটি উদাহরণ রয়েছে কিভাবে আপনি একটি ইমেল ফিরিয়ে আনতে পারেন:

বিষয়: ইমেল সংশোধন

প্রিয় [প্রাপক নাম],

আমি একটি ভুল করেছি এবং আমি দুঃখিত। আমি আমার ইমেলে “এখানে ভুল তথ্য” লিখেছি। সঠিক তথ্য হল “এখানে সঠিক তথ্য”।

আমি ভুলটি করেছি কারণ আমি [ভুলের কারণ]। ভবিষ্যতে এটি এড়াতে আমি সতর্ক থাকব।

আমি আমার ইমেলটি সংশোধন করেছি এবং একটি নতুন সংস্করণ পাঠিয়েছি।

আপনার সময় এবং ধৈর্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ইমেইল পাঠানোর পর কিভাবে ফিরে পাবো?

ইমেইল পাঠানোর পর কিভাবে ফিরে পাবো

ইমেল পাঠানোর পর ফিরে আনার জন্য, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ইমেল প্রোভাইডার এই বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করে। বেশিরভাগ প্রধান ইমেল প্রোভাইডার, যেমন Gmail, Yahoo Mail এবং Outlook, এই বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করে।

Gmail-এ একটি ইমেল ফিরিয়ে আনতে:

  1. ইমেলটি খোলা যা আপনি ফিরিয়ে আনতে চান।

  2. “উইন্ডো > ইমেল ফিরিয়ে আনুন” নির্বাচন করুন।

  3. “ইমেল ফিরিয়ে আনুন” বোতামে ক্লিক করুন।

Yahoo Mail-এ একটি ইমেল ফিরিয়ে আনতে:

  1. ইমেলটি খোলা যা আপনি ফিরিয়ে আনতে চান।

  2. “অ্যাকশন” মেনুতে ক্লিক করুন এবং “ইমেল ফিরিয়ে আনুন” নির্বাচন করুন।

  3. “ইমেল ফিরিয়ে আনুন” বোতামে ক্লিক করুন।

Outlook-এ একটি ইমেল ফিরিয়ে আনতে:

  1. ইমেলটি খোলা যা আপনি ফিরিয়ে আনতে চান।

  2. “ইমেল ফিরিয়ে আনুন” বোতামে ক্লিক করুন।

  3. “ইমেল ফিরিয়ে আনুন” বোতামে ক্লিক করুন।

ইমেইল বলতে কী বোঝায়?

ইমেইল হল ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ইমেল হল যোগাযোগের একটি জনপ্রিয় উপায়, এবং এটি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইমেলের একটি সাধারণ কাঠামো রয়েছে। ইমেলের মধ্যে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে:

  • বিষয়: ইমেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
  • বার্তা: ইমেলের মূল বিষয়বস্তু।
  • প্রেরক: ইমেল পাঠানোর ব্যক্তি বা সংস্থা।
  • প্রাপক: ইমেল প্রাপ্ত ব্যক্তি বা সংস্থা।

ইমেলগুলিতে অতিরিক্ত তথ্য থাকতে পারে, যেমন ফাইল সংযুক্তি বা বার্তা সাইন-অফ।

ইমেল পাঠাতে, আপনাকে একটি ইমেল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। একটি ইমেল অ্যাকাউন্ট একটি নির্দিষ্ট নাম এবং ঠিকানা সহ একটি সার্ভারে সংরক্ষিত হয়। ইমেল অ্যাকাউন্টগুলি বিনামূল্যে বা অর্থপ্রদানের ভিত্তিতে পাওয়া যায়।

একটি ইমেল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, আপনি ইমেল অ্যাক্সেস করতে এবং পাঠাতে একটি ইমেল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। ইমেল ক্লায়েন্টগুলি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ইমেলের সাথে কাজ করতে ডিজাইন করা হয়েছে। বেশিরভাগ ওয়েব ব্রাউজারগুলিতেও ইমেল অ্যাক্সেস করার জন্য একটি ইনবিল্ট ইমেল ক্লায়েন্ট থাকে।

ইমেল পাঠানোর জন্য, আপনাকে ইমেল অ্যাকাউন্ট এবং ইমেল ক্লায়েন্টের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশ করতে হবে। এই তথ্যের মধ্যে সাধারণত আপনার ইমেল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং প্রেরক এবং প্রাপকের ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ইমেল একটি শক্তিশালী যোগাযোগের হাতিয়ার যা ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইমেল ব্যবহার করে, আপনি দ্রুত এবং সহজেই অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

পাঠানো মেইল ​​কি ডিলিট করা যায়

পাঠানো মেইল __কি ডিলিট করা যায়

হ্যাঁ, পাঠানো ইমেল ডিলিট করা যায়। তবে, এটি নির্ভর করে আপনার ইমেল প্রোভাইডার এবং আপনি ইমেল পাঠানোর পর কতক্ষণ কেটে গেছে তার উপর।

বেশিরভাগ ইমেল প্রোভাইডার পাঠানো ইমেলগুলিকে “আনডু” করার জন্য একটি বৈশিষ্ট্য অফার করে। এই বৈশিষ্ট্যটি আপনাকে ইমেল পাঠানোর পর কিছু সময়ের মধ্যে ইমেলটিকে আপনার ইনবক্স থেকে মুছে ফেলতে দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, Gmail-এ, আপনি পাঠানো ইমেলগুলিকে 5 মিনিট বা তার কম সময়ের মধ্যে “আনডু” করতে পারেন।

আপনার ইমেল প্রোভাইডার এই বৈশিষ্ট্যটি সমর্থন করে কিনা তা নিশ্চিত করতে, আপনি তাদের ওয়েবসাইট বা গ্রাহক পরিষেবা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনি যদি আপনার ইমেল প্রোভাইডার দ্বারা সরবরাহ করা “আনডু” বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করতে না পারেন তবে আপনি সর্বদা ইমেলটিকে আপনার ইনবক্স থেকে ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে পারেন। যাইহোক, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে যদি ইমেলটি ইতিমধ্যে প্রাপক দ্বারা পড়া বা ডাউনলোড করা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি এটি মুছে ফেলার পরেও এটি দেখতে পাবেন।

ইমেল ডিলিট করার জন্য, আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  1. আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন।
  2. আপনি যে ইমেলটি ডিলিট করতে চান তা খুলুন।
  3. ইমেলের উপরে ডান-ক্লিক করুন এবং “ডিলিট” নির্বাচন করুন।
  4. “ডিলিট” বোতামে ক্লিক করুন।

ইমেল ডিলিট করার পরে, এটি আপনার ইনবক্স থেকে মুছে ফেলা হবে। যাইহোক, এটি আপনার “আর্কাইভ” বা “স্প্যাম” ফোল্ডারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। আপনি যদি এই ফোল্ডারগুলি থেকে ইমেলগুলিও মুছে ফেলতে চান তবে আপনাকে সেগুলিও ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে হবে।

একটি ই মেইল এর প্রধান দুটি অংশের নাম কি?

একটি ইমেলের প্রধান দুটি অংশ হল বিষয় এবং বার্তা

বিষয় হল ইমেলের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ যা প্রাপককে ইমেলের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। বিষয় সাধারণত একটি বা দুটি বাক্যে লেখা হয় এবং এটি ইমেলের বিষয়বস্তুকে সংক্ষিপ্ত এবং সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে।

বার্তা হল ইমেলের মূল বিষয়বস্তু। বার্তাটিতে ইমেলের প্রেরক কী বলতে চায় তা রয়েছে। বার্তাটি সাধারণত একাধিক বাক্যে লেখা হয় এবং এটি স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।

ইমেলের অন্যান্য অংশগুলি হল প্রেরক, প্রাপক এবং ফাইল সংযুক্তি

প্রেরক হল ইমেল পাঠানোর ব্যক্তি বা সংস্থা।

প্রাপক হল ইমেল প্রাপ্ত ব্যক্তি বা সংস্থা।

ফাইল সংযুক্তি হল ইমেলের সাথে সংযুক্ত করা কোনও ফাইল। ফাইল সংযুক্তিগুলি সাধারণত ইমেলের বিষয়বস্তুকে আরও ব্যাখ্যা করতে বা তথ্য প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।

অপ্রয়োজনীয় ই মেইল কোথায় থাকে

অপ্রয়োজনীয় ইমেলগুলি সাধারণত আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টের “স্প্যাম” বা “আর্কাইভ” ফোল্ডারে সংরক্ষণ করা হয়।

স্প্যাম ফোল্ডার হল সেই সমস্ত ইমেলের জন্য একটি সংগ্রহস্থল যা আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় বা অনুপযুক্ত বলে মনে করা হয়। স্প্যাম ইমেলগুলি সাধারণত বিজ্ঞাপন, প্রতারণামূলক ইমেল বা অনুপযুক্ত সামগ্রী ধারণ করে।

আর্কাইভ ফোল্ডার হল সেই সমস্ত ইমেলের জন্য একটি সংগ্রহস্থল যা আপনি আর প্রায়শই অ্যাক্সেস করেন না। আর্কাইভ ইমেলগুলি সাধারণত পুরানো ইমেল, গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নিয়মিত অ্যাক্সেস করা প্রয়োজন হয় না এমন ইমেল বা ইমেল যা আপনি সংরক্ষণ করতে চান কিন্তু আপনার ইনবক্সে রাখতে চান না।

আপনি যদি আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টে অপ্রয়োজনীয় ইমেল খুঁজে পান, তাহলে আপনি সেগুলিকে ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে পারেন বা সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে স্থানান্তর করতে পারেন। আপনি আপনার ইমেল প্রোভাইডারকে আপনার ইমেলগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম বা আর্কাইভ করতেও বলতে পারেন।

আপনি যদি আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টে অপ্রয়োজনীয় ইমেলের সংখ্যা কমাতে চান তবে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • আপনার ইমেল স্প্যাম ফিল্টারটিকে সঠিকভাবে কনফিগার করুন। আপনার স্প্যাম ফিল্টারটিকে এমনভাবে কনফিগার করুন যা আপনার প্রয়োজনীয় ইমেলগুলিকে স্প্যাম হিসাবে চিহ্নিত না করে।
  • আপনার ইমেল প্রোভাইডার দ্বারা সরবরাহ করা ইমেল ফিল্টারিং পরিষেবাগুলি ব্যবহার করুন। কিছু ইমেল প্রোভাইডার অপ্রয়োজনীয় ইমেলগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনাক্ত এবং ব্লক করার জন্য ফিল্টারিং পরিষেবাগুলি সরবরাহ করে।
  • ইমেল তালিকা থেকে সাবস্ক্রাইব করুন। আপনি যদি কোনও ইমেল তালিকা থেকে সাবস্ক্রাইব করতে চান না, তাহলে সাবস্ক্রিপশনটি বাতিল করার জন্য ইমেলের নীচে থাকা লিঙ্কটি ব্যবহার করুন।
  • অপ্রয়োজনীয় ইমেলগুলিকে ব্লক করুন। আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট প্রেরকের কাছ থেকে ইমেল পাওয়া বন্ধ করতে চান, তাহলে আপনি সেই প্রেরককে ব্লক করতে পারেন।

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের ইমেইল পাঠানোর পর তা ফিরিয়ে আনার কৌশল এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ নতুন ক্রেডিট কার্ড নেয়ার পর যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন

Leave a Comment