হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই সাকিব খান কত টাকার মালিক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে সাকিব খান কত টাকার মালিক সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
সাকিব খান কত টাকার মালিক
সাকিব খান বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা। তিনি টোটাল ২০ (প্রায়) মিলিয়ন ডলারের মালিক। তিনি প্রতিটি সিনেমার জন্য ৫০-৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তিনি ঢাকায় একটি বিশাল বাড়ি, একটি গাড়ির সংগ্রহ এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন।
২০২৩ সালের হিসাবে, শাকিব খানের সম্পদের মধ্যে রয়েছে:
- ঢাকায় একটি বিশাল বাড়ি
- বিভিন্ন গাড়ির সংগ্রহ
- বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ
- ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ
শাকিব খান তার অভিনয় ও ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হয়ে উঠেছেন। তিনি তার সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।\
শাকিব খানের মাসিক আয় কত
শাকিব খান বর্তমানে প্রতিটি সিনেমার জন্য ৫০-৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। তিনি বছরে গড়ে ৩-৪টি সিনেমা করেন। সুতরাং, তার সিনেমা থেকে মাসিক আয় হয় প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তার অনুমানের উপর ভিত্তি করে, তার মাসিক আয় প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা হতে পারে।
অবশ্য, তার আয়ের সঠিক পরিমাণ জানা যায় না। কারণ, তিনি তার আয়ের হিসাব প্রকাশ করেন না। তবে, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আয় করা অভিনেতাদের একজন।
শাকিব খানের পড়াশোনা
শাকিব খান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাশ করেন। এছাড়াও, তিনি কোরিওগ্রাফার আজিজ রেজা এর অধীনে একটি নাচের কোর্স সম্পন্ন করেন। এর পর চলচিত্রের সাথে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় আর পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি।
শাকিব খান ১৯৯৯ সালে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন সবাইতো সুখী হতে চায় চলচ্চিত্রে। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এতে তার বিপরীতে ছিল আরেক নবাগতা কারিশমা শেখ। শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা, যা ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন আরেক অভিনয়শিল্পী মৌসুমীর ছোটবোন ইরিন জামান, এবং এটি দু’জনেরই অভিষেক চলচ্চিত্র হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছে। অনন্ত ভালোবাসা খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব খান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শাকিব খান তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। তিনি একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা কে
২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা হলেন শাকিব খান। তিনি তার অভিনয় ও ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হয়ে উঠেছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০ (প্রায়) মিলিয়ন ডলার।
শাকিব খান প্রতিটি সিনেমার জন্য ৫০-৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। তিনি বছরে গড়ে ৩-৪টি সিনেমা করেন। সুতরাং, তার সিনেমা থেকে মাসিক আয় হয় প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন।
শাকিব খান তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে:
- ঢাকায় একটি বিশাল বাড়ি
- বিভিন্ন গাড়ির সংগ্রহ
- বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ
- ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ
শাকিব খান তার অভিনয় ও ব্যবসায়িক দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তিনি তার সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চায় সহায়তা করছেন।
শাকিব খানের বাড়ি
শাকিব খান ঢাকায় দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি বাড়ি গুলশান ২ নাম্বার এলাকায় অবস্থিত। এই বাড়িটি তিনি ২০০৬ সালে ক্রয় করেন। বাড়িটির আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট। বাড়িটিতে রয়েছে চারটি বেডরুম, তিনটি বাথরুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি লিভিং রুম, একটি ওয়ার্কিং রুম, একটি জিম এবং একটি সুইমিং পুল।
শাকিব খানের আরেকটি বাড়ি ঢাকার নিকেতন এলাকায় অবস্থিত। এই বাড়িটি তিনি ২০২২ সালে নির্মাণ করেন। বাড়িটির আয়তন প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট। বাড়িটিতে রয়েছে ছয়টি বেডরুম, চারটি বাথরুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি লিভিং রুম, একটি ওয়ার্কিং রুম, একটি জিম এবং একটি সুইমিং পুল।
শাকিব খানের গুলশানের বাড়িটির বাহ্যিক সৌন্দর্য বেশ মনোরম। বাড়িটির সামনে রয়েছে একটি বড় বাগান। বাগানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও ফুল। বাড়ির ভিতরে রয়েছে আধুনিক ও আরামদায়ক আসবাবপত্র। বাড়ির প্রতিটি কক্ষে রয়েছে উন্নত মানের সুযোগ-সুবিধা।
শাকিব খানের স্ত্রী কে
২০২৩ সালের হিসাবে, শাকিব খানের কোন স্ত্রী নেই। তিনি ২০১৮ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন অপু বিশ্বাস। তাদের এক ছেলে রয়েছে যার নাম আব্রাম খান জয়।
শাকিব খান বর্তমানে অবিবাহিত। তিনি আবার বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি একজন ভালো মানুষকে বিয়ে করতে চান।
শাকিব খানের মোট ছবির সংখ্যা কত
২০২৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত, শাকিব খানের মোট ছবির সংখ্যা ২২৪টি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল সবাই তো সুখী হতে চায় (১৯৯৯)। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হল প্রিয়তমা (২০২৩)।
শাকিব খান তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। তিনি একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।
শাকিব খানের প্রথম ছবি কত সালে?
শাকিব খানের অভিনীত প্রথম ছবিটি ছিল “সবাই তো সুখী হতে চায়”, যা ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায়। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ইরিন জামান।
তবে, শাকিব খান প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন ১৯৯৯ সালে আফতাব খান টুলু পরিচালিত “সবাইতো সুখী হতে চায়” চলচ্চিত্রে, যা তার অভিষেক চলচ্চিত্র হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছে। এতে তার বিপরীতে ছিল আরেক নবাগতা কারিশমা শেখ।