SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা

SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা (1)

SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা

SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা করতে চান তবে আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনি কী ধরনের কোর্স অধ্যয়ন করতে চান এবং আপনি কোন দেশে পড়াশোনা করতে চান তা সিদ্ধান্ত নিন।
  2. আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝুন: প্রতিটি দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝতে আপনার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করুন।
  3. আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন: আপনার আবেদনের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন এবং আবেদন ফি প্রদান করুন।
  4. স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন: আপনি যদি স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হন তবে আবেদন করুন। স্কলারশিপগুলি আপনার পড়াশোনার খরচ কমানোর জন্য সহায়তা করতে পারে।
  5. ভিসার জন্য আবেদন করুন: আপনার পড়াশোনার জন্য ভিসার প্রয়োজন হলে, সেই দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসার জন্য আবেদন করুন।

বিদেশে পড়াশোনা করার সুবিধা

বিদেশে পড়াশোনা করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বিশ্বমানের শিক্ষা: বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রদান করে।
  • নতুন সংস্কৃতি এবং ভাষা শেখার সুযোগ: বিদেশে পড়াশোনা আপনাকে নতুন সংস্কৃতি এবং ভাষা সম্পর্কে জানতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে দেয়।
  • আপনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি: বিদেশে পড়াশোনা আপনার চাকরির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

বিদেশে পড়াশোনার চ্যালেঞ্জ

বিদেশে পড়াশোনা করার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ভাষার বাধা: আপনি যদি ইংরেজিতে সাবলীল না হন তবে আপনাকে নতুন ভাষা শিখতে হবে।
  • সংস্কৃতির পার্থক্য: নতুন দেশে বসবাস এবং পড়াশোনা করা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
  • খরচ: বিদেশে পড়াশোনা ব্যয়বহুল হতে পারে।

বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য কিছু টিপস

বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

  • আপনার লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে পরিষ্কার হন: আপনি কী ধরনের কোর্স অধ্যয়ন করতে চান এবং আপনি কোন দেশে পড়াশোনা করতে চান তা নিশ্চিত করুন।
  • আপনার গবেষণা করুন: প্রতিটি দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আপনার গবেষণা করুন এবং আপনার জন্য সেরা বিকল্পটি খুঁজে বের করুন।
  • আপনার আবেদন প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করুন: আবেদন প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তাই আপনার আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করুন।
  • স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন: আপনি যদি স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হন তবে আবেদন করুন। স্কলারশিপগুলি আপনার পড়াশোনার খরচ কমানোর জন্য সহায়তা করতে পারে।
  • আপনার মানসিকভাবে প্রস্তুত হন: বিদেশে পড়াশোনা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তাই আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।

দশম শ্রেণির পর কোন দেশ ভালো

দশম শ্রেণির পর কোন দেশ ভালো

দশম শ্রেণির পর কোন দেশ ভালো তা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য, পছন্দ এবং আর্থিক পরিস্থিতির উপর। আপনি যদি বিশ্বমানের শিক্ষা পেতে চান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি দেশগুলি আপনার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে। এই দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে।

আপনি যদি কম খরচে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে আপনি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন, রাশিয়া ইত্যাদি দেশগুলি বিবেচনা করতে পারেন। এই দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির খরচ তুলনামূলকভাবে কম, তবে তাদের মানও ভালো।

আপনি যদি আপনার পছন্দের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে চান, তাহলে আপনি সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞতা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুঁজতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে আপনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT), স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Caltech) ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিবেচনা করতে পারেন।

আপনি যদি আপনার আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেন, তাহলে আপনি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। অনেক দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে।

দশম শ্রেণির পর পড়াশোনার জন্য কিছু জনপ্রিয় দেশ

  • যুক্তরাষ্ট্র
  • যুক্তরাজ্য
  • কানাডা
  • অস্ট্রেলিয়া
  • জাপান
  • জার্মানি
  • ফ্রান্স
  • সুইজারল্যান্ড
  • মালয়েশিয়া
  • থাইল্যান্ড
  • সিঙ্গাপুর
  • ভারত
  • চীন
  • রাশিয়া

দশম শ্রেণির পর পড়াশোনার জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করুন

  • আপনার লক্ষ্য
  • আপনার পছন্দ
  • আপনার আর্থিক পরিস্থিতি
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের মান
  • শিক্ষার খরচ
  • স্কলারশিপের সুযোগ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কেন বিদেশে পড়তে চায়?

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনা করতে চায় বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে কিছু প্রধান কারণ হল:

  • বিশ্বমানের শিক্ষা: বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। এই দেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা পেতে বিদেশে পড়াশোনা করতে চায়।
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ: বিদেশে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরির সুযোগ পায়। অনেক বিদেশী কোম্পানি আন্তর্জাতিক দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের চাকরি দেওয়ার জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে চায়।
  • সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা: বিদেশে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা নতুন সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনা করতে চায়।
  • স্বাধীনতা: বিদেশে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারে। নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনা করতে এবং নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশোনা করতে চায়।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে পড়াশোনার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০,০০০ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ থেকে দশম শ্রেণির পর বিদেশে পড়াশোনা করা যাবে কি?

বাংলাদেশ থেকে দশম শ্রেণির পর বিদেশে পড়াশোনা করা যাবে কি

হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে দশম শ্রেণির পর বিদেশে পড়াশোনা করা সম্ভব। তবে, এক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

  • প্রথমত, শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল থাকতে হবে। এসএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৫ থাকলে ভালো হয়।
  • দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীর ইংরেজি দক্ষতা ভাল হতে হবে। বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অপরিহার্য। শিক্ষার্থীকে ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে, লিখতে এবং পড়তে সক্ষম হতে হবে।
  • তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। বিদেশে পড়াশোনা ব্যয়বহুল। শিক্ষার্থীকে বা তার পরিবারকে পড়াশোনার খরচ বহন করতে সক্ষম হতে হবে।

বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নির্বাচিত দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে শিক্ষার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, ইংরেজি দক্ষতার সনদপত্র এবং আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়তে পারে।

বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য কিছু টিপস:

  • প্রথমত, ভালো প্রস্তুতি নিন। এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার জন্য এবং ইংরেজি দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রস্তুতি নিন।

  • দ্বিতীয়ত, তথ্য সংগ্রহ করুন। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, ভিসা নিয়ম এবং খরচ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন।

  • তৃতীয়ত, উপযুক্ত স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন। আপনার পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য উপযুক্ত স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন।

  • চতুর্থত, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। নির্বাচিত দেশের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন।

বিদেশে এমবিবিএস পড়ার খরচ

বিদেশে MBBS পড়ার খরচ দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্সের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, বিদেশে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $10,000 থেকে $50,000 এর মধ্যে হয়।

বিদেশে MBBS পড়ার খরচের মধ্যে রয়েছে:

  • শিক্ষার ফি: শিক্ষার ফি হল বিদেশে MBBS পড়ার সবচেয়ে বড় খরচ। শিক্ষার ফি প্রতি বছর $10,000 থেকে $50,000 এর মধ্যে হতে পারে।
  • জীবনযাত্রার খরচ: জীবনযাত্রার খরচ হল থাকা, খাওয়া, পরিবহন এবং অন্যান্য খরচের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ। জীবনযাত্রার খরচ প্রতি বছর $10,000 থেকে $20,000 এর মধ্যে হতে পারে।
  • অন্যান্য খরচ: অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে ভিসা ফি, আবেদন ফি, পরীক্ষার ফি এবং বই এবং সরঞ্জামের খরচ। অন্যান্য খরচ প্রতি বছর $1,000 থেকে $5,000 এর মধ্যে হতে পারে।

বিদেশে MBBS পড়ার জন্য কিছু স্বল্প খরচের দেশ হল:

  • ইউক্রেন: ইউক্রেনে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $5,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে।

  • রাশিয়া: রাশিয়াতে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $5,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে।

  • তুরস্ক: তুরস্কে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $5,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে।

  • সার্বিয়া: সার্বিয়াতে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $5,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে।

  • বেলারুশ: বেলারুশে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $5,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে।

বিদেশে MBBS পড়ার জন্য কিছু উচ্চ খরচের দেশ হল:

  • যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর £25,000 থেকে £35,000 এর মধ্যে।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $50,000 থেকে $70,000 এর মধ্যে।
  • কানাডা: কানাডায় MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $50,000 থেকে $70,000 এর মধ্যে।
  • অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ায় MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $50,000 থেকে $70,000 এর মধ্যে।
  • নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডে MBBS পড়ার খরচ প্রতি বছর $50,000 থেকে $70,000 এর মধ্যে।

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা

বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করে। এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে বিনা বেতনে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য কিছু সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বাংলাদেশ সরকারের বৃত্তি: বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করে। এই বৃত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে:
    • বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত বিশ্বের যেকোনো দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।
    • বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত বিশ্বের যেকোনো দেশে আইন, পুলিশ, ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।
    • বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত বিশ্বের যেকোনো দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।
  • বিদেশী সরকারের বৃত্তি: বিভিন্ন বিদেশী সরকার বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এই বৃত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে:
    • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।
    • ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেকোনো দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।
    • জাপানের সরকারের বৃত্তি: এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদেরকে জাপানের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করে।

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ সরকারের বৃত্তিগুলির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া প্রতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

বিদেশী সরকারের বৃত্তিগুলির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া বিভিন্ন সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে বা ডাকযোগে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার সুবিধা

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বিনা বেতন: শিক্ষার্থীদেরকে কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না।
  • জীবনযাত্রার ব্যয়: শিক্ষার্থীদেরকে জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
  • ভ্রমণ ব্যয়: শিক্ষার্থীদেরকে ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
  • বীমা: শিক্ষার্থীদেরকে বীমা সুবিধা প্রদান করা হয়।

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য প্রস্তুতি

সরকারি খরচে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • ভাষা দক্ষতা: শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • পারিবারিক সমর্থন: শিক্ষার্থীদেরকে পরিবারের কাছ থেকে সমর্থন পেতে হবে।

 

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের SSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি? 

Leave a Comment