হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই পেটে বাচ্চা সুস্থ থাকার দোয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে পেটে বাচ্চা সুস্থ থাকার দোয়া সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
পেটে বাচ্চা সুস্থ থাকার দোয়া
পেটে বাচ্চা সুস্থ থাকার জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি দোয়া হল:
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْعَظِيْمِ وَبِبَرَكَةِ اسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَبِسُلْطَانِكَ الْقَدِيْمِ اَنْ تَحْفَظَ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ وَتَسْتَرْعِيْهِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ نَاّئِمَةٍ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার মহান মুখের নূরের মাধ্যমে, তোমার মহান নামের বরকতের মাধ্যমে এবং তোমার প্রাচীন শক্তির মাধ্যমে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে রক্ষা করো এবং তাকে রক্ষা করো সব শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং সব ঘুমন্ত চোখ থেকে।
এই দোয়াটি দিনে তিনবার পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে।
আরেকটি দোয়া হল:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَاَحْفَظْ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَمِنْ كُلِّ بَلَاءٍ وَمِنْ كُلِّ اِمْرَاضٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ سَلِيْمًا مُسْلِمًا
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, মুহাম্মদ এবং তার পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করো এবং আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সব ধরনের অশুভ থেকে, সব ধরনের বিপদ থেকে, সব ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে সুস্থ, মুসলিম হিসেবে জন্ম দিতে দাও।
এই দোয়াটিও দিনে তিনবার পাঠ করা যেতে পারে।
এছাড়াও, গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা, আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। এতে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে এবং মায়েরও শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় থাকবে।
গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া
গর্ভের সন্তান নষ্ট না হওয়ার দোয়া
১.
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْعَظِيْمِ وَبِبَرَكَةِ اسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَبِسُلْطَانِكَ الْقَدِيْمِ اَنْ تَحْفَظَ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ وَتَسْتَرْعِيْهِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ نَاّئِمَةٍ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার মহান মুখের নূরের মাধ্যমে, তোমার মহান নামের বরকতের মাধ্যমে এবং তোমার প্রাচীন শক্তির মাধ্যমে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে রক্ষা করো এবং তাকে রক্ষা করো সব শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং সব ঘুমন্ত চোখ থেকে।
২.
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَاَحْفَظْ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَمِنْ كُلِّ بَلَاءٍ وَمِنْ كُلِّ اِمْرَاضٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ سَلِيْمًا مُسْلِمًا
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, মুহাম্মদ এবং তার পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করো এবং আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সব ধরনের অশুভ থেকে, সব ধরনের বিপদ থেকে, সব ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে সুস্থ, মুসলিম হিসেবে জন্ম দিতে দাও।
৩.
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ اَنْ اَضَعَ فِيْ بَطْنِيْ مَا لَا يَسْتَقِيْمُ اَوْ مَا لَا يُصْلِحُ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই যে আমি আমার গর্ভে এমন কিছু স্থাপন করি যা সঠিক হয় না বা যাকে সংশোধন করা যায় না।
৪.
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ اَنْ تَجْعَلَ جَنِيْنِيْ مِنَ الصَّالِحِيْنَ وَاَنْ تَحْفَظَهُ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ فِيْ اَوْقَتِهِ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং তাকে সব ধরনের অশুভ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে তার সময়সীমায় জন্ম দিতে দাও।
এই দোয়াগুলো নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে গর্ভের সন্তান নষ্ট না হয়ে সুস্থভাবে জন্ম নেবে।
গর্ভের বাচ্চা সুস্থ থাকার লক্ষণ
গর্ভের সন্তান সুস্থ থাকার লক্ষণগুলো হলো:
- গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকা: গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সন্তানও সুস্থ থাকে। মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও প্রোটিন থাকলে সন্তান ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
- গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত পেটে নড়াচড়া অনুভব করা: গর্ভের সন্তান সাধারণত ১৮-২২ সপ্তাহের দিকে মায়ের পেটে নড়াচড়া করতে শুরু করে। গর্ভধারণের ২৮-৩২ সপ্তাহের দিকে মায়ের পেটে নড়াচড়া স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভের আকার বৃদ্ধি পাওয়া: গর্ভধারণের সাথে সাথে গর্ভের আকার বৃদ্ধি পায়। সাধারণত ১৬-১৮ সপ্তাহের দিকে মায়ের পেটে গর্ভের আকার স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
- গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ ও প্রস্রাবের চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকা: গর্ভধারণের সময় গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ ও প্রস্রাবের চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে সন্তান সুস্থ থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ লক্ষ্য করা যাওয়া: আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ লক্ষ্য করা গেলে সন্তান সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার জন্য ইসলামী শরিয়তে কিছু আমল বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা: কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।
- নিয়মিত দোয়া করা: আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তার বান্দাদের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
- নিয়মিত নামাজ পড়া: নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত নামাজ পড়া।
- সৎকর্ম করা: সৎকর্ম করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয়। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত সৎকর্ম করা।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার জন্য গর্ভবতী মায়ের উচিত উপরোক্ত আমলগুলো নিয়মিত করা। এছাড়াও, গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং তার নির্দেশনা মেনে চলা।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি দোয়া হলো:
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْعَظِيْمِ وَبِبَرَكَةِ اسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَبِسُلْطَانِكَ الْقَدِيْمِ اَنْ تَحْفَظَ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ وَتَسْتَرْعِيْهِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ نَاّئِمَةٍ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার মহান মুখের নূরের মাধ্যমে, তোমার মহান নামের বরকতের মাধ্যমে এবং তোমার প্রাচীন শক্তির মাধ্যমে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে রক্ষা করো এবং তাকে রক্ষা করো সব শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং সব ঘুমন্ত চোখ থেকে।
গর্ভ রক্ষার দোয়া
গর্ভ রক্ষার দোয়া
১.
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْعَظِيْمِ وَبِبَرَكَةِ اسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَبِسُلْطَانِكَ الْقَدِيْمِ اَنْ تَحْفَظَ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ وَتَسْتَرْعِيْهِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ نَاّئِمَةٍ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার মহান মুখের নূরের মাধ্যমে, তোমার মহান নামের বরকতের মাধ্যমে এবং তোমার প্রাচীন শক্তির মাধ্যমে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে রক্ষা করো এবং তাকে রক্ষা করো সব শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং সব ঘুমন্ত চোখ থেকে।
২.
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَاَحْفَظْ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَمِنْ كُلِّ بَلَاءٍ وَمِنْ كُلِّ اِمْرَاضٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ سَلِيْمًا مُسْلِمًا
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, মুহাম্মদ এবং তার পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করো এবং আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সব ধরনের অশুভ থেকে, সব ধরনের বিপদ থেকে, সব ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে সুস্থ, মুসলিম হিসেবে জন্ম দিতে দাও।
৩.
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ اَنْ اَضَعَ فِيْ بَطْنِيْ مَا لَا يَسْتَقِيْمُ اَوْ مَا لَا يُصْلِحُ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই যে আমি আমার গর্ভে এমন কিছু স্থাপন করি যা সঠিক হয় না বা যাকে সংশোধন করা যায় না।
৪.
اَللّٰهُمَّ اَسْاَلُكَ اَنْ تَجْعَلَ جَنِيْنِيْ مِنَ الصَّالِحِيْنَ وَاَنْ تَحْفَظَهُ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ فِيْ اَوْقَتِهِ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং তাকে সব ধরনের অশুভ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে তার সময়সীমায় জন্ম দিতে দাও।
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয় সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। তবে, ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়। এছাড়াও, কুরআন তিলাওয়াত করলে সন্তানের মন ও আত্মা সুন্দর হয়।
গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট সূরা পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- সূরা ইখলাস: এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে সন্তান সৎ ও ধার্মিক হয়।
- সূরা ফালাক: এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে সন্তান শয়তানের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
- সূরা নাস: এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে সন্তান সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পায়।
- সূরা ইয়াসিন: এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে সন্তান সুস্থ ও ধার্মিক হয়।
- সূরা আহযাব: এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে সন্তান সুন্দর ও জ্ঞানী হয়।
গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা এবং উপরোক্ত সূরাগুলো নিয়মিত পাঠ করা। এতে সন্তান সুস্থ, সুন্দর ও ধার্মিক হবে।
গর্ভের সন্তানের জন্য দোয়া
গর্ভের সন্তানের জন্য দোয়া
গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি দোয়া হল:
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْعَظِيْمِ وَبِبَرَكَةِ اسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَبِسُلْطَانِكَ الْقَدِيْمِ اَنْ تَحْفَظَ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ وَتَسْتَرْعِيْهِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ نَاّئِمَةٍ
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার মহান মুখের নূরের মাধ্যমে, তোমার মহান নামের বরকতের মাধ্যমে এবং তোমার প্রাচীন শক্তির মাধ্যমে প্রার্থনা করি যে তুমি আমার গর্ভে আমার গর্ভস্থ সন্তানকে রক্ষা করো এবং তাকে রক্ষা করো সব শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং সব ঘুমন্ত চোখ থেকে।
এই দোয়াটি দিনে তিনবার পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে।
আরেকটি দোয়া হল:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَاَحْفَظْ جَنِيْنِيْ فِيْ بَطْنِيْ مِنْ كُلِّ سُوْءٍ وَمِنْ كُلِّ بَلَاءٍ وَمِنْ كُلِّ اِمْرَاضٍ وَاَنْ تُوَلِّدَهُ سَلِيْمًا مُسْلِمًا
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ, মুহাম্মদ এবং তার পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করো এবং আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সব ধরনের অশুভ থেকে, সব ধরনের বিপদ থেকে, সব ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করো এবং তাকে সুস্থ, মুসলিম হিসেবে জন্ম দিতে দাও।
গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল
গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল
গর্ভবতী মায়ের জন্য ১০ মাসের আমল হলো এমন কিছু কাজ ও আচার-আচরণ যা গর্ভস্থ সন্তানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর জন্য উপকারী। এই আমলগুলো নিয়মিত করলে আল্লাহর রহমতে গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ ও সুন্দরভাবে জন্মগ্রহণ করবে।
গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমলের মধ্যে রয়েছে:
**১. **নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়। এছাড়াও, কুরআন তিলাওয়াত করলে সন্তানের মন ও আত্মা সুন্দর হয়।
**২. **নিয়মিত দোয়া করা। আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তার বান্দাদের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং তার কাছে সন্তানের জন্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা।
**৩. **নিয়মিত নামাজ পড়া। নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত নিয়মিত নামাজ পড়া।
**৪. **পর্যাপ্ত পুষ্টি ও প্রোটিন গ্রহণ করা। গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পুষ্টি ও প্রোটিন থাকা উচিত। এতে সন্তান সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।
**৫. **নিয়মিত ব্যায়াম করা। গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। তবে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে এবং শেষ তিন মাসে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
**৬. **পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এতে মা ও সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
**৭. **নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। গর্ভধারণের সময় নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে মা ও সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কোনো সমস্যা হলে তা তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে।
**৮. **সৎকর্ম করা। সৎকর্ম করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয়। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত সৎকর্ম করা।
**৯. **ভালো আচরণ করা। ভালো আচরণ করলে সন্তান ভালো আচরণ শিখবে। তাই গর্ভবতী মায়ের উচিত ভালো আচরণ করা।
**১০. **পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে মা ও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের পেটে বাচ্চা সুস্থ থাকার দোয়া এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ আরিয়ান নামের অর্থ কি