হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
৭ই মার্চের ভাষণ
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। তাঁর এই ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের এক জ্বলন্ত দলিল।
ভাষণের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অতীতের দুঃখজনক ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।”
এরপর তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।” তিনি বলেন, “আমরা কি অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করব এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।”
কিন্তু তিনি বলেন, “দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাংলার মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে পারেনি। তারা বাংলার মানুষের রক্ত ঝরাতে দ্বিধা করেনি।”
বঙ্গবন্ধু বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” তিনি বলেন, “ভাইয়েরা আমার, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হও। তোমরা সকলে সংগ্রাম করো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও। তোমাদের জান-মাল সব কিছু দিয়ে প্রস্তুত হও।”
বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক জ্বলন্ত দলিল। এই ভাষণের পরই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।
ভাষণের প্রেক্ষাপট
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা শুরু হয়।
ভাষণের মূল বক্তব্য
৭ই মার্চের ভাষণ এ বঙ্গবন্ধু বলেন, “তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।”
তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।” তিনি বলেন, “আমরা কি অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করব এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।”
কিন্তু তিনি বলেন, “দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাংলার মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে পারেনি। তারা বাংলার মানুষের রক্ত ঝরাতে দ্বিধা করেনি।”
বঙ্গবন্ধু বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” তিনি বলেন, “ভাইয়েরা আমার, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হও। তোমরা সকলে সংগ্রাম করো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও। তোমাদের জান-মাল সব কিছু দিয়ে প্রস্তুত হও।”
ভাষণের প্রভাব
৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক জ্বলন্ত দলিল। এই ভাষণের পরই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।
ভাষণের গুরুত্ব
৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এই ভাষণ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার চেতনা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ভাষণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ
- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
- “ভাইয়েরা আমার, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হও। তোমরা সকলে সংগ্রাম করো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও। তোমাদের জান-মাল সব কিছু দিয়ে প্রস্তুত হও।”
- “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।”
ভাষণের মূল বার্তা
৭ই মার্চের ভাষণের মূল বার্তা হল স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে বাঙালি জাতির কাছে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
৭ মার্চের ভাষণে কয়টি দাবি ছিল ও কি কি?
৭ মার্চের ভাষণে মোট ৪টি দাবি ছিল। সেগুলো হল:
- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে গণতন্ত্র। তিনি যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা।
- সাম্য ও ন্যায়বিচার: বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ছিল। তিনি বলেছিলেন, “আমি আপনাদের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানাই। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা স্বাধীনতা চাই।”
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান ছিল। তিনি বলেছিলেন, “এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি, অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়।”
- স্বাধীনতা: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এর মূল দাবি ছিল স্বাধীনতা। তিনি বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
এই চারটি দাবির প্রতিফলন ঘটেছে পরবর্তী নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে, যা ছিল সার্বিক অর্থে একটি গণযুদ্ধ। এই দাবিগুলোই বাংলাদেশের সংবিধানের ভিত্তি।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কেন?
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কারণ এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির কাছে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ভাষণের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অতীতের দুঃখজনক ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।”
এরপর তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।” তিনি বলেন, “আমরা কি অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করব এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।”
কিন্তু তিনি বলেন, “দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাংলার মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে পারেনি। তারা বাংলার মানুষের রক্ত ঝরাতে দ্বিধা করেনি।”
বঙ্গবন্ধু বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” তিনি বলেন, “ভাইয়েরা আমার, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হও। তোমরা সকলে সংগ্রাম করো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও। তোমাদের জান-মাল সব কিছু দিয়ে প্রস্তুত হও।”
এই ভাষণের ফলে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এবং এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক জ্বলন্ত দলিল। এই ভাষণ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার চেতনা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এই ভাষণের কারণেই বঙ্গবন্ধুকে “বাঙালির জাতির পিতা” বলা হয়। তিনিই বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন।
৭ মার্চের ভাষণ কত নং তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
৭ মার্চ তারিখে শেখ মুজিবুর রহমান কত মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন?
উপসংহার
আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের ৭ই মার্চের ভাষণ এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আরও পরুনঃ ছয় দফা মনে রাখার কৌশল