নোয়াখালী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলাটি বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- খাবার: নোয়াখালী জেলা তার সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার নারকেল নাড়ু, ম্যাড়া পিঠা, খোলাজা পিঠা, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, শুটকি মাছ, ইত্যাদি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
- ভাষা: নোয়াখালী জেলার নিজস্ব একটি ভাষা রয়েছে, যা “নোয়াখালী ভাষা” নামে পরিচিত। এই ভাষাটি বাংলা ভাষার একটি উপভাষা, তবে এটিতে কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- ইতিহাস: নোয়াখালী জেলার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এই জেলাটিতে অনেক প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে।
- সাহিত্য: নোয়াখালী জেলা থেকে অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক, ইত্যাদি উঠে এসেছেন।
- সংস্কৃতি: নোয়াখালী জেলার নিজস্ব একটি সংস্কৃতি রয়েছে। এই জেলার লোকজ সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
নোয়াখালী জেলার কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হল:
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
- নোয়াখালী সরকারি কলেজ: এই কলেজটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কলেজ।
- নোয়াখালী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ: এই স্মৃতিস্তম্ভটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।
- নোয়াখালী ময়নাগোপাল মন্দির: এই মন্দিরটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির।
- নোয়াখালী রামকৃষ্ণ মিশন: এই মিশনটি রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
নোয়াখালী জেলার পূর্ব নাম কি?
নোয়াখালী জেলা একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলাটি তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় জেলা।
নোয়াখালী জেলার পূর্ব নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর জলে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভুলুয়ার লোকেরা একটি নতুন শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা এই নতুন শহরের নাম দেয় “নোয়াখালী”। “নোয়াখালী” শব্দের অর্থ হল “নতুন বাড়ি”।
নোয়াখালী নামকরণের ইতিহাস
১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলার নাম বদল করে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
অন্য একটি মত অনুসারে, নোয়াখালী নামটি এসেছে “নোয়াখা” নামক একজন হিন্দু রাজার নাম থেকে। এই রাজা নোয়াখালী এলাকায় শাসন করতেন।
কোন মতই নির্ভরযোগ্য নয়। তবে, নোয়াখালী নামটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়।
নোয়াখালী কি খাবারের জন্য বিখ্যাত
হ্যাঁ, নোয়াখালী খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার সুস্বাদু খাবার দেশ-বিদেশে সুপরিচিত। নোয়াখালীর বিখ্যাত খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- নারকেল নাড়ু: নোয়াখালীর নারকেল নাড়ু অত্যন্ত সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। এটি নারকেল, চিনি, ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়।
- ম্যাড়া পিঠা: ম্যাড়া পিঠা নোয়াখালীর একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এটি চালের গুঁড়া, নারকেল, ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়।
- খোলাজা পিঠা: খোলাজা পিঠা নোয়াখালীর আরেকটি জনপ্রিয় পিঠা। এটি চালের গুঁড়া, নারকেল, ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়।
- ইলিশ মাছ: নোয়াখালীর ইলিশ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুপরিচিত।
- চিংড়ি মাছ: নোয়াখালীর চিংড়ি মাছও অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুপরিচিত।
- শুটকি মাছ: নোয়াখালীর শুটকি মাছও অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুপরিচিত।
নোয়াখালীর খাবারগুলোর নিজস্ব একটি স্বাদ রয়েছে। এই খাবারগুলো তৈরিতে স্থানীয় মসলা ও উপকরণ ব্যবহার করা হয়। নোয়াখালীর খাবারগুলোর স্বাদ একবার খেলে ভোলা যায় না।
নোয়াখালীর বিখ্যাত ব্যক্তি
নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন।
নোয়াখালীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:
- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন – বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরশ্রেষ্ঠ। তিনি নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
- ওবায়দুল কাদের – বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- কবীর চৌধুরী – একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- চিত্তরঞ্জন সাহা – একজন প্রখ্যাত প্রকাশক এবং বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- জহুরুল হক – আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
এছাড়াও, নোয়াখালীর অন্যান্য বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:
- আবদুল হাকিম – একজন বিখ্যাত কবি, লেখক এবং রাজনীতিবিদ।
- হুমায়ুন কবীর খোন্দকার – একজন বিখ্যাত সাংবাদিক এবং লেখক।
- তবারক হুসাইন – একজন বিখ্যাত কূটনীতিবিদ।
- হেমপ্রভা মজুমদার – একজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
- সত্যজিত কর্মকার – একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।
- সত্যেন্দ্র চন্দ্র মিত্র – একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী।
নোয়াখালীর এই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা তাদের অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের কর্ম ও আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
নোয়াখালী কোন ফসলের জন্য বিখ্যাত
নোয়াখালী জেলা কৃষিপ্রধান একটি জেলা। এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। তবে, নোয়াখালীর জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত দুটি ফসল হল নারিকেল এবং ম্যাড়া পিঠা।
নারিকেল নোয়াখালীর প্রধান অর্থকরী ফসল। জেলার মোট আবাদি জমির প্রায় ১৫% জমিতে নারিকেল চাষ করা হয়। নোয়াখালীর নারিকেল সুস্বাদু ও বড় আকারের হয়। এছাড়াও, নোয়াখালীতে নারিকেল তেল, সুপারি, কাঁচানারিকেল, পাঁচফোড়ন ইত্যাদি নারিকেলজাত পণ্য উৎপাদিত হয়।
ম্যাড়া পিঠা নোয়াখালীর একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি মূলত নারিকেল, চালের গুঁড়া, চিনি ও লবণ দিয়ে তৈরি করা হয়। ম্যাড়া পিঠা নোয়াখালীর বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
নোয়াখালীর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফসলের মধ্যে রয়েছে:
- ধান
- পাট
- মরিচ
- সারিষা
- আলু
- বাদাম
- আখ
- ফল (আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, বেল, আমড়া ইত্যাদি)
নোয়াখালীর কৃষকরা তাদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
নোয়াখালীর বিখ্যাত স্থান
বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। নোয়াখালীর বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নিঝুম দ্বীপ – নোয়াখালীর অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি অভ্যন্তরীণ সাগর দ্বীপ যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত।
- গান্ধী আশ্রম – নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অবস্থিত এই আশ্রমটি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত স্থান।
- বজরা শাহী মসজিদ – বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই মসজিদটি ১৬শ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ।
- মুছাপুর ক্লোজার – নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অবস্থিত এই ক্লোজারটি একটি বড় জলাভূমি যা বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।
- কমলার দিঘি – বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই দিঘিটি তার বিশাল আকার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জন্য বিখ্যাত।
এছাড়াও, নোয়াখালীতে আরও অনেক বিখ্যাত স্থান রয়েছে, যেমন:
- মাইজদী ময়দান
- সোনাপুর
- চৌমুহনী
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- নোয়াখালী সরকারি কলেজ
- নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ
- নোয়াখালী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
নোয়াখালীর এই বিখ্যাত স্থানগুলো পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
নোয়াখালীর বিখ্যাত পিঠার নাম
নোয়াখালীর বিখ্যাত পিঠার নাম খোলাজালি পিঠা। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা যা নোয়াখালীর বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়। খোলাজালি পিঠা চালের গুঁড়া, নারকেল দুধ, চিনি ও লবণ দিয়ে তৈরি করা হয়। পিঠার ওপর চিনির সিরা দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
নোয়াখালীর অন্যান্য বিখ্যাত পিঠার মধ্যে রয়েছে:
- চিতই পিঠা
- চাইন্না পিঠা
- ভাপা পিঠা
- পানতোয়া পিঠা
- হাক্কন পিঠা
- শিন্নি
নোয়াখালীর বিখ্যাত মিষ্টি
নোয়াখালীর পিঠার স্বাদ অত্যন্ত সুস্বাদু। এগুলো নোয়াখালীর ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নোয়াখালীর বিখ্যাত মিষ্টির মধ্যে রয়েছে:
- দেউটির মিষ্টি – দেউটি বাজার, সোনাইমুড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই মিষ্টির দোকানটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। দেউটির মিষ্টির স্বাদ অত্যন্ত সুস্বাদু।
- কালির হাটির মিষ্টি – বিথ্যাত ইউনিয়ন, বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই মিষ্টির দোকানটিও ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। কালির হাটির মিষ্টির স্বাদও অত্যন্ত সুস্বাদু।
- করুণা মজুমদার মিষ্টি ভান্ডার – দেউটি বাজার, সোনাইমুড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই মিষ্টির দোকানটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়। করুণা মজুমদার মিষ্টি ভান্ডারের মিষ্টির স্বাদও অত্যন্ত সুস্বাদু।
এছাড়াও, নোয়াখালীতে আরও অনেক বিখ্যাত মিষ্টির দোকান রয়েছে। নোয়াখালীর মিষ্টির স্বাদ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং এগুলো নোয়াখালীর ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নোয়াখালীর মিষ্টির কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল:
- এগুলো তৈরিতে উন্নত মানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
- এগুলো তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়।
- এগুলোর স্বাদ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মন মাতানো।
নোয়াখালীর মিষ্টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয়। এগুলো বাংলাদেশে উৎপাদিত মিষ্টির মধ্যে অন্যতম।
নোয়াখালী কোন ধরনের শহর
নোয়াখালী একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহর। এই শহরটি প্রাচীনকাল থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। নোয়াখালীর ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত রাজা, বাদশাহ, পণ্ডিত ও সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে।
নোয়াখালী শহরের কিছু উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান হল:
- গান্ধী আশ্রম
- বজরা শাহী মসজিদ
- কমলার দিঘি
- কাঁঠালবাড়ি মসজিদ
- সোনাপুর জমিদার বাড়ি
নোয়াখালী শহরের কিছু উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক স্থান হল:
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- নোয়াখালী সরকারি কলেজ
- নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ
- নোয়াখালী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি
নোয়াখালীর বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য
নোয়াখালী শহরটি তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর।
নোয়াখালী শহরের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল:
- এটি একটি প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শহর।
- এটি একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
- এটি একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
- এটি একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র।
নোয়াখালী শহরটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলাটি তার বিভিন্ন বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত।
নোয়াখালী জেলার জনসংখ্যা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এই জেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও জাতির মানুষ বাস করে। জেলার প্রধান ধর্ম হল ইসলাম। এছাড়াও এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইত্যাদি ধর্মের মানুষ বাস করে। জেলার প্রধান জাতিগোষ্ঠী হল বাঙালি। এছাড়াও এখানে ত্রিপুরা, চাকমা, মণিপুরী, ইত্যাদি জাতির মানুষ বাস করে।
নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই জেলায় অনেক প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। জেলার প্রধান ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নোয়াখালী ময়নাগোপাল মন্দির: এই মন্দিরটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। এটি নবম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।
- নোয়াখালী রামকৃষ্ণ মিশন: এই মিশনটি রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- নোয়াখালী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ: এই স্মৃতিস্তম্ভটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।
নোয়াখালী জেলার লোকজ সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই জেলায় অনেক লোকজ গান, কবিতা, নাচ, ইত্যাদি রয়েছে। জেলার প্রধান লোকজ গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাটিয়ালি, বাউল গান, ইত্যাদি। জেলার প্রধান লোকজ নাচগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রা, ভাসান, ইত্যাদি।
নোয়াখালী জেলার বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য এই জেলাকে বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান করে তুলেছে। এই জেলাটি তার বিভিন্ন বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের জন্য দেশ-বিদেশে সুপরিচিত।
নোয়াখালী জেলার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য হল:
- ভাষা: নোয়াখালী জেলার নিজস্ব একটি ভাষা রয়েছে, যা “নোয়াখালী ভাষা” নামে পরিচিত। এই ভাষাটি বাংলা ভাষার একটি উপভাষা, তবে এটিতে কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- খাবার: নোয়াখালী জেলা তার সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার নারকেল নাড়ু, ম্যাড়া পিঠা, খোলাজা পিঠা, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, শুটকি মাছ, ইত্যাদি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
- সংস্কৃতি: নোয়াখালী জেলার নিজস্ব একটি সংস্কৃতি রয়েছে। এই জেলার লোকজ সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
নোয়াখালী জেলার বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য এই জেলাকে বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় স্থান করে তুলেছে।
Visit our home page.