তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
তিস্তা নদী সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। এটি সিকিমের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর তিস্তা নদী কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের মেঘালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদীর অববাহিকার আয়তন প্রায় ৫২,০০০ বর্গকিলোমিটার। তিস্তা নদীর প্রধান উপনদীগুলো হল:
- তিস্তা-তুরা
- রিয়াং
- তোর্সা
- চ্যাংমারী
- তিস্তা-কচুয়া
তিস্তা নদীর জল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, তিস্তা নদীর জল বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
তিস্তা নদীর উৎস কোন হিমবাহ
তিস্তা নদীর উৎস হল সো লামো হ্রদ। এই হ্রদটি সিকিমের হিমালয় পর্বতমালার ৫,৩৩০ মি (১৭,৪৮৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত। হ্রদটি শেসচেনের কাছে ডোংখা গিরিপথের উত্তরে অবস্থিত। তিস্তা নদী ছাঙ্গু, ইউমথাং ও ডোংকিয়া লা পর্বতশ্রেণী থেকে উৎপন্ন ছোট ছোট নদীর জলে পুষ্ট।
সো লামো হ্রদটি একটি বরফ-ঢাকা হ্রদ। হ্রদটি থেকে তিস্তা নদীর উৎপত্তি হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর তিস্তা নদী কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের মেঘালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদীর অববাহিকার আয়তন প্রায় ৫২,০০০ বর্গকিলোমিটার। তিস্তা নদীর প্রধান উপনদীগুলো হল:
- তিস্তা-তুরা
- রিয়াং
- তোর্সা
- চ্যাংমারী
- তিস্তা-কচুয়া
তিস্তা নদীর জল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, তিস্তা নদীর জল বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
তিস্তা নদী কোন জেলায় অবস্থিত
তিস্তা নদী তিনটি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ।
সিকিমে তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল। সিকিমের ৫,৩৩০ মি (১৭,৪৮৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত সো লামো হ্রদে থেকে তিস্তা নদীর উৎপত্তি হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদী প্রায় ১১৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়।
বাংলাদেশে তিস্তা নদী প্রায় ১৯১ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়। বাংলাদেশের লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলার মধ্য দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়।
তিস্তা নদীর অববাহিকার জেলাগুলো হল:
- সিকিম: উত্তর সিকিম, দক্ষিণ সিকিম, গ্যাংটক, লাচুং, কালিম্পং, দার্জিলিং
- পশ্চিমবঙ্গ: জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং
- বাংলাদেশ: লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর
তিস্তা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদীর অববাহিকার আয়তন প্রায় ৫২,০০০ বর্গকিলোমিটার। তিস্তা নদীর প্রধান উপনদীগুলো হল:
- তিস্তা-তুরা
- রিয়াং
- তোর্সা
- চ্যাংমারী
- তিস্তা-কচুয়া
তিস্তা নদীর জল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, তিস্তা নদীর জল বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
তিস্তা নদীর ইতিহাস
তিস্তা নদীর ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তিস্তা নদী দেবী পার্বতীর স্তন থেকে উৎপন্ন হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, নদীটির বাংলা নাম তিস্তা এসেছে ‘ত্রি-স্রোতা’ বা ‘তিন প্রবাহ’ থেকে।
তিস্তা নদীর ইতিহাসে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে। ১৭৮৭ সালের অতিবৃষ্টি একটি ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করেছিল এবং সেই সময় নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করে লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে চিলমারী নদীবন্দরের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়।
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর তিস্তা নদীর অববাহিকা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। এর ফলে, তিস্তা নদীর জল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
২০১১ সালে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশকে ৮০ কোটি কিউসেক পানি দেবে। তবে, এই চুক্তি এখনও কার্যকর হয়নি।
তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য কত
তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে সিকিমে ৭০ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গে ১১৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৯১ কিলোমিটার।
তিস্তা নদী সিকিমের ৫,৩৩০ মি (১৭,৪৮৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত সো লামো হ্রদে থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর তিস্তা নদী কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের মেঘালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
তিস্তা কি ব্রহ্মপুত্র নদীর অপর নাম
না, তিস্তা নদী ব্রহ্মপুত্র নদীর অপর নাম নয়। তিস্তা নদী একটি স্বতন্ত্র নদী। এটি সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল সিকিমের ৫,৩৩০ মি (১৭,৪৮৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত সো লামো হ্রদে। তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে সিকিমে ৭০ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গে ১১৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৯১ কিলোমিটার।
ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল তিব্বতের তিব্বত মালভূমিতে। ব্রহ্মপুত্র নদী ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয় ও বাংলাদেশ হয়ে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিলোমিটার।
তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদী দুটি ভিন্ন নদী। এদের উৎপত্তিস্থল, প্রবাহপথ ও দৈর্ঘ্য ভিন্ন।
তিস্তা নদীকে ভয়ংকর নদী বলা হয় কেন
তিস্তা নদীকে ভয়ংকর নদী বলা হয় কারণ এটি একটি অনিয়মিত প্রবাহিত নদী। তিস্তা নদীর প্রবাহপথ অত্যন্ত অনিয়মিত। নদীটি প্রায়ই গতিপথ পরিবর্তন করে। এছাড়াও, তিস্তা নদীর প্রবাহ অত্যন্ত তীব্র। নদীটি প্রতিবছর বন্যা ও ভাঙনের সৃষ্টি করে।
তিস্তা নদীর ভয়ংকরতার আরেকটি কারণ হল নদীর তলদেশের ভূগোল। তিস্তা নদীর তলদেশ অত্যন্ত খাড়া। নদীর তলদেশের এই খাড়াতা নদীর প্রবাহকে আরও তীব্র করে তোলে।
তিস্তা নদীর ভয়ংকরতার কারণে এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার জন্য একটি বড় হুমকি। তিস্তা নদীর ভাঙনে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিস্তা নদীর ভয়ংকরতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০১১ সালে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশকে ৮০ কোটি কিউসেক পানি দেবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
তিস্তা নদীর পূর্ব অংশ কি নামে পরিচিত
তিস্তা নদীর পশ্চিম অংশ কী নামে পরিচিত?
তিস্তা নদীর পশ্চিম অংশ পুনর্ভবা নদী নামে পরিচিত। তিস্তা নদী পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় এসে তিনটি শাখায় বিভক্ত হয়। এর মধ্যে পশ্চিমদিকের শাখাটি পুনর্ভবা নদী নামে পরিচিত। পুনর্ভবা নদী বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের মেঘালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
তিস্তা নদীর পূর্বদিকের শাখাটি করতোয়া নদী নামে পরিচিত এবং উত্তর দিকের শাখাটি আত্রাই নদী নামে পরিচিত।
পুনর্ভবা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ কিলোমিটার। পুনর্ভবা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। পুনর্ভবা নদীর জল বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, পুনর্ভবা নদীর জল বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
তিস্তা চুক্তি কত সালে হয়
তিস্তা চুক্তি ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশকে ৮০ কোটি কিউসেক পানি দেবে। চুক্তিটি ২০১৭ সালের ১৭ মে থেকে কার্যকর হয়।
তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। ১৯৭৪ সালে, দুই দেশের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে, ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশকে ৫২.৫ কোটি কিউসেক পানি দেবে। তবে, এই চুক্তিটি দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর হয়নি।
২০১১ সালে, দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশকে ৮০ কোটি কিউসেক পানি দেবে। চুক্তিটি ২০১৭ সালের ১৭ মে থেকে কার্যকর হয়।
তিস্তা চুক্তির ফলে, বাংলাদেশ তিস্তা নদীর পানি থেকে উপকৃত হবে। তিস্তা নদীর পানি দিয়ে বাংলাদেশ তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কৃষিকাজের উন্নতি করতে পারবে। এছাড়াও, তিস্তা নদীর পানি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানা স্থাপন করতে পারবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জল সমস্যার মূল দিকগুলি কী কী
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জল সমস্যার মূল দিকগুলি হল:
- তিস্তা নদীর জল বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা নদীর জল বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা নদীর জল দিয়ে বাংলাদেশ তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কৃষিকাজের উন্নতি করতে পারবে। এছাড়াও, তিস্তা নদীর জল দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও শিল্পকারখানা স্থাপন করতে পারবে।
- তিস্তা নদীর জল বন্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ভারত মনে করে যে, তিস্তা নদীর জল বন্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বেশি পানি দেওয়া হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মনে করে যে, ভারতকে বেশি পানি দেওয়া হবে।
- তিস্তা নদীর জল বন্টনের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে, তিস্তা নদীর জলের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এর ফলে, তিস্তা নদীর জল বন্টনের সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে।
তিস্তার জল সমস্যা সমাধানের জন্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করা উচিত। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায়ও দুই দেশের সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তিস্তার জল সমস্যা সমাধান হলে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণ হবে।
তিস্তা নদীর বর্তমান অবস্থা
তিস্তা নদীর বর্তমান অবস্থা নিম্নরূপ:
- তিস্তা নদীর জলের প্রবাহ কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, তিস্তা নদীর জলের প্রবাহ কমছে। এর ফলে, তিস্তা নদীর ভাঙনরোধ, কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও মৎস্য চাষের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
- তিস্তা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। শিল্পকারখানা, কৃষি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কারণে তিস্তা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এর ফলে, নদীর পরিবেশগত গুরুত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
- তিস্তা নদীর তীরে বসতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর তীরে বসতি বৃদ্ধির কারণে, তিস্তা নদীর ভাঙন ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেড়েছে।
তিস্তা নদীর বর্তমান অবস্থার উন্নতির জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া। তিস্তা নদীর জলের প্রবাহ বাড়াতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে:
- বনায়ন বৃদ্ধি করা
- জলাধার ও বাঁধ নির্মাণ করা
- নদীর তলদেশে বালি ভরাট করা
- নদীর দূষণ রোধ করা। তিস্তা নদীর দূষণ রোধ করতে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- শিল্পকারখানাগুলোকে দূষণমুক্ত করা
- কৃষিতে জৈব সার ব্যবহার করা
- বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা করা
- তিস্তা নদীর তীরে বসতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিস্তা নদীর তীরে বসতি নিয়ন্ত্রণ করতে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- তিস্তা নদীর তীরে বসতি নির্মাণের জন্য নিয়মকানুন করা
- বসতিগুলোকে ভাঙনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া
তিস্তা নদীর বর্তমান অবস্থার উন্নতি হলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জন্যই উপকার হবে। তিস্তা নদীর জল থেকে উভয় দেশ উপকৃত হবে। এছাড়াও, তিস্তা নদীর পরিবেশগত গুরুত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে।