জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক ভ্রমণ গাইড

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহরের জলসিড়ি আবাসিক প্রকল্পে অবস্থিত একটি বৃহৎ থিম পার্ক। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত এবং পরিচালিত। পার্কটি ২০২২ সালের ২৬ জুলাই উদ্বোধন করা হয়।

পার্কটি ১০০ একর জমির উপর অবস্থিত। পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের থিম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • এডভেঞ্চার জোন: এই জোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড, যেমন: স্পিড বোল, টার্নটেবল, রোলার কোস্টার, ইত্যাদি।
  • ওয়াটার জোন: এই জোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলকেন্দ্রিক রাইড, যেমন: ওয়াটার স্লাইড, ওয়াটার রাইড, ইত্যাদি।
  • ফ্যামিলি জোন: এই জোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক রাইড, যেমন: কেবল কার, ট্রেন, ইত্যাদি।
  • শিশু জোন: এই জোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিশুদের রাইড, যেমন: ছোট ট্রেন, ছোট রোলার কোস্টার, ইত্যাদি।
  • ফ্লাওয়ার গার্ডেন: এই জোনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের বাগান।
  • কৃত্রিম হ্রদ: এই হ্রদে নৌকা চালানোর সুবিধা রয়েছে।
  • কনসার্ট হল: এই হলটিতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পার্কটিতে প্রবেশের জন্য জনসাধারণের জন্য টিকিট প্রদান করতে হয়। টিকিট মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা।

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক ঢাকার কাছে একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে, যা পরিবার এবং শিশুদের জন্য একটি উপভোগ্য স্থান করে তুলেছে।

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক ফোন নাম্বার

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কের ফোন নাম্বার হল:

  • ০১৭১৬-৩৮৬৫৫৫
  • ০১৭১৬-৩৮৬৫৫৬

এই ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে আপনি পার্কের যেকোনো তথ্য জানতে পারবেন।

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক কবে বন্ধ

 

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং বুধবার বন্ধ থাকে। এছাড়াও, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পার্কটি বন্ধ থাকে।

২০২৪ সালের ৪ঠা জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার পার্কটি খোলা থাকবে।

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক ভ্রমণ গাইড

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক

ড্রিম হলিডে পার্ক

জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক ভ্রমণ গাইড

ড্রিম হলিডে পার্ক বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক। এটি ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পার্কটি প্রায় ৬০ একর জমির উপর নির্মিত এবং এতে বিভিন্ন ধরনের রাইড, খেলাধুলা, এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

ড্রিম হলিডে পার্কের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ওয়াটার পার্ক: পার্কের ওয়াটার পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের জলপ্রপাত, স্লাইড, এবং অন্যান্য জল-ভিত্তিক রাইড রয়েছে।
  • রাইড: পার্কে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্পিডবোট, রোলার কোস্টার, এবং ঘূর্ণিঝড়।
  • খেলাধুলা: পার্কে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, এবং ব্যাডমিন্টন।
  • অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা: পার্কে অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে একটি চিড়িয়াখানা, একটি কৃত্রিম পর্বত, এবং একটি থিম পার্ক।

ড্রিম হলিডে পার্ক পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে অবসর যাপনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ড্রিম হলিডে পার্ক টিকেট মূল্য ২০২৩

২০২৩ সালে ড্রিম হলিডে পার্কের টিকেট মূল্য নিম্নরূপ:

  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৩০০ টাকা
  • শিশু (৩-১২ বছর বয়সী): ২০০ টাকা
  • বৃদ্ধ (৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী): ২৫০ টাকা

ওয়াটার পার্কের টিকেট আলাদাভাবে কিনতে হয়। ওয়াটার পার্কের টিকেট মূল্য নিম্নরূপ:

  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৩৫০ টাকা
  • শিশু (৩-১২ বছর বয়সী): ২৫০ টাকা
  • বৃদ্ধ (৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী): ৩০০ টাকা

মুক্তিযোদ্ধা, পাবলিক পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনও টিকিটের প্রয়োজন নেই।

ড্রিম হলিডে পার্কের টিকিট অনলাইনে এবং পার্কের কাউন্টারে কিনতে পাওয়া যায়।

ড্রিম হলিডে পার্ক ফোন নাম্বার

ড্রিম হলিডে পার্কের ফোন নাম্বার হল:

  • হেড অফিস: 01711-199911
  • পার্কের কাউন্টার: 01711-199912

আপনি পার্কের ওয়েবসাইট থেকেও যোগাযোগের তথ্য পেতে পারেন।

নন্দন পার্ক

নন্দন পার্কের আয়তন ৩৩ একর। পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের রাইড, খেলাধুলা, এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

নন্দন পার্কের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ওয়াটার পার্ক: পার্কের ওয়াটার পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের জলপ্রপাত, স্লাইড, এবং অন্যান্য জল-ভিত্তিক রাইড রয়েছে।
  • রাইড: পার্কে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্পিডবোট, রোলার কোস্টার, এবং ঘূর্ণিঝড়।
  • খেলাধুলা: পার্কে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, এবং ব্যাডমিন্টন।
  • অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা: পার্কে অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে একটি চিড়িয়াখানা, একটি কৃত্রিম পর্বত, এবং একটি থিম পার্ক।

নন্দন পার্ক পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে অবসর যাপনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

রমনা পার্ক

রমনা পার্ক বা রমনা উদ্যান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি উদ্যান। এটি ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র।

রমনা পার্কের আয়তন ৬৮.৫ একর (২৭.৭ হেক্টর)। পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, ফুল, এবং জলাশয় রয়েছে। পার্কটিতে একটি বটমূল রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।

রমনা পার্কের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বটমূল: রমনা পার্কের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বটমূলটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ এই বটমূলের তলে উদযাপিত হয়।
  • গাছপালা ও ফুল: রমনা পার্কে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, ফুল, এবং জলাশয় রয়েছে। পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি বড় লেক রয়েছে।
  • অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধা: রমনা পার্কে অন্যান্য বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে একটি শিশুপার্ক, একটি খেলার মাঠ, এবং একটি পাঠাগার।

রমনা পার্ক পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে অবসর যাপনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

রমনা পার্কের ইতিহাস:

রমনা পার্ক ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৬৯ সালে রমনা এলাকায় একটি বন ছিল। ১৮৭৬ সালে ব্রিটিশ সরকার এই বনকে কেটে ফেলে এবং সেখানে একটি পার্ক তৈরি করে। পার্কটি প্রথমে “গভর্নমেন্ট গার্ডেন” নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এটি “রমনা উদ্যান” নামে পরিচিত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, রমনা উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে “রমনা পার্ক” করা হয়।

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আপনাদের জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক এই প্রশ্নের উওর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকার বেসরকারি অনার্স কলেজের তালিকা

Leave a Comment