হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই কেমোথেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কেমোথেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
কেমোথেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে
বাংলাদেশে কেমোথেরাপি খরচ নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, টিউমারের আকার, ক্যান্সারের অবস্থান, রোগীর বয়স, ওজন, এবং ওষুধের ধরন ও পরিমাণের উপর। সাধারণত, একটি কেমোথেরাপি চক্রের খরচ ৫০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, কোলন ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধের দাম প্রতি ৬০০ মিলিগ্রামের জন্য ১,৫০,০০০ টাকা। এই ওষুধটি প্রতি কেমোথেরাপি চক্রে ৪ বার ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, একটি কেমোথেরাপি চক্রের খরচ হবে ১,৫০,০০০ x ৪ = ৬,০০,০০০ টাকা।
এছাড়াও, কেমোথেরাপির সাথে যুক্ত অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে:
- হাসপাতালের খরচ
- ডাক্তারের ফি
- পরীক্ষণের খরচ
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিকিৎসার খরচ
এই খরচগুলিও কেমোথেরাপির মোট খরচকে প্রভাবিত করে।
বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে কেমোথেরাপির খরচ অনেক কম। তবে, এই হাসপাতালের পরিষেবা অনেক সময় সীমিত থাকে। বেসরকারি হাসপাতালে কেমোথেরাপির খরচ বেশি হলেও, এখানে পরিষেবা অনেক ভালো।
ক্যান্সার রোগীদের জন্য কেমোথেরাপি একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এই খরচ বহন করতে অনেক পরিবারের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
কেমোথেরাপি কত প্রকার
কেমোথেরাপির বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যা ক্যান্সারের ধরন, টিউমারের অবস্থান এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। কেমোথেরাপির প্রধান প্রকারগুলি হল:
-
প্রকারভেদ অনুসারে:
- সিস্টেমিক কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলে।
- লোকাল কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ বা টিস্যুতে কেমোথেরাপির ওষুধ প্রয়োগ করে।
-
ওষুধের ধরন অনুসারে:
- অ্যান্টিমেটাবোলাইটস: এই ওষুধগুলি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজনকে বাধা দেয়।
- অ্যান্টিনিউক্লিওসাইডস: এই ওষুধগুলি ক্যান্সার কোষের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- অ্যান্টিমাইটোটিকস: এই ওষুধগুলি ক্যান্সার কোষের মাইটোসিস, বা কোষ বিভাজন, প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।
- অন্যান্য: এই বিভাগে অন্যান্য ধরণের কেমোথেরাপি ওষুধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন অ্যান্টিবডি, টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি।
-
প্রদানের পদ্ধতি অনুসারে:
- ওরাল কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধগুলি মুখ দিয়ে নেওয়া হয়।
- ইনজেকশনাল কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধগুলি শিরা, পেশী বা ত্বকের নিচে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
- ইন্ট্রাতেকাল কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধগুলি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের তরল মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
- ইন্ট্রাব্লাস্টিক কেমোথেরাপি: এই ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধগুলি টিউমারের ভিতরে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
কেমোথেরাপি সাধারণত এককভাবে বা অন্যান্য চিকিৎসার সাথে একত্রে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেমোথেরাপি অস্ত্রোপচার বা রেডিওথেরাপির আগে বা পরে ব্যবহৃত হতে পারে। এটি ক্যান্সারকে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বা ক্যান্সার থেকে মুক্তির পরে ক্যান্সার কোষগুলির পুনরাবির্ভাবের ঝুঁকি কমাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা ওষুধের ধরন, ডোজ এবং প্রদানের পদ্ধতি অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চুল পড়া
- বমি বমি ভাব এবং বমি
- ক্লান্তি
- রক্তের কোষের হ্রাস
- ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা
- খাওয়ায় অসুবিধা
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত চিকিৎসার পরে কমে যায়। তবে, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্থায়ী হতে পারে।
কেমোথেরাপি কতদিন পর পর দিতে হয়
কেমোথেরাপি কতদিন পর পর দেওয়া হয় তা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, টিউমারের অবস্থান, ক্যান্সারের তীব্রতা, রোগীর বয়স, এবং ওষুধের ধরন ও পরিমাণের উপর।
সাধারণত, কেমোথেরাপি চক্রগুলি 2 থেকে 4 সপ্তাহের মধ্যে হয়। এই সময়ের মধ্যে, রোগীকে কেমোথেরাপির ওষুধ দেওয়া হয়। চক্রের শেষে, রোগীর শরীরকে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে সেরে উঠতে সময় দেওয়া হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, কেমোথেরাপি একক ডোজ হিসাবে দেওয়া যেতে পারে। অন্য ক্ষেত্রে, কেমোথেরাপি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।
কেমোথেরাপির চক্রের মধ্যে সময়কালের কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:
- 2 সপ্তাহ: কেমোথেরাপির চক্রটি 2 সপ্তাহ স্থায়ী হয়। প্রথম সপ্তাহে কেমোথেরাপির ওষুধ দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় সপ্তাহটি রোগীর শরীরকে সেরে উঠতে দেওয়া হয়।
- 3 সপ্তাহ: কেমোথেরাপির চক্রটি 3 সপ্তাহ স্থায়ী হয়। প্রথম সপ্তাহে কেমোথেরাপির ওষুধ দেওয়া হয়, দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীকে বিশ্রাম দেওয়া হয়, এবং তৃতীয় সপ্তাহে কেমোথেরাপির ওষুধ আবার দেওয়া হয়।
- 4 সপ্তাহ: কেমোথেরাপির চক্রটি 4 সপ্তাহ স্থায়ী হয়। প্রথম সপ্তাহে কেমোথেরাপির ওষুধ দেওয়া হয়, দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীকে বিশ্রাম দেওয়া হয়, তৃতীয় সপ্তাহে কেমোথেরাপির ওষুধ আবার দেওয়া হয়, এবং চতুর্থ সপ্তাহে রোগীকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।
কেমোথেরাপির চক্রগুলি সাধারণত একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
কেমোথেরাপি দিলে কি হয়
কেমোথেরাপি হল ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এটি ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি ওষুধের ধরন, ডোজ এবং প্রদানের পদ্ধতি অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চুল পড়া: কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল চুল পড়া। চুল সাধারণত কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পড়তে শুরু করে। চুল সাধারণত কেমোথেরাপি শেষ হওয়ার পরে আবার গজায়।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: কেমোথেরাপির আরেকটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বমি বমি ভাব এবং বমি। বমি বমি ভাব এবং বমি সাধারণত কেমোথেরাপির শুরুর কয়েক দিনের মধ্যে হয়। বমি বমি ভাব এবং বমি কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ এবং কৌশল রয়েছে।
- ক্লান্তি: কেমোথেরাপির কারণে ক্লান্তি হতে পারে। ক্লান্তি সাধারণত কেমোথেরাপির সময় এবং পরে হতে পারে। ক্লান্তি কমানোর জন্য বিশ্রাম নেওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
- রক্তের কোষের হ্রাস: কেমোথেরাপির কারণে রক্তের কোষের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। এটি রক্তাল্পতা, লোহিত রক্তকণিকার হ্রাস, নিউট্রোপেনিয়া, শ্বেত রক্তকণিকার হ্রাস এবং থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, প্লেটলেটের হ্রাস হতে পারে। রক্তাল্পতা, নিউট্রোপেনিয়া এবং থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া গুরুতর হতে পারে এবং সংক্রমণ, রক্তপাত এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা: কেমোথেরাপির কারণে ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা হতে পারে। ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা অস্ত্রোপচারের পরে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- খাওয়ায় অসুবিধা: কেমোথেরাপির কারণে খাওয়ায় অসুবিধা হতে পারে। খাওয়ায় অসুবিধা ওজন হ্রাস, পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
কেমোথেরাপির অন্যান্য সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:
- হৃদরোগের সমস্যা: কেমোথেরাপি হৃদরোগের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ফুসফুসের সমস্যা: কেমোথেরাপি ফুসফুসের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- নার্ভের সমস্যা: কেমোথেরাপি স্নায়ুর সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ত্বকের সমস্যা: কেমোথেরাপি ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস: কেমোথেরাপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত চিকিৎসার পরে কমে যায়। তবে, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্থায়ী হতে পারে।
কেমোথেরাপি দেয়ার নিয়ম
কেমোথেরাপি দেওয়ার নিয়মগুলি ক্যান্সারের ধরন, টিউমারের অবস্থান, ক্যান্সারের তীব্রতা, রোগীর বয়স, এবং ওষুধের ধরন ও পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
সাধারণভাবে, কেমোথেরাপি নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে দেওয়া যেতে পারে:
- শিরায় ইনজেকশন: এটি কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। ওষুধ শিরায় প্রবেশ করানো হয়, যা রক্তপ্রবাহে সরাসরি প্রবেশ করে।
- ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন: এটি শিরায় ইনজেকশনের মতোই, তবে ওষুধ পেশীতে প্রবেশ করানো হয়।
- ওরাল কেমোথেরাপি: ওষুধ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা তরল আকারে খাওয়া হয়।
- প্লাজমাফোরেসিস: এটি একটি জটিল পদ্ধতি যা রক্ত থেকে ক্যান্সার কোষগুলিকে অপসারণ করে।
কেমোথেরাপির চক্রগুলি সাধারণত 2 থেকে 4 সপ্তাহের মধ্যে হয়। এই সময়ের মধ্যে, রোগীকে কেমোথেরাপির ওষুধ দেওয়া হয়। চক্রের শেষে, রোগীর শরীরকে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে সেরে উঠতে সময় দেওয়া হয়।
কেমোথেরাপির নিয়মগুলি একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
কেমোথেরাপি দেওয়ার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি পরিচালনা করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- কেমোথেরাপির সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করুন এবং আপনার চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন।
কেমোথেরাপি একটি কার্যকর ক্যান্সার চিকিৎসা যা অনেক রোগীর জীবন বাঁচায়। তবে, কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি হতে পারে, তাই নিয়মিত আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা এবং আপনার চিকিৎসার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
কেমোথেরাপি পরবর্তী খাবার
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:
- চুল পড়া: কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল চুল পড়া। চুল সাধারণত কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পড়তে শুরু করে। চুল সাধারণত কেমোথেরাপি শেষ হওয়ার পরে আবার গজায়।
- বমি বমি ভাব এবং বমি: কেমোথেরাপির আরেকটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বমি বমি ভাব এবং বমি। বমি বমি ভাব এবং বমি সাধারণত কেমোথেরাপির শুরুর কয়েক দিনের মধ্যে হয়। বমি বমি ভাব এবং বমি কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ এবং কৌশল রয়েছে।
- ক্লান্তি: কেমোথেরাপির কারণে ক্লান্তি হতে পারে। ক্লান্তি সাধারণত কেমোথেরাপির সময় এবং পরে হতে পারে। ক্লান্তি কমানোর জন্য বিশ্রাম নেওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
- রক্তের কোষের হ্রাস: কেমোথেরাপির কারণে রক্তের কোষের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে। এটি রক্তাল্পতা, লোহিত রক্তকণিকার হ্রাস, নিউট্রোপেনিয়া, শ্বেত রক্তকণিকার হ্রাস এবং থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, প্লেটলেটের হ্রাস হতে পারে। রক্তাল্পতা, নিউট্রোপেনিয়া এবং থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া গুরুতর হতে পারে এবং সংক্রমণ, রক্তপাত এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা: কেমোথেরাপির কারণে ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা হতে পারে। ক্ষত নিরাময়ের সমস্যা অস্ত্রোপচারের পরে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
- খাওয়ায় অসুবিধা: কেমোথেরাপির কারণে খাওয়ায় অসুবিধা হতে পারে। খাওয়ায় অসুবিধা ওজন হ্রাস, পুষ্টির অভাব এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
কেমোথেরাপির এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির কারণে, কেমোথেরাপি পরবর্তী খাবারগুলির উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। কেমোথেরাপি পরবর্তী খাবারগুলির লক্ষ্যগুলি হল:
- পুষ্টির অভাব পূরণ করা
- ওজন বাড়ানো
- ক্লান্তি কমানো
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা
কেমোথেরাপি পরবর্তী খাবারগুলিতে নিম্নলিখিত খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
- প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী এবং কোষের ক্ষতি পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, এবং শিম এবং ডাল।
- কার্বোহাইড্রেট: কার্বোহাইড্রেট শক্তির প্রধান উৎস। কেমোথেরাপির কারণে ক্লান্তি হওয়ায়, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারগুলি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ভাত, রুটি, আলু, ফল এবং সবজি।
- ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- পরিমিত পরিমাণে চর্বি: চর্বি শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি হরমোন এবং কোষের মেমব্রেন তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত চর্বি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে চর্বি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কেমোথেরাপি পরবর্তী খাবারগুলি নিয়মিত এবং ছোট ছোট অংশে খাওয়া উচিত। এটি বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে সাহায্য করবে।