আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান:
- মোট ম্যাচ: 12
- আর্জেন্টিনা জয়: 6
- ফ্রান্স জয়: 3
- ড্র: 3
- আর্জেন্টিনার গোল: 27
- ফ্রান্সের গোল: 24
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান
- মোট ম্যাচ: 3
- আর্জেন্টিনা জয়: 2
- ফ্রান্স জয়: 1
- ড্র: 0
- আর্জেন্টিনার গোল: 9
- ফ্রান্সের গোল: 5
২০২২ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান
- ম্যাচ: 1
- আর্জেন্টিনা জয়: 3-3 (পেনাল্টিতে ৩-২)
- আর্জেন্টিনার গোল: লাউতারো মার্টিনেজ, লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া
- ফ্রান্সের গোল: কিলিয়ান এমবাপ্পে, আঁতোয়া গ্রিজম্যান, করিম বেনজেমা
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান অনুসারে, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে মোট ১২ বার, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা ৬ জয়, ফ্রান্স ৩ জয় এবং ৩ ড্র পেয়েছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ৩ বার, যার মধ্যে আর্জেন্টিনা ২ জয় এবং ফ্রান্স ১ জয় পেয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই দল ৩-৩ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনা ৩-২ জয় পেয়ে শিরোপা জিতেছে।
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল লাইনআপ,প্রেডিকশন
আর্জেন্টিনা
গোলকিপার: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ
রক্ষণভাগ: নিকোলাস অটামেন্ডি, মার্সেলো বোরোউসো, লিওনার্দো পাউলিস্তা, নিকোলাস টালিয়াফিকো
মধ্যমাঠ: রদ্রিগো দে পল, জিওভানি লো সেলসো, লেয়ান্দ্রো পেরেজ
আক্রমণভাগ: লিওনেল মেসি, লাওতারো মার্টিনেস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া
ফ্রান্স
গোলকিপার: উগো ইয়োরিস
রক্ষণভাগ: জুলস কুন্দে, থিও হার্নান্দেজ, রাফায়েল ভারানে, ডাওট উপমেকানো
মধ্যমাঠ: অহেলিয়া চুয়ামেনি, আদ্রিয়েন রাবিও, উসমানে দেম্বেলে
আক্রমণভাগ: কিলিয়ান এমবাপে, অ্যান্টোনি গ্রিজম্যান, করিম বেনজেমা
প্রেডিকশন
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ম্যাচটি খুবই টানটান হতে পারে। দুটি দলই বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত এবং তারা প্রত্যেকে ম্যাচ জিততে মরিয়া হবে।
আর্জেন্টিনার পক্ষে লিওনেল মেসির উপস্থিতি একটি বড় শক্তি। মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং তিনি যেকোনো ম্যাচে ম্যাচের ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও, আর্জেন্টিনার দলে আগুয়ার, লাওতারো মার্টিনেস, লো সেলসো, দে পল, ডি মারিয়ার মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ খেলোয়াড় রয়েছে।
ফ্রান্সের পক্ষে এমবাপে, গ্রিজম্যান, বেনজেমা, ভারেট, কঁতে, পিয়েরে-এমরিক অবামেয়াঙ্গো এর মতো খেলোয়াড়রা আছে। এই খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই বিশ্বমানের এবং তারা আক্রমণভাগ থেকে যেকোনো সময় গোল করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও, ফ্রান্সের গোলকিপার উগো ইয়োরিস একজন অত্যন্ত দক্ষ গোলরক্ষক।
আমি মনে করি এই ম্যাচটি পেনাল্টিতে গড়াতে পারে। যদি আর্জেন্টিনার মেসি ও অন্যান্য খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে তারা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারে। অন্যদিকে, যদি ফ্রান্সের এমবাপে, গ্রিজম্যান, বেনজেমারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে তারা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারে।
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স রেফারি কে?
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের ম্যাচটি পরিচালনা করেন পোল্যান্ডের রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক।
আর্জেন্টিনার গোল কিপার এর নাম কি?
আর্জেন্টিনার বর্তমান গোলকিপার হলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তিনি একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি ইংরেজ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে একজন গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন। তিনি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়ে গোল্ডেন গ্লাভ পুরস্কার জিতেছেন।
মার্তিনেজ ১৯৯২ সালের ২ মার্চ আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় ক্লাব নিউয়েল’স ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলা শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি আর্জেন্টিনীয় ক্লাব ইনডিপেনডিয়েন্তেতে যোগ দেন। ২০২১ সালে তিনি অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেন।
মার্তিনেজ আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা থেকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ফ্রান্সের গোল কিপার এর নাম কি?
ফ্রান্সের বর্তমান গোলকিপার হলেন উগো ইয়োরিস। তিনি একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংরেজ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন।
উগো ইয়োরিস ২০০৮ সাল থেকে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। তিনি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সেরা গোলকিপার হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার লাভ করেন।
উগো ইয়োরিস একজন অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ গোলকিপার। তিনি তার দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে ফ্রান্স জাতীয় দলের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের বর্তমান কোচের নাম কি?
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের বর্তমান কোচের নাম হলো লিওনেল এস্কালোনি। তিনি ২০১৮ সালের পর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এস্কালোনি একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল কোচ ও প্রাক্তন খেলোয়াড়। তিনি একজন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। তার খেলোয়াড়ি জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি রায়ো ভালেকানো এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
এস্কালোনি ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের পর তিনি প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। তার অধীনে আর্জেন্টিনা ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জয় করে।
এস্কালোনির জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৬ই মে। তিনি আর্জেন্টিনার লা প্যারাজে জন্মগ্রহণ করেন।
ফ্রান্স জাতীয় দলের বর্তমান কোচের নাম কি?
ফ্রান্স জাতীয় দলের বর্তমান কোচের নাম হল দিদিয়ে দেশম। তিনি একজন প্রাক্তন ফরাসি ফুটবলার যিনি একজন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের বেশিরভাগ সময় লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল খেলোয়াড়
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান খেলোয়াড়ের তালিকা:
গোলরক্ষক:
- এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা)
- ওয়াল্টার ড্যানিয়েল বেনিতেজ (পিএসভি)
- ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট)
ডিফেন্ডার:
- নিকোলাস ওটামেন্ডি (ম্যানচেস্টার সিটি)
- ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- লিসান্দ্রো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা)
- পাবলো মাফফেও (ইন্টার মিলান)
- নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো (আয়াক্স)
- নাউয়েল মলিনা (টটেনহাম হটস্পার)
- গোনসালো মোন্তিয়েল (সেভিল)
মিডফিল্ডার:
- আনহেল দি মারিয়া (প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন)
- এনসো ফের্নান্দেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
- লিয়েনড্রো প্যারেডেস (প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন)
- আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ (সেভিল)
- তিয়াগো আলমাদা (আটলান্তা ইউনাইটেড)
- জিওভানি লো সেলসো (টটেনহাম হটস্পার)
ফরোয়ার্ড:
- লিওনেল মেসি (ইন্টার মিয়ামি)
- আলেজান্দ্রো গার্নাচো ফেরেয়ারা (আয়াক্স)
- হুলিয়ান আলভারেস (ম্যানচেস্টার সিটি)
- পাওলো ডিবালা (জুভেন্টাস)
- লৌতারো মার্তিনেজ (ইন্টার মিলান)
- এঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- আলান ভেলাস্কো (আর্সেনাল)
এই তালিকাটি ২০২৩ সালের ৩রা ডিসেম্বরের হিসাবে।
ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল খেলোয়াড়
ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান খেলোয়াড়ের তালিকা:
গোলরক্ষক:
- হুগো লরিস (টটেনহ্যাম হটস্পার)
- মাইক মাইগনান (স্টোক সিটি)
- আলবান লাফোঁ (লিভারপুল)
ডিফেন্ডার:
- বেঞ্জামিন প্যাভার্ড (বায়ার্ন মিউনিখ)
- জনাতঁ ক্লোস (সেভিল)
- থিও হার্নান্দেজ (রিয়াল মাদ্রিদ)
- উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল)
- লুকাস হার্নান্দেজ (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- জঁ-ক্লেয়ার তোদিবো (লিভারপুল)
- জুলস কৌন্ডে (চেলসি)
মিডফিল্ডার:
- এন’গোলো কান্তে (চেলসি)
- ওরেলিয়াঁ চুয়ামেনি (রিয়াল মাদ্রিদ)
- ইউসুফ ফোফানা (লিভারপুল)
- এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা (রিয়াল মাদ্রিদ)
- ওয়ারেন জাইর-এমেরি (সেভিল)
ফরোয়ার্ড:
- কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি)
- করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ)
- আন্তোনি গ্রিজম্যান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
- অলিভিয়ার জিরু (চেলসি)
- রঁদাল কলো মুয়ানি (পিএসজি)
- মার্কুস তুরাম (বোর্দু)
এই তালিকাটি ২০২৩ সালের ৩রা ডিসেম্বরের হিসাবে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে হলেন ফ্রান্সের বর্তমান অধিনায়ক এবং একজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার। তিনি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
করিম বেনজেমা হলেন ফ্রান্সের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তিনি ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে তিনটি গোল করেন।
আন্তোনি গ্রিজম্যান হলেন একজন প্রতিভাবান মিডফিল্ডার। তিনি ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ফ্রান্স কতবার বিশ্বকাপ জিতেছে
ফ্রান্স এপর্যন্ত দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। প্রথমবার ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে তারা ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে।
ফ্রান্সের পাশাপাশি ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালি, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এই ছয়টি দেশই একাধিকবার বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে।
আর্জেন্টিনা কতবার বিশ্বকাপ জিতেছে
আর্জেন্টিনা এপর্যন্ত তিনবার ফিফা বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। প্রথমবার ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে তারা নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। দ্বিতীয়বার ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তারা জার্মানিকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের বিশ্বকাপে তারা ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে।
আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে।
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনালে পাল্লা ভারী কার?
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনালে পাল্লা ভারী কার তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে বলা যায় যে,আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ম্যাচটি খুবই টানটান হতে পারে। দুটি দলই বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত।
আর্জেন্টিনা দলের পক্ষে লিওনেল মেসির উপস্থিতি একটি বড় শক্তি। মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং তিনি যেকোনো ম্যাচে ম্যাচের ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও, আর্জেন্টিনার দলে আগুয়ার, লাওতারো মার্টিনেস, লো সেলসো, দে পল, ডি মারিয়ার মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ খেলোয়াড় রয়েছে।
ফ্রান্স দলের পক্ষে এমবাপে, গ্রিজম্যান, বেনজেমা, ভারেট, কঁতে, পিয়েরে-এমরিক অবামেয়াঙ্গো এর মতো খেলোয়াড়রা আছে। এই খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই বিশ্বমানের এবং তারা আক্রমণভাগ থেকে যেকোনো সময় গোল করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও, ফ্রান্সের গোলকিপার উগো ইয়োরিস একজন অত্যন্ত দক্ষ গোলরক্ষক।
ম্যাচের ফলাফল নির্ভর করবে দুই দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর। যদি আর্জেন্টিনার মেসি ও অন্যান্য খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে তারা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারে। অন্যদিকে, যদি ফ্রান্সের এমবাপে, গ্রিজম্যান, বেনজেমারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে তারা আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে,আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল – এর পরিসংখ্যান অনুসারে, আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচটি খুবই টানটান হতে পারে এবং ম্যাচের ফলাফল নির্ভর করবে দুই দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর।
বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স পর্যালোচনা
বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০২২: আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স
তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
স্থান: লসুইল, কাতার
ফলাফল: আর্জেন্টিনা ৪-২ ফ্রান্স
পেনাল্টিতে জয়ী দল: আর্জেন্টিনা
ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত টানটান এবং উত্তেজনাপূর্ণ। দুটি দলই বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত ছিল এবং তারা প্রত্যেকে ম্যাচ জিততে মরিয়া ছিল।
ম্যাচের শুরুতে ফ্রান্স আক্রমণাত্মক শুরু করে। তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দুর্দান্তভাবে সেগুলো বাঁচান।
৩৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা গোল করে এগিয়ে যায়। লিওনেল মেসির পাস থেকে লাওতারো মার্টিনেস বল জালে জড়িয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স সমতায় ফেরে। ৫০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে বল জালে জড়িয়ে দেন।
৬০ মিনিটে আর্জেন্টিনা পুনরায় এগিয়ে যায়। মেসির পাস থেকে আগুয়ার বল জালে জড়িয়ে দেন।
৭৮ মিনিটে ফ্রান্স সমতায় ফেরে। এমবাপে আবারও বল জালে জড়িয়ে দেন।
৯০ মিনিটে আর্জেন্টিনা আবারও এগিয়ে যায়। মেসির পাস থেকে মার্টিনেস বল জালে জড়িয়ে দেন।
ফাইনালে নিয়মিত সময়ের খেলা ২-২ সমতায় শেষ হয়। পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে জয়ী হয় এবং তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন লিওনেল মেসি। তিনি ম্যাচে ২ গোল ও ১ এসিস্ট করেন।
আর্জেন্টিনার এই জয় তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের জন্য একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণ। আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করল।
Visit our home page.