পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত মিটার
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এই দৈর্ঘ্যটি মূল সেতুর দৈর্ঘ্য, যা ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০.১২ মিটার। সুতরাং, পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪১ * ১৫০.১২ = ৬১৫৪.২ মিটার।
বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর আগে সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু ছিল যমুনা সেতু, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দীর্ঘতার বিচারে পদ্মা সেতু বিশ্বের ১২২তম সেতু। বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু চীনের ডানইয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ, যার দৈর্ঘ্য ১৬৪ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু, দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু এবং বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক সেতুর মধ্যে ২৫তম।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ছিল ২০২২ সালের ২৫ জুন। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।
উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতু রেল উদ্বোধন
পদ্মা সেতু রেল উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া রেলস্টেশন থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ ২০১৪ সালে শুরু হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ৪৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতু রেল উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রাকাল প্রায় দুই ঘণ্টা কমে দাঁড়িয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতু রেলপথের পুরো অংশ চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন কোথায় কোথায় যাবে?
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে। বর্তমানে, পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলো নিম্নলিখিত গন্তব্যে যায়:
- ঢাকা থেকে খুলনা: সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬)
- ঢাকা থেকে রাজশাহী: পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬)
- ঢাকা থেকে যশোর: যশোর এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬)
ভবিষ্যতে, পদ্মা সেতু দিয়ে আরও অনেক ট্রেন চলাচল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর রেলপথটি ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত বিস্তৃত। পদ্মা সেতুর রেলপথটি দুইটি লাইন নিয়ে গঠিত। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনা করে।
পদ্মা সেতুর রেলপথ চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এতে করে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
পদ্মা সেতু ট্রেন ভাড়া কত?
পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ভাড়া নিম্নরূপ:
ট্রেনের শ্রেণী | ঢাকা থেকে খুলনা | ঢাকা থেকে রাজশাহী | ঢাকা থেকে যশোর |
---|---|---|---|
মেইল ট্রেন | ৮০ টাকা | ৮০ টাকা | ৮০ টাকা |
কমিউটার ট্রেন | ১০০ টাকা | ১০০ টাকা | ১০০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২৩০ টাকা | ২৩০ টাকা | ২৩০ টাকা |
এসি চেয়ার | ৪৪৩ টাকা | ৪৪৩ টাকা | ৪৪৩ টাকা |
এসি সিট | ৫২৯ টাকা | ৫২৯ টাকা | ৫২৯ টাকা |
এসি বার্থ | ৭৯৪ টাকা | ৭৯৪ টাকা | ৭৯৪ টাকা |
২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ভাড়া কমানো হয়েছে। এর আগে, এই পথে আন্তঃনগর ট্রেনে (নন-এসি) ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা।
পদ্মা সেতুর রেলপথে ট্রেন চলাচলের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি নতুন ভাড়া নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতি অনুযায়ী, ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি
পদ্মা সেতুর মোট পিলার সংখ্যা ৪২টি। এর মধ্যে ২৬টি মূল সেতুর জন্য এবং ১৬টি নদী শাসন বা ডায়াডাক্ট অংশের জন্য। মূল সেতুর পিলারগুলোর গভীরতা ১২৮ মিটার, যা বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।
পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের উচ্চতা ৩৭ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। পিলারগুলোর উপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০.১২ মিটার।
পদ্মা সেতুর পিলার কত ফুট গভীর
পদ্মা সেতুর পিলারগুলোর গভীরতা ১২৮ মিটার। ১ মিটার সমান ৩.২৮ ফুট। সুতরাং, পদ্মা সেতুর পিলারগুলোর গভীরতা ১২৮ * ৩.২৮ = ৪১১.০৪ ফুট।
পদ্মা সেতুর পিলারগুলোর গভীরতা বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু। নদীর তলদেশে যত গভীরে এবং মোটা পাইল বসানো হবে ততই মজবুত হয় ভিত। এইজন্যই পদ্মা সেতুতে দীর্ঘ পাইল বসানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুর খরচ কত
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রকল্পের খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- নদীশাসনের কাজ বাড়ানো
- ডলারের মূল্যবৃদ্ধি
- ভ্যাট ও কর বৃদ্ধি
- নকশায় কিছু সংশোধন
- ঠিকাদারের বিল বেড়ে যাওয়া
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়লেও এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর
পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর। সেতুটি নির্মাণের সময় এটিকে ১০০ বছরের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, সেতুটি আরও বেশি বছর টিকে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পদ্মা সেতুর নির্মাণে উচ্চমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুটিতে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, সেতুটিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এইসব কারণেই পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করবে। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতুর খরচ উঠবে কত বছরে
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে। টোলের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠতে কয় বছর লাগবে তা নির্ভর করে টোল আদায়ের পরিমাণের উপর।
প্রকল্পের পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ধারণা, পদ্মা সেতুর খরচ উঠতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময় লাগবে। তারা আশা করছে, প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা যাবে। এই হিসাবে বছরে ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা টোল আদায় করা যাবে।
তবে, টোল আদায়ের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়াও, পদ্মা সেতু রেলপথ চালু হলে রেলপথের টোল আদায়ের মাধ্যমেও সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠতে পারে।
তাই, পদ্মা সেতুর খরচ উঠতে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের বেশি সময় লাগতে পারে না বলে মনে করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর টোল
পদ্মা সেতুর টোল হার নিম্নরূপ:
যানবাহনের শ্রেণী | টোল হার (টাকা) |
---|---|
মোটরসাইকেল | ১০০ |
কার, জিপ | ৭৫০ |
পিকআপ | ১২০০ |
মাইক্রোবাস | ১৩০০ |
ছোট বাস (৩১ আসন বা তার কম) | ১৪০০ |
বড় বাস (৩২ আসন বা তার বেশি) | ২৯০০ |
ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) | ২২০০০ |
ট্রাক (৫ টন থেকে ১০ টন পর্যন্ত) | ৫৫০০০ |
ট্রাক (১০ টন থেকে ১৫ টন পর্যন্ত) | ৮৪০০০ |
ট্রাক (১৫ টন থেকে ৩১ টন পর্যন্ত) | ১৬৫০০০ |
ট্রাক (৩১ টন থেকে ৪০ টন পর্যন্ত) | ২০০০০০ |
ট্রাক (৪০ টন থেকে ৪৯ টন পর্যন্ত) | ২৩৮০০০ |
ট্রাক (৪৯ টন থেকে ৫৫ টন পর্যন্ত) | ২৭৫০০০ |
ট্রাক (৫৫ টন থেকে ৬০ টন পর্যন্ত) | ৩১২৫০০ |
ট্রাক (৬০ টন থেকে ৬৪ টন পর্যন্ত) | ৩৫০০০০ |
ট্রাক (৬৪ টন থেকে ১২০ টন পর্যন্ত) | প্রতি টন ৬০০০ |
ট্রেন (লোড) | প্রতি টন ১৫০০ |
ট্রেন (পার্সন) | প্রতি আসন ৬০০ |
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের জন্য দুটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। একটি টোল প্লাজা মাওয়া প্রান্তে এবং অন্যটি জাজিরা প্রান্তে। টোল প্লাজায় ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও, নগদ টাকা দিয়েও টোল পরিশোধ করা যাবে।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর দুই পাশের জেলার নাম কি?
পদ্মা সেতুর দুই পাশের জেলার নাম হলো:
- উত্তর পাড়: মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা
- দক্ষিণ পাড়: শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা
পদ্মা নদীর দুই প্রান্তে অবস্থিত এই দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতুর গুরুত্ব
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মধ্যে পদ্মা নদীর উপর নির্মিত। ২০২২ সালের ২৫ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতুর গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করবে।
পদ্মা সেতুর আগে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের জন্য ফেরি পারাপারের উপর নির্ভর করতে হতো। ফেরি পারাপারের ফলে যোগাযোগের সময় ও খরচ অনেক বেশি ছিল। পদ্মা সেতুর নির্মাণের ফলে এই সমস্যা দূর হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে ঢাকা ও অন্যান্য শহরের যোগাযোগের সময় ও খরচ অনেকাংশে কমে যাবে।
- এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এই অঞ্চলে শিল্পায়ন, বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে।
পদ্মা সেতুর ফলে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। পদ্মা সেতুর পাশে ওয়ান্ডারল্যান্ড, পদ্মা সেতু জাদুঘরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, পদ্মা নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ট্রলার ভ্রমণ, মাছ ধরার মতো বিভিন্ন পর্যটন কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Visit our home page.